আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: ডিম হচ্ছে সবচেয়ে ঝামেলামুক্ত খাবার । ঘরে থাকলে চাইলেই এটা ভেজে, রান্না করে বা সিদ্ধ করে খাওয়া যায়। কিন্তু কখনো কি ভেবে দেখেছেন ডিম সংরক্ষণের সঠিক উপায় কী?
অনেকের ধারণা, ফ্রিজে ডিম রাখলে এর স্বাদ নষ্ট হয়ে যায়। আবার কেউ কেউ মনে করেন, ফ্রিজে রাখলেই ডিমের পুষ্টি গুণ দীর্ঘদিন অক্ষুন্ন থাকে।
ডিম সংরক্ষণের পদ্ধতিগুলোর ভালো-মন্দ দিক তুলে ধরা হয়েছে ভারতীয় গণমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ডিম সংরক্ষণ করার সবচেয়ে নিরাপদ পদ্ধতি কি তা নিয়ে অনেক প্রশ্ন রয়েছে। মাছ বা মাংসের মতো, ডিম যদি সঠিকভাবে সংরক্ষণ না করা হয় তাহলে বিপজ্জনক ব্যাকটেরিয়া জন্মাতে পারে। ডিম খেয়ে বিষক্রিয়া হওয়ার অন্যতম কারণ হল 'সালমোনেলা' নামের পরিচিত একটি ব্যাকটেরিয়া।
ডিম সংরক্ষণের সবচাইতে প্রচলিত পদ্ধতি হল রেফ্রিজারেইশন বা হিমায়িত করা। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো আমাদের দেশেও এভাবে ডিম সংরক্ষণ করা হয়।
তবে ফ্রিজে ডিম রাখার কারণে ‘সালমোনেলা’ ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস হয় না, শুধু বৃদ্ধি রোধ করে। ফলে ওই ডিম খেয়ে অসুস্থ হওয়ার আশঙ্কা কমে। আবার ফ্রিজে থাকলে ডিমের খোসা ভেদ করে ভেতরে প্রবেশ করা ব্যাকটেরিয়ার জন্য জটিল হয়ে পড়ে। ফ্রিজে থাকলে ডিম বেশিদিন ভালো থাকে। তবে তার আগে ডিম ভালোভাবে পরিস্কার ও জীবাণু মুক্ত করা থাকলেই এভাবে হিমায়িত পদ্ধতিতে ডিম সংরক্ষণ করা উচিত।
বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ফ্রিজের দরজাতে ডিম রাখার তাক করা থাকে। ফলে ফ্রিজ খোলার সময় ওই ডিম বাইরে বেরিয়ে আসে। বারবার ফ্রিজ খোলা হলে তাপমাত্রার তারতম্যে কারণে ডিমে ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ হতে পারে। আবার ফ্রিজে রাখা ডিম বাইরে আধ ঘণ্টা এক এঘন্টা রাখলেও ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ দেখা দিতে পারে। ফ্রিজে দীর্ঘদিন সংরক্ষণ করতে চাইলে ডিম ভেতরের দিকে রাখা উচিত।
কক্ষ তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করলে ডিম এক থেকে তিন সপ্তাহ পর্যন্ত খাওয়া যেতে পারে।
তবে বিশেষজ্ঞদের মতে,ডিমের জীবাণু ধ্বংসের সবচেয়ে সহজ পদ্ধতি ডিম হলো সিদ্ধ করে খাওয়া।
এনটি