সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪ ।। ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬


নির্বাচনকে সামনে রেখে ইসলাম ও দেশের বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র চলছে: চরমোনাই পীর

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই বলেছেন, নির্বাচন ঘনিয়ে আসলেই ইসলাম, দেশ ও মানবতার বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র শুরু হয়। ইসলামপন্থিদের কৌশলে দাবিয়ে রাখতে ইসলাম ও মুসলমানের বিরুদ্ধে সিন্ডিকেটভিত্তিক অপপ্রচার চলছে।

১১৬ জন আলেম ও ১০০০ মাদরাসার তালিকা সেই ষড়যন্ত্রেরই অংশ। যারা তালিকা তৈরি করেছে, তারা নিজেরাই বিভিন্ন অপরাধে অপরাধী ও তিরস্কৃত। সাবেক বিচারপতি মানিক চৌধুরী নিজের দ্বৈত নাগরিকত্ব গোপন রেখে বিচারপতি হয়েছে, যা সংবিধান বিরোধী। দেশে আইন আদালত থাকতে গণকমিশন গঠন দেশের সংবিধান পরিপন্থি কাজ। দেশের ওলামায়ে কেরামের তালিকা করে দুদকে দেয়ার এখতিয়ার তাদের নেই।

আজ বিকেলে চট্টগ্রামের জমিয়াতুল ফালাহ ময়দানে অনুষ্ঠিত বিশাল ইসলামী মহাসম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্রে তিনি এসব কথা বলেন। সম্মেলনে বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ড. আহম খালিদ হোসাইন, নওমুসলিম ডা. সিরাজুল ইসলাম সিরাজসহ বরেণ্য ওলামায়ে কেরাম বক্তব্য রাখেন।

চরমোনাই পীর বলেন, সবচেয়ে আশ্চয্যের বিষয় হলো যারা ওলামায়ে কেরামদের বিরুদ্ধে লাগছে, সেই তথাকথিত গণকমিশন-এর সার্থে সম্পৃক্তদের ইসলামের সাথে কোন সম্পর্ক নেই।

ইসলাম কী জিনিস তাও তাদের বুঝার যোগ্যতা নেই। এমন অপরাধী ও তিরস্কৃত ব্যক্তিরা মাদরাসা ও আলেমদের ভুল ধরার চেষ্টা করছে। ঠিক আছে, আগে তুরিন ও মানিকদের কৃত অপরাধের বিচার আগে করতে হবে। এরপর নিয়ম অনুযায়ী দেশের আইন আদালতের মাধ্যমে ওলামায়ে কেরামে কোন অপরাধ থাকলে সেটা হবে। কিন্তু গণকমিশন গঠনের এখতিয়ার তাদেরকে কে দিয়েছে? সেটা স্পষ্ট করতে হবে।

একটি গোষ্ঠি কৃত্রিমভাবে জঙ্গিবাদকে দেশের প্রধান সমস্যা আকারে হাজির করার পায়তারা করছে। দেশে যখন স্থানীয় নির্বাচনে ক্ষমতাসীনদের দলীয় হানাহানিতে শতশত মানুষ মারা যাচ্ছে তখন তারা কথিত সাম্প্রদায়য়িকতাকে ইস্যু আকারে উপস্থান করছে। তিনি বলেন, দেশে যখন সরকারদলীয় ব্যক্তি ও সরকারের কোটি কোটি টাকার দুর্নীতির খবরে মানুষ অতিষ্ট তখন এরা উলামাদের আর্থিক লেনদেন নিয়ে হাউকাউ শুরু করেছে। জাতি এই ধান্ধাবাজ অশুভ গোষ্ঠিকে চেনে।

কারা এদেরকে অর্থায়ন করে, তাদের মতলব কি তা মানুষ জানে। এরা হলো দুর্নীতির দোসর, লুটপাটের দোসর। এরা মানুষের ভাত-ভোটের অধিকার হরণকারীদের ছা-পোষা বুদ্ধিজীবি, এরা দুষ্ট প্রতিবেশির পা-চাটা গোলাম। তিনি বলেন, দেশের মানুষ তাদেরকে পাত্তা দেয় না। গুটিকয়েক মতলববাজী মিডিয়ার হুল্লোড় ছাড়া এদের কোন জনভিত্তি নাই। জনতা এদেরকে প্রতিহত করবে।

-এটি


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ