আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: ফেনীর দাগনভূঞায় সম্পত্তি ভাগ-বাঁটোয়ারাকে কেন্দ্র করে হাজী আবু আহমেদ মাস্টার নামে এক ব্যক্তির লাশ দাফনে বাধা দিয়েছেন বঞ্চিত সন্তানেরা। পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে ১৪ ঘণ্টা পর বুধবার লাশ পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
পুলিশ ও নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, ফেনী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক ৯০ বছর বয়সী হাজী আবু আহমেদ।
গত মঙ্গলবার দিবাগত রাত দুইটায় দাগনভূঞা পৌর শহরের আমানউল্যাহপুর গ্রামের হাসপাতাল রোডস্থ জননী ম্যানশনে তিনি বার্ধক্যজনিত কারণে মৃত্যুবরণ করেন। তিনি উপজেলার উদরাজপুর গ্রামের মনু হাজী বাড়ির মৃত বজলের রহমানের ছেলে।
তার ৭ ছেলে ও ২ মেয়ে রয়েছে। এর মধ্যে ছেলে নেছার হাফেজ, সোহেল, কাউছার, হেলাল এবং মেয়ে জেসমিন আক্তার ও গোলশান আরাকে সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করে মরহুমের স্ত্রী ফিরোজা বেগম, ছেলে ইমাম উদ্দীন পারভেজ, এনায়েত উল্যাহ ফরহাদ ও নেয়ামত উল্যাহকে সব সম্পত্তি রেজিস্ট্রি করে দেন।
ওই দিন রাতে আবু আহমেদ মারা গেলে তার লাশ দাফনে বাধা দেন বঞ্চিতরা। এ সময় উভয়ের মাঝে সম্পত্তি নিয়ে হাতাহাতির ও মারামারির ঘটনা ঘটে। প্রতিবেশীরা জরুরি সেবা ৯৯৯ এ কল করলে সেখান থেকে দাগনভূঞা থানাকে অবহিত করে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি ও নিহতের সন্তানদের নিয়ে থানার ওসি মো. হাসান ইমাম বৈঠকে বসে সম্পত্তির বিষয়টি পরবর্তীতে সমাধান করার আশ্বাস দেন। পুলিশি পাহারায় ১৪ ঘণ্টা পর মরহুমের পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
হাজী আবু আহমেদের বঞ্চিত ছেলে সোহেল বলেন, আমার বাবাকে জিম্মি করে জোরপূর্বক কোম্পানীগঞ্জের বসুরহাট এলাকার ৬২ শতক এবং দাগনভূঞার আমান উল্যাহপুর ও উদরাজপুর গ্রামের ৭২ শতাংশ সম্পত্তি রেজিস্ট্রি করে নেয় মা ফিরোজা বেগম, ভাই ইমাম উদ্দিন পারভেজ, এনায়েত উল্যাহ ফরহাদ, নেয়ামত উল্যাহ।
দাগনভূঞা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাসান ইমাম বলেন, লাশ দাফনে বাধা দেওয়ার বিষয়টি শুনে ঘটনাস্থলে একদল পুলিশ নিয়ে যাই।
উভয় পক্ষের মাঝে বড় ধরনের অঘটনের আশঙ্কা দেখা দেওয়ায় স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও নিহতের স্বজনের উপস্থিতিতে লাশ দাফনের ব্যবস্থা করি। সম্পত্তির বিষয় নিয়ে পরবর্তীতে সকলকে নিয়ে বৈঠকের মাধ্যমে সমাধান করা হবে।
-এটি