আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: পটুয়াখালীর আউলীয়াপুরের বলইকাঠী সংলগ্ন লোহালিয়া নদীতে সাঁতার কাটতে নেমে নিখোঁজ ঢাকার দক্ষিনখানের মাদ্রাসাছাত্র ইজাজুল ইসলামের এখনো সন্ধান মেলেনি।
শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত উদ্ধার তৎপরতা অব্যাহত রেখেছে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল। এর আগে বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে নদীতে নেমে নিখোঁজ হয় ইজাজুল।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আউলীয়াপুরের বলইকাঠীতে বন্ধুর চাচাতো বোনের বিয়ে উপলক্ষে তাদের বাড়িতে বৃহস্পতিবার বেড়াতে আসে ঢাকার দক্ষিনখান এলাকার মাদ্রাসা ছাত্র ইজাজুল ইসলাম। স্থানীয় বন্ধু মাসুদ ও ঢাকার বাপ্পি তিন বন্ধু তারা ঢাকা থেকে আসে। দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে বাড়ির কাছে লোহালিয়া নদীতে গোসলে নেমে সাঁতার কাটতে গিয়ে নিখোঁজ হন ইজাজুল।
নদীতে প্রচণ্ড ঢেউ থাকায় তার সাথে থাকা বাকি ছয়জন তীরে আসতে পারলেও তলিয়ে যায় সে। মাসুদ ও বাপ্পিকেও মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে স্থানীয়রা।
খবর পেয়ে পটুয়াখালী ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশনের পাঁচ সদস্যের একটি দল উদ্ধার অভিযান চালিয়েও নিখোঁজের কোনো সন্ধান পাননি।
নিখোঁজ ইজাজুল রাজধানীর দক্ষিনখান এলাকার একটি মাদ্রাসার হেফজ সম্পন্ন করে বাংলা দশম শ্রেণির ছাত্র ছিলেন এবং কিশোরগঞ্জ জেলার তারাইল উপজেলার কল্লা গ্রামের মৃত আশ্রাফ আলী ও মিনারা বেগমের ছেলে।
পটুয়াখালী সদর থানার ওসি মো. মনিরুজ্জামান জানান, ইজাজুল বন্ধু মাসুদের সাথে তার গ্রামের বাড়ি সদর উপজেলার আউলীয়াপুর ইউনিয়নের বলইকাঠী গ্রামে বেড়াতে আসে। মাসুদ ওই এলাকার নিজাম উদ্দিন আশ্রাফের ছেলে। তার চাচা নাসির খানের মেয়ের বিয়ে উপলক্ষে তারা বেড়াতে এসেছিলো। দুপুরে ইজাজুল, মাসুদ ছাড়া আরও পাঁচজনসহ মোট ৭ বন্ধু বাড়ির কাছে লোহালিয়া নদীতে গোসল করতে নামে। এরপর ছয়জন তীরে ফিরে আসলেও ইজাজুল স্রোতে ভেসে যায়। নিখোঁজ ছাত্রকে উদ্ধারে ফায়ার সার্ভিস সদস্যরা কাজ করছেন।
পটুয়াখালী ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশনের স্টেশন মাস্টার মো. রেজওয়ান জানান, খবর পেয়ে তাদের ৫ সদস্যের ডুবুরি দল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত উদ্ধার চেষ্টা চালায়। আজ সকাল থেকেও তাদের উদ্ধার তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে।
এনটি