সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪ ।। ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬


বয়ান বা আলোচনার সময় যেসব কাজ করা বর্জনীয়!

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

মুযযাম্মিল হক উমায়ের।।

একলোক মজলিসে হাকিমুল উম্মাত, মুজাদ্দিদে মিল্লাত, শাহ আশরাফ আলী থানবী রাহিমাহুল্লাহু তায়ালার কাছে কিছু বলতে ছিলেন। কথার বলার সময়ে, কথা বলার পাশাপাশি হাত দ্বারা ইশারা করেও বুঝাচ্ছিলো।

এই ধরনের অভ্যাস প্রায়জনেরই আছে। তারা কাউকে কিছু বলার সময় হাত দ্বারাও ইশারা করতে থাকে। হাত নাড়িয়ে বুঝানোর চেষ্টা করে। ঐলোকের হাত নাড়ানো দেখে আল্লামা থানবী রাহিমাহুল্লাহু তায়ালা তাকে এভাবে হাত নাড়িয়ে কথা বলতে নিষেধ করলেন। এবং বললেন ‘এই ধরনের কাজ ভদ্রতার পরিপন্থি। দেখতে অপছন্দ।

তাছাড়া এভাবে হাত নাড়ানোর দ্বারা যার কাছে কথা বলা হচ্ছে তাকে অসম্মান করা হয়। কারণ, হাত নাড়িয়ে বলনেওয়ালা এটিই বুঝাতে চেয়েছে যে, আমার কথা মনে হয় তিনি বুঝতেছেন না। যাকে বুঝাতে চেয়েছি তিনি অত্যন্ত নির্বোধ। বোকা। শুধু মুখে বলাতে তিনি বুঝতে অক্ষম। এই হাত নাড়ানোর মাঝে আরেকটি দোষ আছে।

তা হলো, বলনেওয়ালা হাত নাড়িয়ে শ্রোতাকে বুঝাতে চেয়েছে যে, আপনি আমার কথা শুনার পাশাপাশি, আমার হাতের অঙ্গভঙ্গিও দেখুন। অথচ, হাতের অঙ্গভঙ্গি দেখানোর জন্যে শ্রোতাকে বাধ্য করার অধিকার বলনেওয়ালার নেই। সুতরাং আপনি এই ধরনের আদব পরিপন্থি অভ্যাস পরিত্যাগ করুন’। [মূলসূত্র: আল ইফাদাতুল ইয়াওমিয়্যাহ: খন্ড—১০, পৃষ্ঠা—৩৪৩—৪৪]

শিক্ষা: ১. ওয়াজ—মাহফিল, বক্তৃতা ও সেমিনার যেখানে সর্বজন শ্রদ্ধেয় একজন কথা বলে থাকেন, সেসব স্থানে বক্তা শ্রোতাদেরকে বুঝানোর সুবিধার্থে হাত দ্বারা প্রয়োজন অনুপাতে ইশারা করতে পারেন। তবে এইসব ক্ষেত্রেও লক্ষ্য রাখতে হবে দৃষ্টিকটু হাত নাড়াচাড়া যেনো না হয়ে যায়। শ্রোতারা যেনো তার হাত নাড়াচাড়ার দ্বারা বিরক্ত হয়ে না পড়ে। অনেকে তো এমনভাবে হাত নাড়াতে শুরু করে যে, সাথে বসে থাকা লোকজনের চেহারায় গিয়ে হাত লেগে যায়। সামনের মাইক উল্টিয়ে ফেলে দেয়। চা এর কাপ অন্যের গায়ে গিয়ে পড়ে যায়।

এমন উত্তেজিত হাত নাড়াচাড়া করা শুধু দেখতেই দৃষ্টিকটু এমন না, বরং এই কাজের দ্বারা অনেক সময় লোকজনও আহত হয়ে যায়। ব্যথা—আঘাত পেয়ে যায়। এতেকরে লোকজনের অর্থ দন্ডের বোঝা বহন করতে হয়। বেচারা বক্তা বা সম্মানীয় হওয়ার কারণে তার থেকে ভদ্রতার খাতিরে অর্থ জরিমানা করতেও লোকজন ইতস্তত করে। যার কারণে কষ্ট উপার্জিত টাকা লাভের স্থানে গিয়ে জরিমানার বোঝা নিয়ে বাড়ি ফিরতে হয়। এভাবে ভালো কাজে লোকজনের উপস্থিতি দিনদিন কমতে শুরু করবে। এগুলো হলো অনার্থক কাজ। এগুলো না করলেও না এমন নয়। অযথা এমন কাজ করতে হাদিস শরীফে নিষেধও আসছে, مِنْ ‌حُسْنِ ‌إِسْلَامِ ‌الْمَرْءِ تَرْكُهُ مَا لَا يَعْنِيهِ —মানুষের ইসলামের সুন্দর্যতা হলো, অনার্থক সবকিছু পরিহার করা। তিরমিযী শরীফ: হাদিস: ২৩১৭

হাদিস শরীফ দ্বারাও বুঝা গেলো, এইসব অযথা, অপ্রয়োজনীয় কাজ একদম পরিহার যোগ্য। ইসলামের আদর্শের বিপরিত। সুতরাং আমাদের এই জাতীয় কাজ থেকে নিজেদেরকে বিরত রাখতে হবে। বিশেষকরে যারা সমাজের কর্ণধার, রাহবার, আদর্শীত ও অনুসৃত। যাদেরকে লোকজন ফলো করে। যাদের কাছ থেকে লোকজন কিছু শিখতে চায়। যারা লোকজনকে শিখাবে। তাঁদের অবশ্যই এই জাতীয় দৃষ্টিকটু কাজ করা থেকে সজাগ, সচেতনার সাথে বিরত থাকা জরুরী। আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে তাওফিক দান করুন।

২. অনেকে আবার শিক্ষাদানের সময়, ওয়াজ মাহফিল, সভা, সমিতি বা সেমিনারে কথা বলার সময়ে শ্রোতাদেরকে মনোযোগী করার জন্যে লাঠি, কলম বা অন্য কিছু দিয়ে শ্রোতাদেরকে খোঁচা দিতে দেখা যায়। বা শ্রোতাদের দিকে কোন কিছু ঢিল ছুঁড়তে দেখা যায়। এই জাতীয় অনার্থক, অযথা কাজ থেকেও বিরত থাকা জরুরী। এইসব কাজও দেখতে দৃষ্টিকটু। নিজের কাছে ভালো দেখা গেলেও জরিপ করলে প্রায়জনই এমন কাজকে অপছন্দ করেন— এমনটিই বলবেন। অযথা ঢিল ছুঁড়া, খেঁাচা দিতে হাদিস শরীফেও নিষেধ এসেছে,
نَهَى النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنِ الخَذْفِ، وَقَالَ: إِنَّهُ لَا يَقْتُلُ الصَّيْدَ، وَلَا يَنْكَأُ العَدُوَّ، وَإِنَّهُ ‌يَفْقَأُ العَيْنَ، وَيَكْسِرُ السِّنَّ
—হুজুর সাল্লাল্লাহু তায়ালা আলায়হি ওয়া সাল্লাম ঢিল ছঁুড়তে নিষেধ করেছেন। এবং বলেছেন, এই ঢিল কোন শিকারকে হত্যা করতে পারে না। কোন শত্রুকে প্রতিহত করতে পারে না। অথচ, (ভুলক্রমে অন্য দিকে চলে গিয়ে) চোখকে উপড়ে ফেলে দেয়। দাঁতকে ভেঙ্গে দেয়। বুখারী শরীফ: হাদিস: ৬২২০

অন্য হাদিসে এসেছে, لَا ‌يُشِيرُ ‌أَحَدُكُمْ ‌إِلَى ‌أَخِيهِ بِالسِّلَاحِ، فَإِنَّهُ لَا يَدْرِي أَحَدُكُمْ لَعَلَّ الشَّيْطَانَ يَنْزِعُ فِي يَدِهِ فَيَقَعُ فِي حُفْرَةٍ مِنَ النَّارِ —তোমাদের কেই যেনো তার ভাই এর দিকে অ¯্র তাক করে ইশারা না করে। কারণ, তোমাদের কেই জানতেও পারবে না যে, হয়তো শয়তান তার হাত থেকে অ¯্র ছিনিয়ে নিয়ে (যার দিকে অ¯্র তাক করে ছিলো, তাকে আঘাত করে বসবে। ফলে লোকটি মারা যাবে) আর এই অপরাধে যে ব্যক্তি অ¯্র তাক করে ছিলো সে জাহান্নামের গর্তে পতিত হতে হবে। মুসলিম শরীফ: হাদিস: ১২৬

অন্য হাদিসে এসেছে,
عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مُغَفَّلٍ، أَنَّهُ كَانَ جَالِسًا إِلَى جَنْبِهِ ابْنُ أَخٍ لَهُ، فَخَذَفَ، فَنَهَاهُ، وَقَالَ: إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَهَى عَنْهَا وَقَالَ: إِنَّهَا لَا تَصِيدُ صَيْدًا، وَلَا تَنْكِي عَدُوًّا، وَإِنَّهَا تَكْسِرُ السِّنَّ، وَتَفْقَأُ الْعَيْنَ قَالَ: فَعَادَ ابْنُ أَخِيهِ يخذفَ فَقَالَ: أُحَدِّثُكَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَهَى عَنْهَا، ثُمَّ عُدْتَ تَخْذِفُ، لَا أُكَلِّمُكَ أَبَدًا
—সাহাবীয়ে রাসূল হজরত আব্দুল্লাহ বিন মুগাফফিল রাজিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি তাঁর ভাতিজার সাথে বসা ছিলেন। ভাতিজা পাশে বসে ঢিল ছঁুড়তে ছিলো। তিনি ভাতিজাকে ঢিল ছঁুড়তে নিষেধ করলেন। এবং বললেন, হুজুর সাল্লাল্লাহু তায়ালা আলায়হি ওয়া সাল্লাম ঢিল ছঁুড়তে নিষেধ করেছেন। কারণ, এই ঢিল কোন শিকারকে হত্যা করতে পারে না। কোন শত্রুকে প্রতিহত করতে পারে না। অথচ, এই ঢিল (ভুলক্রমে অন্য দিকে গিয়ে) চোখকে অন্ধ করে ফেলে। দাঁতকে ভেঙ্গে ফেলে। বর্ণনাকারী বলেন, এই হাদিস শোনানোর পরও তিনি তাঁর ভাতিজাকে একদিন ঢিল ছঁুড়তে দেখে বললেন, আমি তোমাকে হুজুর সাল্লাল্লাহু তায়ালা আলায়হি ওয়া সাল্লামের হাদিস শুনিয়েছি তারপরও তুমি আবার এই নিষেদ্ধ কাজ করতেছো? তোমার সাথে আর কখনো কথা বলবো না। ইবনে মাজাহ শরীফ: হাদিস: ১৭

এই হাদিসে অযথা ঢিল ছঁুড়ার কারণে রাসূলের একজন মর্যাবান সাহাবী নিজের ভাতিজার উপর কী পরিমান রাগ হয়েছিলেন, তা শেষের কথা দ্বারা স্পষ্টই বুঝা যায়। তিনি ভাতিজার সাথে কথাবার্তা বলা ছেড়ে দিয়ে ছিলেন।

সুতরাং এই সব অযথা, অপ্রয়োজনীয় কাজ থেকে আমাদের অবশ্যই বিরত থাকতে হবে। ৩. ছোটরা যখন বড়দের সামনে কথা বলবে, তখন বিশেষ করে এই জাতীয় অঙ্গভঙ্গি দেখানো থেকে বিরত থাকা। কারণ, বড়দের সামনে এইসব আচরণ আদবের পরিপন্থি। কারো চোখেই তা ভালো দেখায় না। এইসব আচরণ অনেকটাই অভ্যাসের কারণে মনের ইচ্ছার বাইরে হয়ে প্রকাশ পেয়ে থাকে। পরে তা অভ্যাসে পরিণত হয়ে যায়। অনেক কষ্ট করে পরে ছাড়তে হয়। এজন্যে শুরু থেকেই এইসব মুদ্রাদোষ বিষয়ে সজাগ—সচেতন থাকতে হয়।

৪. কথা বলার সময় আবার অনেককে নাক চিমটাতে দেখা যায়। চোখে বার বার হাত রাখতে দেখা যায়। জামার হাতা গুটাতে দেখা যায়। জামা বার বার সোজা করতে দেখা যায়। টুপি ঠিক করতে দেখা যায়। দাড়ি সোজা করতে দেখা যায়। হাত বেঁধে কথা বলতে দেখা যায়। হাত পিছনে রেখে কথা বলতে দেখা যায়। চোখ অযথা এদিক—সেদিক ঘুরিয়ে কথা বলতে দেখা যায়।

নাক টান টান করে কথা বলতে দেখা যায়। কপাল ভাঁজ করে কথা বলতে দেখা যায়। এই জাতীয় আরো যতো মুদ্রাদোষ যা দৃষ্টিকটু সেগুলো থেকে বিরত থাকা। কারণ, এইসব দোষ কথার গুরুত্ব ও মহত্বকে কমিয়ে দেয়। শ্রোতাদের কথা শোনার আগ্রহ—আসক্তি কমিয়ে ফেলে। অমনোযোগী হয়ে না শোনার মতো করে শ্রোতারা তখন কথা শুনতে থাকে।

যা শোনা না শোনা বরাবর। বরঞ্চ এমন অবস্থায় কথা না শোনা, বিরক্তির সাথে শোনার চেয়ে উত্তম। এতেকরে কথা বলনেওয়ালার প্রতি অন্তত শ্রোতাদের বিরোপ মনোভাব আসবে না। যার কারণে পরবর্তীতে কথা শোনার আগ্রহটা অন্তত হারাবে না।

৫. কথা বলার আদবের মধ্যে আরেকটি আদব অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তা হলো, বড়দের মজলিসে ছোটরা আগ বেড়ে কথা না বলা। বড়দেরকে আগে কথা বলতে দেয়া। যেমন হাদিস শরীফে এসেছে,
عَنْ رَافِعِ بْنِ خَدِيجٍ وَسَهْلِ بْنِ أَبِي حَثْمة أَنَّهُمَا حَدَّثَا أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ سَهْلٍ وَمُحَيِّصَةَ بْنَ مَسْعُودٍ أَتَيَا خَيْبَرَ فَتَفَرَّقَا فِي النَّخْلِ فَقُتِلَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ سَهْلٍ فَجَاءَ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ سَهْلٍ وَحُوَيِّصَةُ وَمُحَيِّصَةُ ابْنَا مَسْعُودٍ إِلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَتَكَلَّمُوا فِي أَمْرِ صَاحِبِهِمْ فَبَدَأَ عَبْدُ الرَّحْمَنِ وَكَانَ أَصْغَر الْقَوْم فَقَالَ لَهُ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: كبر الْكبرَ. قَالَ يحيى بن سعد: يَعْنِي لِيَلِيَ الْكَلَامَ الْأَكْبَرُ
—সাহাবিয়ে রাসূল হজরত রাফে‘ বিন খাদীজ ও সাহল বিন আবি হাছমাহ রাজিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমা বর্ণনা করেন। তাঁরা বলেন, আব্দুল্লাহ বিন সাহল ও মুহায়্যিসাহ বিন মাসউদ রাজিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমা তাঁরা উভয়ে খায়বার নামক স্থানে এসে ছিলেন। তারপর সেখান থেকে দুইজন আলাদা হয়ে যান।

অতপর দেখা গেলো সেখানে আব্দুল্লাহ বিন সাহল রাজিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু খুন করা হয়েছে। তখন তাঁর ভাই হজরত আব্দুর রহমান বিন সাহল রাজিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু ও দুইভাই হজরত হুওয়ায়্যিসাহ ও মুহায়্যিসাহ রাজিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমাসহ তিনজন হুজুর সাল্লাল্লাহু তায়ালা আলায়হি ওয়া সাল্লামের কাছে তাঁদের নিহত সাথীর বিষয়ে পরামর্শ করতে আসলেন। তখন তাঁদের নিহিত সাথীর বিষয়ে আলোচনা করতে গিয়ে আব্দুর রহমান বিন সাহল রাজিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু আগে কথা বলতে শুরু করে দিলেন।

অথচ, তিনি ছিলেন তিনজনের মধ্যে বয়সে সবার ছোট। তখন হুজুর সাল্লাল্লাহু তায়ালা আলায়হি ওয়া সাল্লাম তাঁকে (কথা বলা থেকে থামিয়ে দিয়ে) বললেন, ‘বড়জনকে আগে কথা বলতে দাও’। এই হাদিসের বর্ণনাকারী হজরত ইয়াহইয়া বিন সাআদ রাহিমাহুল্লাহু তায়ালা ‘বড়দেরকে আগে কথা বলতে দাও’ এই কথার ব্যাখ্যা প্রসঙ্গে বলেন, ‘এখানে হুজুর সাল্লাল্লাহু তায়ালা আলায়হি ওয়া সাল্লাম তাঁকে বুঝাতে চেয়েছেন যে, যিনি বয়সে বড় তিনি আগে কথা বলার বেশি উপযুক্ত ব্যক্তি’। মিশকাত শরীফ: হাদিস: ৩৫৩১

হঁ্যা, যদি বড়রা ছোটদেরকে কথা বলার অনুমতি প্রদান করেন, তাহলে ছোটরা কথা বলতে পারে। তবে এই অবস্থায়ও ছোটরা কথা বলার সময় বড়দের প্রতি পূর্ণ আযমত রেখে কথা বলা উচিত। কথার আওয়াজ স্বাভাবিক রাখা। রাগারাগি, বা কর্কশ ভাষায় কথা না বলা। বিনয় ও ভক্তির সাথে কথা বলা।

-এটি


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ