নূর মুহাম্মদ রাহমানী।।
আমল সংগ্রহের মাস পবিত্র রমজান প্রায় শেষ হয়ে আসছে। মুসলিম জাতি পরম আনন্দে অপেক্ষা করছে পবিত্র ঈদুল ফিতরের। এটি পবিত্র রমজান মাস শেষে খুশি ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশের জন্য পালন করা হয়।
ঈদের দিন মানেই খুশির দিন। এটি মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে বান্দার জন্য পুরস্কার ও উপঢৌকন। রমজানের রোজার মাধ্যমে ইবাদত এবং এ বরকতময় মাসের পূর্ণাঙ্গতায় মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে বিশেষ পুরস্কারের দিন।
আল্লাহ তায়ালা ঈদের আনন্দ দান করার আগে রমজানের রোজা মুসলমানদের ওপর ফরজ করেছেন যাতে একমাস পর্যন্ত সারাদিন পানাহার থেকে বিরত থেকে নিজের কুপ্রবৃত্তির ওপর নিয়ন্ত্রনের শক্তি অর্জিত হয়। আর এর মাকসাদও এই যে, আমরা আল্লাহর নৈকট্য অর্জন করব এবং তার নেককার বান্দাদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাব। আল্লাহ তায়ালা কোরআনেও এরশাদ করেছেন, ‘হে যারা ঈমান এনেছ, তোমাদের ওপর রোজা ফরজ করা হয়েছে, যেমন ফরজ করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তী লোকদের ওপর, যেন তোমরা তাকওয়া অর্জন করতে পারো।’ (সুরা বাকারা : ১৮৩)
সদকাতুল ফিতর
ঈদুল ফিতরের গুরুত্বপূর্ণ আমল সদকাতুল ফিতর। এ বছর নিত্য ঋণ ও প্রয়োজনীয় বস্তু বাদে ঈদের দিন কারও কাছে স্বর্ণ, রুপা ও নগদ টাকা মিলে পঞ্চাশ হাজার (৫০০০০) টাকার মতো সম্পদ থাকলে তার ওপর সদকাতুল ফিতর আদায় করা ওয়াজিব হয়ে যাবে। (আর উক্ত সম্পদে পূর্ণ একবছর অতিবাহিত হলে তার ওপর জাকাতও ফরজ হয়ে যাবে) সে ক্ষেত্রে পরিবারের প্রত্যেক সদস্যের জন্য (গম/আটার দাম হিসেবে) মাথাপিছু সর্বনিম্ন ৭০ টাকা এবং (পনীরের দাম হিসেবে) সর্বোচ্চ তিনহাজার (৩০০০) টকা পরিশোধ করতে হবে।
রোজা অবস্থায় আমাদের অনেক ত্রুটি-বিচ্যুতি ঘটে যার কারণে রোজা না ভাঙলেও তা ত্রুটিযুক্ত হয়ে যায়। এজন্য আল্লাহ তায়ালা সদকাতুল ফিতরের প্রতি গুরুত্বারোপ করেছেন। এর দ্বারা আমাদের রোজার ত্রুটির ক্ষতিপূরণ হবে, রোজা পরিশুদ্ধ ও পরিচ্ছন্ন হবে এবং আমাদের পাপ মিটে যাবে।
এ ছাড়াও এ ফিতরা প্রদানের মাধ্যমে গরিব-অসহায় মানুষ ঈদের আনন্দে শামিল হতে পারবে। তাদের মুখে নির্মল হাসি ফুটবে। আমাদের নবীজি (সা.)ও ঈদের খুশিতে অন্যদের শরিক করতেন। তাই ঈদের আগেই অন্তত ঈদের নামাজে যাওয়ার আগে সদকাতুল ফিতর দিয়ে দেওয়া। সাহাবায়ে কেরামের অনেকেই ঈদের দুই এক দিন আগে সদকাতুল ফিতর দিয়ে দিতেন।
খাদ্যদ্রব্য দিয়ে যেমন সদকাতুল ফিতর আদায় করা যায় তেমনি মূল্য দিয়েও আদায় করা যায় তবে মূল্য দিয়ে সদকাতুল ফিতর আদায় করা উত্তম। কারণ মূল্য দিয়ে দিলে সে এটা দিয়ে প্রয়োজনীয় সবকিছুই কিনতে পারবে। সাহাবায়ে কেরাম মূল্য দিয়েও সদকাতুল ফিতর আদায় করেছেন। মুআজ ইবনে জাবাল (রা.) ইয়ামানবাসীদের বলেন, ‘তোমরা তোমাদের সদকার মধ্যে কাপড় নিয়ে এসো খাদ্র্য দ্রব্যাদির পরিবর্তে। সেটা তোমাদের জন্য অধিকতর সহজ এবং মদিনার সাহাবিদের জন্য অধিক উপযোগী।’ (বুখারি, হাদিস : ১১৪৭)
ঈদের আগে জাকাত
ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভ। এর মধ্যে একটি হলো জাকাত। আল্লাহ তায়ালা নিসাব পরিমাণ সম্পদের অধিকারী মুসলমানদের ওপর যেমন সদকাতুল ফিতর আবশ্যক করেছেন ঠিক তেমনি সে পরিমাণ সম্পদে এক বছর অতিবাহিত হলে এর ওপর জাকাতও ফরজ করেছেন।
রমজানের সঙ্গে জাকাতের কোনো সম্পর্ক নেই। তবে মানুষ এ মোবারক মাসে জাকাত পরিশোধ করতে পছন্দ করেন। এটা একটি ভালো দিক। শুধু সদকাতুল ফিতর তো আর বেশি টাকা না। তাই সদকাতুল ফিতরের সঙ্গে সঙ্গে এ মাসে জাকাত আদায় করা হলে এতে অভাবী মানুষেরা একটু স্বাচ্ছন্দে সুন্দরভাবে ঈদ পালন করতে পারবে।
ঈদে নফল দান-সদকা
সদকাতুল ফিতর, জাকাত ও আবশ্যকীয় দান ছাড়াও বিত্তবানদের সম্পদে অভাবী হতদরিদ্রদের হক রয়েছে। আল্লাহ বলেন, ‘তাদের ধন-সম্পদে অভাবগ্রস্ত ও বঞ্চিতের হক ছিল।’ (সুরা জারিয়াত : ১৯) এখানে বঞ্চিত বলতে যারা চাইতে পারে না তাদের কথাই বুঝানো হয়েছে।
অন্য আয়াতে আল্লাহ বলেন, ‘দান ওই সকল অভাবগ্রস্তদের জন্য-যারা আল্লাহর পথে অবরুদ্ধ হয়ে গেছে, জীবিকার সন্ধানে জমিনে ভ্রমণ করতে সক্ষম হয় না; নিবৃত থাকার কারণে অজ্ঞ লোকেরা তাদের অভাবমুক্ত মনে করে; তোমরা তাদেরকে তাদের লক্ষণ দ্বারা চিনতে পারবে। তারা মানুষের কাছে কাকুতি-মিনতি করে চায় না।’ (সুরা বাকারা : ২৭৩) তাই নফল দান-সদকা করার জন্যও ঈদের সময়টা একটি উপযুক্ত ও সুন্দর সময় যেহেতু তা আগেভাগে দিলে রমজানে হবে। আর রমজানে তো দান করলে মিলবে অজস্র নেকি।
দান-খয়রাতে আত্মীয়-স্বজনকে প্রাধান্য দেওয়া
আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধু-বান্ধব অসচ্ছল হলে মনে মনে সদকাতুল ফিতর ও জাকাতের নিয়ত করে এগুলো ঈদ সালামি বা ঈদ উপঢৌকন হিসেবেও তাদের দেওয়া যেতে পারে। (হিদায়া : ১/২০৬) আত্মীয়কে দান করলে দ্বিগুণ সওয়াব পাওয়া যায়।
এক হাদিসে নবী (সা.) বলেছেন, ‘(অনাত্মীয়) মিসকিনকে দান করা একটি সদকার সওয়াব। আর আত্মীয়কে দান করা দ্বিগুণ সওয়াব। একটি হলো সদকার সওয়াব আরেকটি হলে আত্মীয়তা বন্ধন রক্ষা করার সওয়াব।’ নাসায়ি, হাদিস : ২৫৮১)
হাদিয়া আদান-প্রদান
ঈদের সময় আমরা সাধারণত আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধু-বান্ধবের মাঝে হাদিয়া আদান-প্রদান করি এটা শরিয়তে আবশ্যকীয় কিছু না। হাদিয়ার আদবের প্রতি খেয়াল রেখে পারষ্পরিক ভালোবাসা ও সম্পর্ক বৃদ্ধির জন্য হাদিয়া আদান-প্রদান করতে কোনো অসুবিধা নেই ; বরং বলা যায় এগুলোর জন্য ঈদের মৌসুম হলো উপযুক্ত সময়। তবে এগুলো নিয়ে অন্যায় প্রতিযোগিতা করা যাবে না।
শায়খ ইবনে উসাইমিন (রহ.) বলেন, ঈদের দিন মানুষ পরষ্পর হাদিয়া-উপঢৌকন বিনিময় করে। একজন আরেকজনকে খাবারের দাওয়াত দেয়। একসঙ্গে হয়ে আনন্দ প্রকাশ করে এতে দোষের কিছু নেই। কেননা এটি ঈদের দিন।
ঈদের রাত
রমজান শেষ হতেই ঈদের রাত আরম্ভ হয়ে যায় যেটাকে আমরা অনেকে চাঁদ রাত বলে ব্যক্ত করি। হাদিসে এ রাতের ফজিলত ও মাহাত্ম্যের বয়ান এসেছে। ঈদের রাতে ইবাদতকারীর অন্তর কিয়ামতের দিন মরবে না। উবাদা ইবনে সামেত (রা.) থেকে বর্ণিত, ‘যে ব্যক্তি ঈদুল ফিতর এবং ঈদুল আজহার রাতকে (ইবাদতের মাধ্যমে) জীবিত রাখবে তার অন্তর ওই দিন মরবে না যেদিন অন্যদের অন্তর মরে যাবে। (আল মুজামুল আওসাত : ১৫৯)
মুজাহিদ (রহ.) বলেন, ফজিলত ও মাহাত্ম্যের দিক থেকে ঈদুল ফিতরের রাত রমজানের শেষ দশকের রাতের মতো। এ রাতকে পুরস্কারের রাত বলে অভিহিত করা হয়। (কিয়ামে রমজান লিমুহাম্মদ ইবনে নসর মারওয়াজি, পৃষ্ঠা ২৬২) তাই এ রাতে অযথা বাজারে-মার্কেটে ঘুরাঘুরি ও আড্ডা না দিয়ে ইবাদতে থাকা হবে মুমিন বান্দার সওয়াব অর্জনের মোক্ষম সুযোগ।
ঈদের দিনের সুন্নত ও মুস্তাহাব
ঈদের দিনের প্রাণ ঈদের সুন্নত ও মুস্তাহাবগুলো দিকে মনোযোগী হওয়া কর্তব্য। মুস্তাহাবগুলো হলো-১. গোসল করা, ২. মিসওয়াক করা, ৩. বৈধ উৎকৃষ্ট পোষাক পরিধান করা, ৪. সুগিন্ধি ব্যবহার করা, ৫. শরিয়ত মোতাবেক সাজগোজ করা, ৬. খুব ভোরে জাগ্রত হওয়া; যাতে প্রয়োজন সেরে দ্রুত ঈদগাহে যাওয়া যায়, ৭. ঈদুল ফিতরের নামাজে যাওয়ার আগে মিষ্টি জাতীয় কিছু খেয়ে যাওয়া (যেমন বেজোড় সংখ্যায় খেজুর হতে পারে)।
৮. ঈদের নামাজে যাওয়ার আগে সদকাতুল ফিতর আদায় করে দেওয়া, ৯. ফজরের নামাজ মহল্লার মসজিদে আদায় করা, ১০. ইদগাহে পায়ে হেঁটে যাওয়া, ১১. ঈদের নামাজের জন্য ঈদগাহে এক রাস্তা দিয়ে যাওয়া এবং অন্য রাস্তা দিয়ে ফেরা। ১২. ঈদুল ফিতরের নামাজে যেতে ঘর থেকে বের হওয়ার সময় দোয়া পড়া-‘আল্লাহুম্মা ইন্নি খারাজতু ইলাইকা মাখরাজাল আবদিল জলিল।’ মহানবী (সা.) এ দোয়াটি পড়তেন। ১৩. ঈদুল ফিতরের নামাজে রাস্তায় আস্তে আস্তে তাকবির (আল্লাহু আকবার) বলতে বলতে যাওয়া। (আল বিনায়া শরহুল হিদায়া : ৩/১০১)।
ঈদ মোবারক বলা
ঈদ মোবারক বলতে কোনো অসুবিধা নেই। রাসুল (সা.) ও সাহাবায়ে কেরামের আমল থেকেও বিষয়টি প্রমাণিত। তবে উত্তম হলো ঈদের মোবারকবাদ ‘তাকাব্বালাল্লাহু মিন্না ওয়া মিনকা’ শব্দে হওয়া। খালেদ ইবনে মাঅদান (রহ.) বলেন, আমি ঈদুল ফিতরের দিন ওয়াসেলা ইবনে আসকা (রা.)-এর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে বললাম, ‘তাকাব্বালাল্লাহু মিন্না ওয়া মিনকা’ অর্থাৎ আল্লাহ আপনার ও আমার পক্ষ থেকে কবুল করুন। তারপর ওয়াসেলা (রা.) বলেন, আমি ঈদের দিন রাসুল (সা.)-এর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তাকাব্বালাল্লাহু মিন্না ওয়া মিনকা বললে তিনি উত্তরে বললেন, হ্যাঁ, তাকাব্বালাল্লাহু মিন্না ওয়া মিনকা।’ (আস-সুনানুল কোবরা লিল-বাইহাকি : ৬২৯৪)
ঈদগাহে মুসাফাহা, মুআনাকা
ঈদ খুশির দিন তাই বলে শরিয়ত বলে না এমন কাজ আমরা না করি। যেমন ধরুন ঈদের নামাজের পরেই আমরা ঈদগাহে একটি বেদআতে লিপ্ত হই। সেটা হলো মুসাফাহা ও মুআনাকা। প্রকৃত সত্য কথা এটাই যে, ঈদগাহে মুসাফাহা ও মুআনাকা বেদআত। তবে এমন যদি হয় যে, কারও সঙ্গে অনেকদিন পর ঈদের মাঠেই দেখা হলো, তাহলে তার সঙ্গে মুসাফাহা, মুআনাকা করতে অসুবিধা নেই। বিশিষ্ট মুফতি কেফায়েতুল্লাহ (রহ.) বলেন, ঈদে মুআনাকা করা কিংবা ঈদের বৈশিষ্ট্য মনে করে মুসাফাহা করা শরিয়তসম্মত নয়; বরং এটি শুধু একটি প্রথা বৈ কিছু নয়। (কেফায়েতুল মুফতি : ২/১১১-১১২)
ঈদে খাওয়া-দাওয়া
ঈদের দিন ভালো খাবার-দাবারে বিশেষ মনোযোগ দিলেও কোনো অসুবিধা নেই। সেটা কোনো হোটেলে হলেও অসুবিধা নেই। তবে যেখানে মদ্যপান করা হয়, গান-বাদ্যের আওয়াজ আসতে থাকে কিংবা গুনাহের পরিবেশ বিরাজমান থাকে সেখানে খেতে না যাওয়াই শ্রেয়।
বৈধ বিনোদন
পরিবার নিয়ে ঈদভ্রমন করতে কোনো অসুবিধা নেই। এমনিভাবে গুনাহের পরিবেশ নেই এমন নৈসর্গিক মনোরম এলাকা ও বিনোদন কেন্দ্রেও যাওয়া যায়।
ইবনে হাজার আসকালানি (রহ.) বলেন, ঈদের দিনে পরিবারের জন্য সব ধরনের বৈধ বিনোদনের ব্যবস্থা করে দেওয়া যাতে তাদের অন্তর প্রফুল্ল থাকে। শরীরটাকেও এদিন ইবাদত-বন্দেগি থেকে একটু হালকা রাখা। এদিন নফল ইবাদত না করাই শ্রেয়। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো ঈদের দিনে আনন্দ প্রকাশ দ্বীনের নিদর্শন। (ফাতহুল বারি ২/৫১৪) তবে বেগানা ছেলে-মেয়ে একসঙ্গে পিকনিকের জন্য নৌভ্রমণ কিংবা আনন্দ ভ্রমণে বের হয়ে পড়া শরিয়তের দৃষ্টিতে খুবই আপত্তিকর। তাই এ ধরনের কার্যকলাপ থেকে সম্পূর্ণ বিরত থাকা চাই।
ঈদের আনন্দ নারী-পুরষ সবার জন্য
ঈদের দিন মা-বোনদের সারাদিন শুধু চুলাতেই ব্যস্ত থাকতে দেখা যায়। তারা এটা-সেটা বানাতে থাকেন। বাচ্চাদের সাজাতে ব্যস্ত থাকেন। নিজেরা একদম সাধারণ পোষাকে থাকে। এমনটা কাম্য নয়। ঈদ শুধু শিশুদের নয়। ঈদ সবার জন্য। সবার আনন্দ এখানে কাম্য। শোয়ে বসে থাকা এবং অলসতা প্রকাশ করাও এদিনে শোভা পায় না। এটা ঈদের দিনের আল্লাহ প্রদত্ত পুরস্কারের অবমূল্যায়ন।
সবাই মিলে আমরা ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করব। তবে মুসলমান হিসেবে আমরা ঈদ এমনভাবে পালন করব যেন শরিয়ত পরিপন্থি আবার কিছু না হয়ে যায়। শরিয়তের আলোকেই আমাদের ঈদ পালন করব। সব ধরনের বানানো বিদআত ও নবআবিষ্কৃত বিষয় পরিহার করে চলব। ইবাদতের বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ দিনটি যেন আমাদের ভুল আমলে নষ্ট করে না ফেলি সেদিকে খেয়াল রাখব। শরিয়ত ও সুন্নত মোতাবেক ঈদ পালন করলে ঈদ পালনও হবে, সওয়াবও হবে ইনশাআল্লাহ।
লেখক: মুঈনে মুফতি ও মুহাদ্দিস, জামিয়া আরাবিয়া দারুল উলুম বাগে জান্নাত, চাষাড়া, নারায়ণগঞ্জ।
-এটি