আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: কথিত ‘গণকমিশন’ কর্তৃক দেশের ১১৬ জন আলেম ও ১০০০ মাদরাসার বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন অভিযোগ এবং ইসলাম ও দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র-চক্রান্তের প্রতিবাদে জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদের সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে ৫ দফা দাবি ও ২ দফা কর্মসূচি জানানো হয়েছে।
আজ (১৬ মে) সোমবার বেলা ১২ টায় রাজধানীর সেগুন বাগিচাস্থ ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনের সভাপতি মাওলানা নূরুল হুদা ফয়েজী।
উদ্ভূত পরিস্থিতিতে দেশের সর্বধারার ওলামায়ে কেরাম ও নাগরিক সমাজের পক্ষে আমাদের দাবী সমূহ:
১. যারা কথিত শ্বেতপত্র প্রকাশের মাধ্যমে দেশের সম্মানিত আলেমদের সম্মানহানি করেছে, আলেমদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপবাদ দিয়েছে, দেশবাসীর সামনে হেয় প্রতিপন্ন করার চেষ্টা করেছে। তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
২. যারা বাংলাদেশকে সাম্প্রদায়িক সংঘাতের দেশ হিসেবে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে উপস্থাপন করে দেশের ভাবমূর্তি বিনষ্ট করতে চায়, তাদের কার্যক্রমকে তদন্তের আওতায় আনতে হবে এবং তাদের গতিবিধিকে গােয়েন্দা নজরদারীর আওতায় আনতে হবে।
৩. যারা মাঠ প্রশাসনের এবং পুলিশ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে তদন্তের নামে উদ্দেশ্যমূলক অবৈধ তৎপরতা চালিয়েছে, তাদেরকে শাস্তির আওতায় আনতে হবে।
৪. দেশের সম্মানিত আলেমদের বিরুদ্ধে হয়রানিমূলক সব মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করতে হবে।
৫. কারাবন্দী সকল মজলুম আলেমদের অবিলম্বে মুক্তি দিতে হবে।
৬. ওয়াজ মাহফিল নিছক একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠান। তাই সারা দেশে ওয়াজ মাহফিল সকল প্রশাসনিক বিধিনিষেধের আওতামুক্ত রাখতে হবে।
৭. সারা দেশের আলেম ওলামা ও মাদরাসার বিরুদ্ধে সকল প্রকার হয়রানি বন্ধ করতে হবে।
৮. আল্লাহ, রাসূল সা., ধমীয়-রাজনৈতিক ও সামাজিক সম্মানীত ব্যক্তিবর্গের বিরুদ্ধে মানহানিকর শব্দের ব্যবহার নিষিদ্ধে আইন করতে হবে এবং তার যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।
আমরা ঘাদানিকের প্রতিবেদনের পূর্ণরূপ হাতে পেয়ে বিস্তারিত পর্যালােচনা করে এর বিরুদ্ধে সামাজিক, আইনগত ও সাংস্কৃতিকভাবে মােকাবেলা করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছি। তারই ধারাবাহিকতায় :
কর্মসূচি ১) নাগরিক মতবিনিময়- ২৮ মে শনিবার
২) ওলামা সম্মেলন- ২ জুন বুধবার ওলামা সম্মেলন থেকে পরবর্তী কর্মসূচী ঘােষণা করা হবে, ইনশাআল্লাহ।
-কেএল