শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪ ।। ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬


সরকারি ছুটি কমছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: করোনার কারণে শিক্ষার ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে নানা পদক্ষেপের অংশ হিসেবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সরকারি ছুটি কমানো হচ্ছে। শ্রেণিকক্ষে পাঠদান বাড়ানো এবং শিক্ষার্থীদের ক্লাসমুখী করতে বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

আসন্ন রমজানের মধ্যে উচ্চ শিক্ষায় পরীক্ষাও চালু থাকবে। প্রাথমিক-মাধ্যমিক-উচ্চ মাধ্যমিকের ক্লাস চলবে ২০ রমজান পর্যন্ত। করোনাকালে প্রাথমিক থেকে উচ্চ মাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত বার্ষিক বা অর্ধবার্ষিক পরীক্ষা হয়নি। এমনকি বার্ষিক ক্যালেন্ডার অনুসরণ করা হয়নি।

বর্তমানে সারাদেশে করোনা সংক্রমণ ১ শতাংশের নীচে এবং মৃতু্যহার শূন্যের কোটায় নেমে আসায় গত ২২ ফেব্রম্নয়ারি থেকে প্রাথমিক মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পুরোদমে শ্রেণিকক্ষে পাঠদান শুরু হয়েছে।

এখন শিক্ষা মন্ত্রণালয় চলতি শিক্ষাবর্ষের আগামী দিনগুলোর সর্বোত্তম ব্যবহার করে শিক্ষার ক্ষতি কীভাবে কাটিয়ে ওঠা যায় সে পরিকল্পনা নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে শিক্ষাবর্ষের অবশিষ্ট সময়ে সরকারি ছুটি কমানো হবে। বর্তমানে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিশেষ করে প্রাথমিক এবং মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষার্থীর উপস্থিতি কত তা নিয়মিত মনিটরিং করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

শিক্ষাবর্ষের স্বাভাবিক রুটিন অনুসারে অর্ধবার্ষিক ও বার্ষিক পরীক্ষা সময়মতো কীভাবে নেয়া হবে তার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। দুই বছরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীদের কি পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে তা বের করতে কাজ করছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ক্লাসে কত সংখ্যক শিক্ষার্থী অনুপস্থিত থাকছে সে বিষয়েও তথ্য নেওয়া হবে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, এ বিষয়ে আগামী সপ্তাহে মোটা দাগে একটি বিশেষ নির্দেশনা দেওয়া হবে। পরে সে অনুযায়ী নেওয়া হবে ব্যবস্থা।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব আমিনুল ইসলাম খান বলেন, 'প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ক্লাসে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতির তথ্য নেওয়া হচ্ছে। সপ্তাহে ছয় দিন প্রতিটি বিষয়ে ক্লাস নেয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। ক্ষতি পোষাতে অতিরিক্ত ক্লাসের পরিকল্পনাও নেওয়া হয়েছে। শিগগিরই ক্ষতি পুষিয়ে ওঠার চেষ্টা করা হবে, 'পরিস্থিতি যেহেতু স্বাভাবিক হয়েছে। আমরা পরিকল্পনা নিয়ে এগুতে পারি।'

শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সের অন্তত ৯৯ শতাংশ শিক্ষার্থী প্রথম ডোজের টিকা পেয়েছে। আর ৮৭ শতাংশ দ্বিতীয় ডোজ পেয়েছে। এ জন্য স্বাভাবিক শিক্ষা কার্যক্রমে আর তেমন কোনো ঝুঁকি নেই বলে করোনা সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি সূত্রে বলা হয়েছে। করোনার কারণে প্রায় ১৮ মাস পর গত ১২ সেপ্টেম্বর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো খুলে দেওয়া হয়েছে।

এরপর করোনার ওমিক্রনের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়ায় গত ২২ জানুয়ারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হয়। পরবর্তীতে ২২ ফেব্রম্নয়ারি আংশিক ক্লাস শুরু হয়। আর গত ১৫ মার্চ থেকে সব ধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে স্বাভাবিক শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হয়েছে।

-কেএল


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ