মিছবাহ উদ্দীন আরজু
মহেশখালী প্রতিনিধি>
বাংলাদেশের একমাত্র পাহাড়ী দ্বীপ মহেশখালী। কক্সবাজার থেকে নৌপথে নৈসর্গিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি মহেশখালীতে আসতে হয় কক্সবাজার ৬নং ঘাট হয়ে। দ্বীপ উপজেলা মহেশখালীর প্রধান সড়কের পাশ জুড়ে রয়েছে পাহাড়। তার উপরে দাঁড়িয়ে আছে সারি সারি গাছ। শীতের সময় এখানে ভীড় জমায় দেশ-বিদেশের পর্যটক।
মহেশখালী জেটিঘাট থেকে শুরু করে পৌরসভার বিভিন্ন রোডসহ কালারমারছড়া ও হোয়ানক ইউনিয়নের প্রধান সড়কের পাশে গাছে গাছে শোভা পাচ্ছে মহান আল্লাহর জিকির। দুর্ঘটনা থেকে বাঁচতে গাছে লাগানো পোস্টারগুলো পথচারীদের সাহস যোগায় বলে মনে করেন পৌর ও ইউনিয়নবাসী।
এই দ্বীপের বিভিন্ন রোডের প্রায় অর্ধশতাধিক গাছে মহান আল্লাহর জিকির সম্বলিত ছোট আকারের সাদা কাগজে লেখা রয়েছে- বিসমিল্লাহ, মাশা'আল্লাহ, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ, সোবাহানআল্লাহ, আলহামদুলিল্লাহ ও ফি আমানিল্লাহসহ আল্লাহ তায়ালার গুণবাচক নামসমূহ।
স্থানীয়রা জানায়, সড়কের দুই পাশের গাছ-গাছালি আলো বাতাস প্রশান্তি দেয়। গাছে লাগানো পোস্টার আমাদেরকে সাহস জোগায় এবং আকর্ষণও বাড়িয়েছে পথচারীদের। এই ধরণের মহৎ ও ব্যতিক্রমী উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন স্থানীয় সচেতন মহল।
স্থানীয়রা আরও জানান, চলার পথে সৃষ্টিকর্তার নাম ও প্রশংসা সম্বলিত লেখাগুলো তাদের আনন্দ দেয়। চোখ পড়তেই লেখাগুলো পড়েন, এটি সওয়াবের কাজ। যারা এগুলো গাছে সাঁটিয়েছে তারা তো সওয়াব পাচ্ছেন। আমরাও চলার পথে জিকির করে সওয়াব পাচ্ছি। এটা খুবই ভালো উদ্যোগ বলে তারা জানান।
মহেশখালী দ্বীপে এসে প্রথমেই চোখে পড়লো আল্লাহর গুণবাচক নামের এই ছোট পোস্টারগুলি যা দেখে মুগ্ধ না হয়ে পারছি না। এমনটিই আলোচনা করতে শুনা যায় আসিফ ও হামিদ নামের পর্যটকের মুখে।
এ বিষয়ে মহেশখালীর খতীবে আযম (রহ.) স্মৃতি সংসদ ও ইসলামী গণপাঠাগারের দায়িত্বশীল কারী মাওলানা মাহবুবুল আলম ও মাওলানা নুরুল আবছার জানান, মানুষের বিপদ থেকে রক্ষা এবং কল্যাণের জন্য মহান আল্লাহ তায়ালার মহিমাময় নামের জিকিরগুলি সড়কের গাছে-গাছে লাগানো হয়েছে নিশ্চয়। এতে করে মানুষ বড় ধরনের সড়ক দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পাবে ইনশাআল্লাহ। যারা এই মহৎ কাজের উদ্যোগ নিয়েছে তাদের জন্য আমরা দোয়া করবো ইনশা'আল্লাহ। যে বা যারা এই মহৎ কাজের উদ্যোগ নিয়েছে আল্লাহ তায়ালা তাদের উত্তম বদলা দান করুন- আমিন।
-এএ