জুলফিকার জাহিদ।।
নারায়ণগঞ্জে শীতলক্ষ্যা নদীতে যাত্রীবাহী লঞ্চ দুর্ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিস, নৌ পুলিশ বিআইডব্লিউটিএ ও কোস্টগার্ডের উদ্ধার কাজে সহযোগিতা করছে ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ।
দলের নারায়ণগঞ্জ মহানগর শাখার একটি সেচ্ছাসেবক টিম এই সহযোগিতা করছে বলে আওয়ার ইসলামকে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় প্রচার ও মিডিয়া উপ কমিটির সহকারী সমন্বয়কারী শহিদুল ইসলাম কবির।
তিনি বলেন, অনান্য সময়ের মত এবার দুর্ঘটনায় মানবতার সেবায় পাশে দাঁড়িয়েছে ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ। উদ্ধার কাজে তিনি ফায়ার সার্ভিস, নৌ পুলিশ বিআইডব্লিউটিএ ও কোস্টগার্ড ও ইসলামী ছাত্র আন্দোলননের সফলতা কামনা করেন।
প্রসঙ্গত, আজ দুপুর ২টার দিকে যাত্রীবাহী লঞ্চকে এমভি রূপসী জাহাজ ধাক্কা দিলে লঞ্চটি ৫০ জন যাত্রীসহ ডুবে যায়। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত নারী ও শিশুসহ ৬ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া ১৫ জন নিখোঁজ রয়েছে বলে ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা গেছে।
ধাক্কা দেওয়া এমভি রূপসী জাহাজটিকে আটক করা হয়েছে। রোববার সন্ধ্যার দিকে মুন্সীগঞ্জের ডক ইয়ার্ড থেকে জাহাজটিকে আটক করা হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ।
এদিকে লঞ্চ ডুবির ঘটনায় নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়, নৌপরিবহন অধিদপ্তর ও জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে পৃথক তিনটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
রোববার দুপুর ২টার দিকে নারায়ণগঞ্জ লঞ্চ টার্মিনাল থেকে এম এল আশরাফ উদ্দিন নামে একটি যাত্রীবাহী লঞ্চ প্রায় ৫০ জন যাত্রী নিয়ে মুন্সিগঞ্জের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়।
সোয়া দুইটার দিকে বন্দরের আল আমিন নগরের বাংলা সিমেন্ট ঘাট এলাকায় এলে এমভি রূপসী ৯ নামের সিটি গ্রুপের একটি মালবাহী জাহাজ দ্রুত গতিতে অতিক্রম করার সময় যাত্রীবাহী লঞ্চটিকে পেছনের দিক থেকে ধাক্কা দেয়। এতে লঞ্চটি ডুবে যায়। এ সময় ১০-১৫ জন যাত্রী সাঁতরে তীরে উঠলেও অনেকেই নিখোঁজ হন।
এনটি