আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) এক ছাত্রী (২২) দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন।
এ ঘটনায় দোষীদের আটক ও শাস্তির দাবিতে বুধবার রাতে থানা ঘেরাও এবং বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকা-খুলনা মহাসড়ক অবরোধ করেছেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।
এ সময় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা ‘ধর্ষকদের চামড়া, তুলে নিব আমরা’, ‘বঙ্গবন্ধুর বাংলায় ধর্ষকদের ঠাঁই নাই’, ‘আমার তোমার বাংলায় ধর্ষকদের ঠাঁই নাই’ বিভিন্ন প্রতিবাদী স্লোগান দিতে থাকেন।
আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা থেকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের ঘোনাপাড়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অবস্থান করে অবরোধ ঘোষণা করেন।
এ নিউজ লেখা পর্যন্ত (বিকেল ৩টা) শিক্ষার্থীরা অবরোধ চালিয়ে যাচ্ছেন। দীর্ঘসময় অবরোধের ফলে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে যান চলাচল পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে। রাস্তায় অপেক্ষায় রয়েছে শত শত যানবাহন।
এর আগে ধর্ষণের সঙ্গে জড়িতদের আটকের দাবিতে শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাস থেকে গিয়ে বুধবার দিবাগত রাত ১২টা থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত গোপালগঞ্জ সদর থানা ঘেরাও করে রাখেন। এ ছাড়া এ ঘটনায় শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল ভবন তালাবদ্ধ করে রেখেছেন।
ধর্ষণের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পুলিশ তিনজনকে আটক করেছে। গোপালগঞ্জ সদর থানার ওসি মনিরুল ইসলাম এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আটকদের মধ্যে অন্তর (২১) ও জীবন (২০) নামে দুজন পরিচ্ছন্নতা কর্মীকে আটকের ঘটনায় শহরের অন্যান্য পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা নবীনবাগে রাস্তার ওপর আবর্জনা ফেলে অবরোধ করেছে।
অবরোধকারী শিক্ষার্থীরা বলেন, ধর্ষকদের দ্রুত আটক করে তাদের পরিচয় প্রকাশ, গুরুত্বপূর্ণ এলাকাসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা যেখানে অবস্থান করে সেসব জায়গাতে সিসি ক্যামেরা স্থাপন ও নিরাপত্তা বলয় তৈরিসহ চার দফা দাবি জানিয়েছি। আমাদের দাবি বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত অবরোধ চলবে।
গোপালগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ অ্যান্ড অপারেশন) নিহাদ আদনান তাহিয়ান বলেন, তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলে অভিযান চালানো হয়েছে। আমাদের টিম অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে। ইতিমধ্যে তিনজনকে জড়িত সন্দেহে আটক করা হয়েছে। আশা করছি খুব শিগগিরই জড়িত সকলকে আটক করা হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মো. রাজিউর রহমান বলেন, এ খবর পেয়ে আমরা তাৎক্ষণিকভাবে ওই শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা বলেছি এবং আমি নিজে এ ঘটনায় বাদী হয়ে গোপালগঞ্জ সদর থানায় মামলা দায়ের করেছি।
-এটি