রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪ ।। ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
ঢাকা থেকে ভাঙ্গা হয়ে খুলনায় গেলো পরীক্ষামূলক ট্রেন নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করবেন প্রধান উপদেষ্টা: প্রেস উইং ধর্মীয় মূল্যবোধ ও সাম্যের ভিত্তিতে সংবিধান রচনার আহ্বান নেপালে ফের কুরআন প্রতিযোগিতার আয়োজন করছে সৌদি আগামীকাল সংবিধান সংস্কার কমিশনে প্রস্তাবনা পেশ করবে ইসলামী আন্দোলন ‘আল্লামা আতহার আলী রহ. জীবন, কর্ম, অবদান’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন আগামীকাল হাজী ইমদাদুল্লাহ মুহাজিরে মক্কী রহ. : কে এই মহান ব্যক্তি হাজিদের স্বার্থ রক্ষায় সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ : ধর্ম উপদেষ্টা মহানবীকে সা. নিয়ে কটূক্তি করলে সংবিধানে শাস্তির বিধান রাখার প্রস্তাব পার্থের নতুন নির্বাচন কমিশন প্রত্যাখ্যান জাতীয় নাগরিক কমিটির

গরমে কী খাবেন, কী খাবেন না?

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: প্রতিদিনই গরমের দাপট বাড়ছে। এই গরমে বিভিন্ন রোগ বালাই লেগেই থাকে। তাই সব দিক থেকেই আমাদের সচেতন থাকতে হবে। প্রচণ্ড গরম শুধু অস্থিরতারই কারণ না, এর সঙ্গে আমাদের এনার্জি লেভেলও কমিয়ে দেয়। এনার্জি লেভেল বাড়াতে খাদ্যের তালিকা ঠিক করতে সতর্ক হওয়া প্রয়োজন। তাই চলুন জেনে নেই এই গরমে কি খাবেন আর কি খাবেন না।

গরমে কী খাবেন?

অতিরিক্ত তেল বা ভাজাভুজি এড়িয়ে চলুন। কাঁচা আম, শসা, লাউ, ঝিঙে, পটল, কলমি শাক, পাট শাক পেলে অবশ্যই খান। তবে যে কোনও ফল বা সবজি কাটার আগে ভালোভাবে ধুয়ে নিন।

রান্নায় জিরা, ধনে, আদা, মৌরির মতো মশলাপাতির ব্যবহার বন্ধ করবেন না। রসুন শরীরের স্বাভাবিক প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ায়। তাই অবশ্যই রসুন খাবেন। সকালে ঘুম থেকে উঠে জোয়ান ভেজানো পানি খেয়ে দিন শুরু করতে পারেন। তাতে হজমের সমস্যা এড়ানো যায়।

বিশুদ্ধ পানি: পর্যাপ্ত পরিমাণে বিশুদ্ধ পানি পান করতে হবে। প্রাপ্তবয়স্ক ও কর্মক্ষম নারী-পুরুষের প্রতিদিন কমপক্ষে চার থেকে পাঁচ লিটার পানি পান করা প্রয়োজন।

নানা রকমের ফল: গ্রীষ্মের সময় বিভিন্ন মৌসুমি পাওয়া যায়। এর মধ্যে আম, কমলা, তরমুজ ইত্যাদি জাতীয় রসালো ফল তীব্র গরমের জন্য খুবই উপকারী। তবে যে কোনো ফল খাওয়ার আগে বাসায় এনে ভালো করে ধুয়ে খেতে হবে।

ফলের জুস ও শরবত: ফল অনেকেই খেতে চায় না। অথচ স্বাস্থ্য ভালো রাখতে, ওজন কমাতে ফল যে অত্যন্ত উপকারী তা কে না জানে। ফল খেতে সমস্যা হলে তা জুস করে খেতে পারেন। তবে দোকান থেকে কেনা নয়, অবশ্যই বাড়িতে বানানো ফ্রেশ জুস খান। এর রয়েছে প্রচুর স্বাস্থ্যগুণ। এছাড়া গরমে ঘরের তৈরি স্যালাইন, ডাব, বেলের শরবত খেতে পারেন। এছাড়া পানীয় হিসেবে টক দই দিয়ে লাচ্ছি অথবা ইসবগুলের ভুসিও খেতে পারেন।

দই চিড়া: এই গ্রীষ্মের প্রচণ্ড দাবদাহে একটু প্রশান্তি পাওয়ার জন্য গরমের খাবার হিসেবে দই চিড়ার কোনও জুড়ি নেই। এছাড়া বিভিন্ন ধরণের পেটের পীড়ার জন্যও স্বস্তিদায়ক খাবার দই চিড়া। রেসিপির ভিন্নতায় সামান্য দই চিড়াও দিতে পারে অসামান্য স্বাদ, গরমে দিতে পারে স্বস্তি।

গরমে যা খাবেন না-

প্রথম ও প্রধান সাবধানতা হল- বাইরের খোলা জায়গার পানি, শরবত, আখের রস খাওয়া পরিহার করা। এগুলো গ্রহণের ফলে ডায়রিয়া, আমাশয় হয়। এতে আপনার আর্থিক ব্যয় বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে মৃত্যুঝুঁকিও থাকে।

অতিরিক্ত মসলা: খাবারে অতিরিক্ত মসলা ও মসলাজাতীয় উপকরণ শরীরের তাপমাত্রা বাড়িয়ে দেয়। এ কারণে গরমের সময় খাবারে অতিরিক্ত মসলা ব্যবহার পরিহার করা উচিত।

তৈলাক্ত ফাস্ট ফুড: গরমের সময় মাংসের তৈরি বার্গার, কাবাব, ফ্রাইসহ অন্যান্য তেলজাতীয় ফাস্টফুড ও খাবার পরিহার করলে ভালো থাকবেন।

সস: বিভিন্ন খাবারের স্বাদ বাড়ায় সস। কিন্তু সুস্থতার জন্য গরমের সময় পনিরজাতীয় সস এড়িয়ে চলাই উচিত। কারণ এতে প্রচুর ক্যালোরি ও লবণ থাকে।

অতিরিক্ত চা-কফি: চা ও কফি শরীরের তাপ বাড়ায়। তা ছাড়া গরমে চিনিসহ কফিজাতীয় পানীয় শরীরকে পানিশূন্য করে। মুখমণ্ডলকে করে তোলে রক্তিম। এ কারণে গ্রীষ্মের সময় যতটা সম্ভব অতিরিক্ত চা-কফি পানে বিরত থাকুন।

রোদ থেকে এসে বা অতিরিক্ত পরিশ্রমের পর সঙ্গে সঙ্গে ঠাণ্ডা পানি বা খাবার খাওয়া ঠিক নয়। প্রচণ্ড রোদে বা খুব পরিশ্রমের পর পাকস্থলীর কর্মক্ষমতা কিছুটা হ্রাস পায়। তাই এ সময় প্রথমে সাধারণ তামপাত্রার পানি পান করুন। কিছুক্ষণ বিশ্রাম করে তারপর ঠাণ্ডা পানি বা অন্যান্য খাবার গ্রহণ করুন। এই গরমে স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ করুন, সুস্থ থাকুন।

-এএ


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ