রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪ ।। ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :

ধরে নিয়ে যাওয়া ১৮ জেলেকে ফেরত দিচ্ছে না মিয়ানমার

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: বঙ্গোপসাগর থেকে মাছ ধরে ফেরার পথে ধরে নিয়ে যাওয়া বাংলাদেশি ১৮ জেলেকে ৪দিন পার হতে চললেও ফেরত দেয়নি মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি)। এনিয়ে উৎকণ্ঠার মধ্যে রয়েছেন জেলে পরিবারগুলো।

মঙ্গলবার (১৫ মার্চ) বঙ্গোপসাগর থেকে মাছ ধরে ফেরার পথে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌপথের নাইক্ষ্যংদিয়া নামক এলাকা থেকে তাদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে মিয়ানমারে নিয়ে যান সে দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদস্যরা। এ ঘটনায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) পক্ষ থেকে জেলেদের ফেরত চেয়ে ভাইবারের মাধ্যমে যোগাযোগ করা হলে বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে আশ্বস্ত করেছেন মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ।

টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ জালিয়াপাড়ার জহুরা খাতুন। তার দুই সন্তান সোলতান আহমদ ও রশিদ আহমদ। মঙ্গলবার তাদের ধরে নিয়ে যায় মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী। তবে দুই সন্তান কোথায় আছেন, কেমন আছেন? জানেন না এই মা। সন্তানদের জন্য বার বার কান্নায় ভেঙে পড়ছেন জহুরা বেগম। জহুরা খাতুন বলেন, ‘টাকা রোজগারের জন্য ছেলেরা মাছ শিকারে গেছে, কিন্তু আজও ফিরে এলো না। এখন কবে ছেলেরা ফিরবে সেই অপেক্ষায় প্রহর গুনছি।

মিয়ানমার বিজিপি ধরে নিয়ে যাওয়া জেলেরা হলেন: মো. জসীম (২৫), সাইফুল ইসলাম (২৩), মো. ফায়সেল (২৩), আবু তাহের (২২), মো. ইসমাইল (২০), মো. ইসহাক (২৪), আব্দুর রহমান (২৪), নুর কালাম (২৬), মো. হোসেন (২২), হাসমত (২৫), মো. আকবর (২৩), নজীম উল্লাহ (১৯), রফিক (২০), সাব্বির (২৫),মো. হেলাল (২৫), রেজাউল করিম(১৮), রমজান (১৬), জামাল (২১)। তারা সবাই টেকনাফ শাহপরীর দ্বীপ জালিয়া পাড়া এলাকার বাসিন্দা।

শুধু জহুরা খাতুন নন; এখন টেকনাফ শাহপরীর দ্বীপ জালিয়াপাড়া এলাকার জেলে পরিবারগুলোতে চলছে কান্নারোল। আর সবাই মিয়ানমার বাহিনী ধরে নিয়ে স্বজনরা কখন দেশে ফিরে আসবে এই অপেক্ষা প্রহর গুনছেন এবং সরকার যাতে দ্রুত তাদের দেশে ফেরত আনে সেই অনুরোধ করছেন।

মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপির হাতে আটক জেলে হেলালের ভাই আয়াছ জানান, ‘চার দিনেও ভাইদের ফেরত দেয়নি। ফলে পরিবারের স্বজনরা খুবই ভয়ভীতির মধ্য রয়েছে। তারা কেমন আছেন কেউ কিছু বলতে পারছে না। তাছাড়া প্রায় সময় সাগর থেকে জেলেদের ধরে নিয়ে যায় মিয়ানমার বিজিপি। অনেক সময় মুক্তিপণ দিয়ে ফেরে আবার অনেক সময় জেলও দেয়।’

-এটি


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ