আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: কোনো পুরুষ অভিভাবক বা মাহরাম ছাড়াই নারীদের ওমরাহ পালনের অনুমতি দিয়েছে সৌদি আরব।
১৮ থেকে ৬৫ বছর বয়সী নারীরা পুরুষ অভিভাবক ছাড়া ওমরাহ'র এই সুযোগ পাবেন। তবে দীর্ঘদিনের এই রীতি বাতিল করে নারীদের ওমরাহ পালনের জন্য একটি শর্ত দেওয়া হয়েছে। সেটি হলো, কোনো দলের সঙ্গে ওমরাহ পালনে যেতে হবে নারীদের।
স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমের বরাত দিয়ে শনিবার গাল্ফ নিউজ জানিয়েছে, সৌদি আরবের হজ ও ওমরাহ বিষয়ক মন্ত্রণালয় নতুন এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। দেশটির হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয় বলেছে, নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ওমরাহ বা হজযাত্রার জন্য আবেদন করা নারীদের আংশিকভাবে টিকা নেওয়া থাকতে হবে। অর্থাৎ কমপক্ষে ১ ডোজ টিকা নিতে হবে তাদের। এছাড়া কোনো ধরনের অসুস্থতা থাকা যাবে না।
মন্ত্রণালয় আরও বলেছে, সৌদি আরবে বসবাসরত এবং সৌদি নাগরিক, যারা গত ৫ বছরে হজ করেননি তারা চলতি বছরে হজের জন্য নিবন্ধন করতে পারবেন।
মূলত গত বছরই সৌদি আরব আনুষ্ঠানিকভাবে সব বয়সী নারীদের ‘মাহরাম’ ছাড়াই হজ পালনের অনুমতি দেয়। তবে নারীদের অবশ্যই একটি দলের অংশ হতে হবে বলে শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়।
ফিকাহ শাস্ত্র মতে, পুরুষের চেয়ে একটি শর্ত বেশি পালন সাপেক্ষে নারীর জন্য হজ ফরজ। আর তাহলো- ‘মাহরাম’। মাহরাম ছাড়া নারীর জন্য হজ পালনে বাধ্যবাধকতা নেই।
নারীর জন্য প্রথম মাহরাম হলো তার স্বামী। অতঃপর যাদের সঙ্গে ইসলামি বিধান মোতাবেক দেখা-সাক্ষাৎ করা জায়েজ এবং যাদের সঙ্গে বিবাহ হওয়া হারাম। ইসলামের পরিভাষায় তারাই নারীর জন্য মাহরাম। এসব লোকদের সঙ্গে সামর্থবান নারীরা হজে গমন করতে পারবে।
তেল-নির্ভর অর্থনীতি থেকে রক্ষণশীল সৌদি আরবকে বের করে আনতে ব্যাপক সামাজিক সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছেন দেশটির যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান। জ্বালানি তেল বেচে রাজকীয় জীবনযাপনের যে আয়েশ দেশটি এতদিন ভোগ করেছে তা নিয়ে শঙ্কা থেকেই সৌদির সমাজে রূপান্তর শুরু করেছেন তিনি।
পশ্চিমা দুনিয়ায় এমবিএস নামে পরিচিত মোহাম্মদ বিন সালমান ক্ষমতায় আসার পর সৌদি আরবে নারীদের প্রথমবারের মতো গাড়ি চালানো এবং পুরুষ অভিভাবক ছাড়াই বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়।
-এটি