আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: বিএনপি ঐক্যের জন্য সংগ্রাম করছে বলে জানিয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। তিনি বলেন, আমরা আন্দোলনে আছি। আন্দোলনের গতি হয়তো পরিবেশ পরিস্থিতি বিবেচনায় বাড়বে বা কমবে। এটাই আন্দোলনের কৌশল। তবে আঘাত আসলে পাল্টা আঘাত। পাল্টা প্রতিরোধ গড়ে প্রতিশোধ নিতে হবে।
তিনি বলেন, আমরা এখন ঐক্যের জন্য সংগ্রাম করছি। এরপর একটি লক্ষ্য আদায়ের জন্য হবে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন। জাতীয় ঐক্য প্রতিষ্ঠা আর বেশি দূরে নয়। যে কোনো সময় সেটা জাতির সামনে উপস্থাপন করা হবে। সেইসঙ্গে আগামী দিনের আন্দোলনের রূপরেখা আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান তুলে ধরবেন। আমাদের প্রস্তুতি শেষ দিকে।
শুক্রবার (১৩ এপ্রিল) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
গয়েশ্বর বলেন, আমরা শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচনে যাব না। তবে যেনতেনভাবে আরেকটি নির্বাচন করতে দেওয়া হবে না। জনতার শক্তির কাছে কোনো শক্তি টিকতে পারবে না। আসুন তারেক রহমানের নেতৃত্বে রাজপথে নামার প্রস্তুতি নিন। আমরা বিশ্বাসযোগ্য আন্দোলন উপহার দিতে পারব।
বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতাদের উদ্দেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বলেন, নির্বাচকালীন সরকারের নাম নিয়ে কী যায় আসে? আগে ঐকমত্য হোন। তারপর নাম রাখা যাবে। কারণ সন্তান ভূমিষ্ঠ হলে পরেও নাম রাখা যায়।
এ সময় সরকারের উদ্দেশে গয়েশ্বর বলেন, দেশের ভোটাধিকার ও গণতন্ত্র ফিরিয়ে দেন। তাহলে জনগণ আপনাদের অবস্থা শ্রীলঙ্কার মতো করবে না।
তিনি বলেন, শ্রীলঙ্কা শতভাগ শিক্ষিত দেশ। এক সময়ের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধ দেশ আজকে ধসে পড়ল। কারণ সেখানকার ক্ষমতাসীন গোষ্ঠীর পরিবারের সদস্যরা লুটপাট করেছে। সেখানকার চেয়েও খারাপ অবস্থা বাংলাদেশে। বাংলাদেশে কী ঘটবে সেটা বলা যায় না। আমরা চাই না শ্রীলঙ্কার পরিস্থিতি বাংলাদেশে আসুক। কিন্তু শেখ হাসিনা সেখান থেকে শিক্ষা নিয়ে সাবধান হোন।
দিনের ভোট রাতে কাটে মন্তব্য করে গয়েশ্বর বলেন, আজকে দেশের মানুষ ভোট দিতে পারেনি, পারে না। আমরা সব রাজনৈতিক দল যদি একসঙ্গে বলি নির্বাচনে যাব না, তাহলে নির্বাচন কমিশন আর ইভিএম নিয়ে কথা হবে না। আমরা অযথা সময় নষ্ট করছি কেন? মানুষকে সঙ্গে নিয়ে রাজপথে নামতে হবে। আমাদের নেতা তো খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমান। খালেদা জিয়া বন্দি কিন্তু তারেক রহমান তো নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তিনি ফ্যাসিবাদ থেকে বাংলাদেশ মুক্ত করতে চান।
তিনি আরও বলেন, এ সরকার পদত্যাগ করলেই শুধু হবে না জাতীয় সংসদ বিলুপ্ত করতে হবে। তা না হলে ২০১৪ সালের মতো নির্বাচন হবে। সংসদ বহাল রেখেই কীভাবে আরেকটি সংসদ নির্বাচন হয়?
-এএ