আব্দুল্লাহ আফফান।।
প্রতিদিন আমাদের র্দীঘ সময় ব্যয় হয় জ্যামে বসে। এই সময়ে কেউ কানে হেডফোন গুঁজে রাখে। কেউ ফেসবুকে নিউজ ফিড স্ক্রল করে। অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়া চালায়। পাশের জনের সাথে গিবতেও লিপ্ত হয় অনেকে। একজন মুমিনের সময় অহেতুক ভাবে কাটানো কাম্য নয়। একজন মুমিন জ্যামের সময় কীভাবে কাটাবে- এ বিষয়ে পরামর্শ দিয়েছেন সাইয়েদ আসআদ মাদানী রহ. এর খলিফা, রাজধানীর জামিয়া শরইয়্যাহ মালিবাগের ভাইস প্রিন্সিপাল, শেখ জনূরুদ্দীন রহ. দারুল কুরআন মাদরাসার মুহাদ্দিস মুফতি হাফিজুদ্দীন।
সময় আল্লাহ তায়ালার দেয়া অনেক বড় একটি নেয়ামত। পাঁচটি সময়কে রাসূল সা. মূল্যায়ন করতে বলেছেন। পাঁচটি বিষয়ের মধ্যে একটি হচ্ছে অবসর সময়। অবসর সময়কে কাজে লাগালে তার অস্থিরতা কমে। মানুষ যখন কোন কাজ না করে বসে থাকে তখন পেরেশানি বাড়ে। ওই সময়ে যদি কোন আমলে থাকে, তাহলে রুহানীভাবে আল্লাহ তায়ালা তাকে প্রশান্তি দান করেন। পাশিপাশি মানসিক অস্থিরতা কেটে যায়। তাছাড়া সওয়াব তো আছেই।
প্রত্যেক মুমিনের উচিত জ্যামসহ অন্যান্য অবসর সময় আমলে কাটানো। সে যদি কিছু নাও করে তাহলেও সে জ্যামে বসে থাকতে হবে। মনের ভেতরে তৈরি হওয়া অস্থিরতার দ্বারা জ্যাম ছুটবে না। তাই অহেতুক পেরেশান না হয়ে এই সময়গুলোকে কিছু উপায়ে কাজে লাগানো যেতে পারে:-
কুরআন তেলাওয়াত: সেসব ভাই-বোনরা কুরআন তেলাওয়াত করতে পারেন, তারা দেখে তেলাওয়াত করতে পারেন। মুখস্ত থাকলে সেগুলো পড়তে পারেন। সূরা ইয়াসিন, সূরা ওয়াকিয়া, সূরা মূলকসহ অনেক ফজিলতে সূরা আছে। সেগুলো তেলাওয়াত করা যেতে পারেন।
জিকির করা: যারা কুরআন তেলাওয়াত করতে পারেন না, তারা তসবিহ তাহলিল, জিকির আযকার করতে পারেন।
ইসতেগফার পড়া: আরেকটি আমল হচ্ছে ইস্তেগফার করা। এটা অনেক মুফিদ আমল। রাসূল সা. বলেন, যে ব্যক্তি সব সময় ইস্তেগফার পড়বে। তার সামনে যত ধরনের বালা মুসিবত, বাধা-বিপত্তি আসলে আল্লাহ তায়ালা সেগুলো কাটিয়ে দেন।
যেমন, আমি কোথায়ও যাওয়ার জন্য বের হলাম। রাস্তায় জ্যামে আটকে আছি। আমিও একটা পেরেশানির মধ্যে আছি। এখন আমি যদি ইস্তেগফার পড়ি তাহলে আল্লাহ তায়ালা মানসিক প্রশান্তিও দিবেন এবং রাস্তাও খুলে দেয়ার আল্লাহ ব্যবস্থা করবেন।
এছাড়াও সুবহানাল্লাহ, আলহামদুলিল্লাহ, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ, আল্লাহ সবগুলোই মুফিদ। সাধারণ মানুষের জন্য আল্লাহ আল্লাহর জিকির সহজ।
অনেকের ক্ষেত্রে দেখা যায়- একটা আমল দীর্ঘক্ষণ করতে বিরক্ত লাগে, তারা কিছুক্ষণ কুরআন তেলাওয়াত করল, কিছুক্ষণ সুবহানাল্লাহ সুবহানাল্লাহি ওয়াবি হামদিহি সুবহানাল্লাহিল আজিম। এগুলো ঘুরিয়ে ফিরিয়ে পড়তে থাকবেন। তার আমলও হয়ে যাবে, পেরেশানিও কমবে।
কোন মুমিন ভাই যদি এই কাজগুলো করেন, তাহলে দুনিয়া আখেরাত সব দিক থেকেই সে লাভবান হবে।
-কেএল