আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশে’র সাবেক মহাসচিব ও রাজধানীর বারিধারা মাদরাসার মুহতামিম শায়খুল হাদীস আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমী রহ. ২০২০ সালের ২৬ এপ্রিল বলেছিলেন, পবিত্র রমজানে রোজা পালনের পাশাপাশি অধিক হারে ইবাদত-বন্দেগী ও সৎকর্মে আত্মনিয়োগ এবং যাবতীয় গুনাহ পরিত্যাগের সংকল্প করতে হবে।
তিনি বলেছিলেন, হিংসা-বিদ্বেষ, হানাহানি, আত্মঅহংবোধ ভুলে গিয়ে সুখী, সুন্দর, সহনশীল সমাজ প্রতিষ্ঠার মাস রমজান। মুসলিম সম্প্রদায়ের জন্য রমজান মাস অনাবিল আনন্দের। এ আনন্দ পূর্ণ মাস রোজা রাখা এবং অধিক ইবাদত, দান-সাদক্বা, লাইলাতুল ক্বদর ও ইতিকাফের মাধ্যমে আল্লাহর নৈকট্য লাভের আনন্দ।
তিনি আরো বলেছিলেন, রমজান মাসে আত্মসংযমের মাধ্যমে ঈমানদারগণ যাতে দৈহিক ও আত্মিক দিক থেকে সর্বশক্তিমান আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভে নিয়োজিত হয়, সে উদ্দেশ্যে এ মাসে ঈমানদারগণ ইবাদতে অধিক উদ্বুদ্ধ হয় এবং গুনাহ পরিত্যাগ করে মহান আল্লাহর সান্নিধ্য লাভের চেষ্টা করে।
আল্লামা কাসেমী আরো বলেছিলেন, রমজানের অপর নাম হচ্ছে তাকওয়া অর্জন। আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের নিয়্যাতে সব ধরনের গুনাহ থেকে দূরে থাকা এবং ইবাদত ও সৎকর্মে মনোনিবেশের নামই তাকওয়া। আল্লাহর সান্নিধ্য লাভের একমাত্র উপায় এই তাকওয়া। সুতরাং যাবতীয় অন্যায় কাজ থেকে বিরত থেকে ভালো কাজ করতে পারলেই আমাদের জন্য মাহে রমজান সফল ও সার্থক হবে। আর এ শিক্ষা যদি বাকি ১১ মাস কাজে লাগানো যায়, তবে পৃথিবীতে কোন অশান্তি, অনাচার ও জুলুম থাকবে না।
তিনি বলেছিলেন, বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশের মানুষও বর্তমানে করোনা মহামারির সংকটে আক্রান্ত। নিঃসন্দেহে এটা সমগ্র মানবজাতির জন্য বড় এক বিপদ। কুরআন-হাদীসের ভাষ্যমতে মানুষের ব্যক্তিগত ও সমষ্টিগত পাপ এবং অপরাধমূলক কর্মকা- ব্যাপকতর হয়ে পড়লে এ ধরনের মহামারির বিপদ নেমে আসে। সবাইকে বেশি বেশি আমল ও দান-সদকা করার আহ্বান জানান তিনি।
এনটি