আদিয়াত হাসান: দীর্ঘ দুই বছর পর সোমবার (৯ মে) তুরস্কের ইস্তাম্বুল বিমানবন্দর থেকে ওমরাহ যাত্রীদের প্রথম কাফেলা দেশত্যাগ করেছে। করোনা মহামারীজনিত কারণে ২০২০ সাল থেকে স্থগিত ওমরাহ সফর পুনরায় শুরু হওয়ায় উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছে দেশটির ধর্মপ্রাণ মানুষজন।
প্রথম ওমরা যাত্রায় থাকা একজন জাকরি এলগার। এর আগে বেশ কয়েকবার তিনি ওমরা ও হজ পালন করলেও এবারের সফর তার কাছে ভিন্ন আবেগের। তিনি বলছেন, ‘আমি এর আগেও ওমরা সফরে গিয়েছি। কিন্তু পবিত্র ভূমি মুখে এবারের যাত্রায় বেশ উত্তেজনা কাজ করছে। মনে হচ্ছে যেন কাবা প্রাঙ্গণে প্রথমবার যাচ্ছি।’
‘আমি জানতাম যে ওমরা যাত্রার প্রথম কাফেলায় আমি থাকবো। তাই এ দিনটির জন্য বেশ অপেক্ষায় ছিলাম। আল্লাহর কাছে দোয়া করি তিনি যেন দেশের সবাইকে নিরাপদে ওমরা ও হজ করার তাওফিক দেন।’- উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে কথাগুলো বলেন, তুরস্কের ওমরা যাত্রী জাকরি এলগার
তবে তার ফ্লাইট হওয়ার কথা ছিল পবিত্র রমজান মাসে। বরকতের মাসে ওমরা করতে না পারার কারণে কিছু আফসোসও দেখা যায় এলগারের কথার মধ্যে।
এ কাফেলার আরেকজন যাত্রী গুনি শাহীন। তিনি জানান এটি তার প্রথম ওমরা সফর। এই মাহেন্দ্রক্ষণের জন্য তিনি দীর্ঘ ৩ বছর ধরে অপেক্ষমান ছিলেন। ফ্লাইটে ওঠার সময় তিনি আবেগে কথা বলতে পারছিলেন না। শুধু বলছিলেন, আল্লাহর লাখো কোটি শুকরিয়া আদায় করছি।
এদিকে ওমরা আয়োজনকারী সংস্থার পরিচালক মুহাম্মদ আলী জাতের বলেন, করোনা মহামারির কারণে ২০২০ সাল থেকে সৌদি আরব ওমরা সফর বন্ধ করে দিয়েছিল। দীর্ঘ প্রতিক্ষার পর সে দরজা আবার খুললো। ওমরার ভিসা চালু হবে শুনেই মানুষের মাঝে এর চাহিদা বেড়ে যায়। আমরা চেষ্টা করবো ধীরে ধীরে ওমরা প্রত্যাশীদের সবাইকে ওমরার সুযোগ দেয়ার। আজ আমরা মক্কায় ওমরা পালনের জন্য প্রথম কাফেলা পাঠাচ্ছি। আমি নিজেও এই কাফেলার সঙ্গী হচ্ছি।
-কেএল