রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪ ।। ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
ঢাকা থেকে ভাঙ্গা হয়ে খুলনায় গেলো পরীক্ষামূলক ট্রেন নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করবেন প্রধান উপদেষ্টা: প্রেস উইং ধর্মীয় মূল্যবোধ ও সাম্যের ভিত্তিতে সংবিধান রচনার আহ্বান নেপালে ফের কুরআন প্রতিযোগিতার আয়োজন করছে সৌদি আগামীকাল সংবিধান সংস্কার কমিশনে প্রস্তাবনা পেশ করবে ইসলামী আন্দোলন ‘আল্লামা আতহার আলী রহ. জীবন, কর্ম, অবদান’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন আগামীকাল হাজী ইমদাদুল্লাহ মুহাজিরে মক্কী রহ. : কে এই মহান ব্যক্তি হাজিদের স্বার্থ রক্ষায় সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ : ধর্ম উপদেষ্টা মহানবীকে সা. নিয়ে কটূক্তি করলে সংবিধানে শাস্তির বিধান রাখার প্রস্তাব পার্থের নতুন নির্বাচন কমিশন প্রত্যাখ্যান জাতীয় নাগরিক কমিটির

হিজাব পরায় ৬ শিক্ষার্থীকে অপমানের অভিযোগ প্রধান শিক্ষক রতন বড়ুয়ার বিরুদ্ধে

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

জুলফিকার জাহিদ।।

চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলার সাতবাড়িয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে হিজাব পরায় দশম শ্রেণীর ৬ শিক্ষার্থীকে লাঞ্ছিত ও অপমান করার খবর পাওয়া গেছে স্কুলের প্রধান শিক্ষক রতন কুমার বড়ুয়ার বিরুদ্ধে।

এ ঘটনায় শিক্ষার্থীরা উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাদিয়া ইসলামের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন।

অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, বিনীত নিবেদন এই যে, আমরা সাতবাড়ীয়া বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর ছাত্রী হই। গত ২৭/০২/২০১২ তারিখ প্রতিদিনের মত বােরকা পড়ে ক্লাস করতে আসি। অত্র বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রতন কুমার বড়ুয়া আমাদের দশম শ্রেণীর ইংরেজী ১ম পত্র ক্লাস নিতে আসলে আমরা কয়েক জনকে বােরকা ও নেকাব পড়া অবস্থায় দেখে আমাদের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে বলে তােমরা বােরকা ও নেকাব কেন পড়ে আসছাে? এই বলে ক্লাসের সকল ছাত্রছাত্রীদের সামনে আমাদেরকে অকথ্য ভাষায় গালি গালাজসহ চিৎকার করে করে বলে উঠে তােমাদেরকে কালাে কাকের মতাে দেখাচ্ছে, এই..সেই..।

যদি তোমরা পরবর্তী সময় থেকে বােরকা ও নেকাব পড়ে ক্লাসে আসে তাহলে তােমাদেরকে স্কুল থেকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বের করে দেব। আমরা অপমান সইতে না পেরে ক্লাসে কান্নায় ভেঙ্গে পড়ি, আমাদের কান্নার রােল দেখে পুরো ক্লাসের সবাই কান্না বিজড়িত হয়ে পড়ে।

ইতিপূর্বে অনেক ছাত্রীকে এই রকম আচরণ করার কারণে তারা ভয়ে এখন বােরকা ও নেকাৰ পড়া ছেড়ে দিয়ে স্কুল পােক পড়ে স্কুলে আসে।

অতএব মহোদয়ের নিকট বিনীত প্রার্থনা এই যে, আমরা সম্রান্ত মুসলিম পরিবারের সন্তান হওয়ায় ধর্মীয় রীতি নীতি অনুসরণে বিশ্বাসী হই। এমন মুসলিম বিদ্ধেষী আচরণের খবর পেয়ে আমাদের পরিবার দুশ্চিন্তার মধ্যে দিন কাটাচ্ছে। সুতরাং উপরােক্ত বিষয়গুলাে ধর্মীয় রীতিনীতি অনুযায়ী বিচার বিশ্লেষণ পূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে মহোদয়ের মর্জি হোক।

এদিকে এ ঘটনাটি নিয়ে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়েছে। পরবর্তীতে বিষয়টির জন্য ক্ষমা চেয়েছেন সাতবাড়িয়া স্কুলের প্রধান শিক্ষক রতন কুমার বড়ুয়া। স্কুল ড্রেসের সঙ্গে হিজাবের কালার মিলিয়ে রাখার প্রতি তিনি গুরুত্ব দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন।

নিজের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তিনি বলেন, স্কুলের প্রধান শিক্ষক হিসেবে প্রতিটি ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকা আমার পবিত্র দায়িত্ব। স্কুল ড্রেসের প্রতি মানুষের একটা আকর্ষণ থাকে। বোরকার রং স্কুল ড্রেসের রং এর সাথে মিল রাখলে ভালো হয়। ধর্মীয় পোশাকের প্রতি আমার শ্রদ্ধা এবং সন্মান বোধ রয়েছে। উক্ত বিষয় নিয়ে কিছু ভুল বুঝাবুঝি হয়েছে।

মানুষের-ই তো ভুল হয়।আমিও তো একজন মানুষ। ধর্মীয় বিষয়টি সবকিছুর উর্ধেব। ধর্মকে অবমাননা করার সাহস,ক্ষমতা এবং মনোভাব কোনটা-ই আমার নেই, কারণ আমি ধর্মকে শ্রদ্ধা এবং সন্মান করি। তারপরও আমার ছেলে মেয়ের সমতুল্য ছাত্রছাত্রীসহ আপনাদের সকলের নিকট আমি দুঃখিত,ব্যথিত এবং মর্মাহত। যেহেতু ধর্মীয় বিষয়,তাই আপনাদের প্রতি বিনম্র ভাবে তথা মনে-প্রাণে ক্ষমা প্রার্থনা করছি। আশা করি আপনারা নিজগুণে আমাকে ক্ষমা করে দেবেন।

আমরা জানি ইসলাম অর্থ শান্তি। বিশ্বে ইসলাম উল্লেখযোগ্য স্থান দখল করে আছে।ইসলাম ধর্মসহ সকল ধর্মে র প্রতি করজোড়ে বিনম্র শ্রদ্ধা এবং সন্মান জানাচ্ছি।আমাকে বুঝার চেষ্টা করুন। আলোচনার দরজা সকলের জন্য খোলা রইলো।

এনটি


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ