আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে ট্রাকের নিচে চাপা পড়ে মাদ্রাসার শিক্ষার্থী নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। তবে পরিবারের অভিযোগ পূর্বপরিকল্পিতভাবে ট্রাকের নিচে চাপা দিয়ে মো. রাসেল মিয়াকে হত্যা করা হয়েছে। কারণ এর আগে সড়কে পিষে মারার হুমকি দেওয়া হয়েছিল।
গত সোমবার দুপুর ২টার দিকে উপজেলার হরিপুর ইউনিয়নের টেকপাড়ায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত রাসেল উপজেলার হরিপুর ইউনিয়নের টেকপাড়ার মো. আওয়াল মিয়ার ছেলে। সে স্থানীয় হরিপুর সুন্নিয়া আলিয়া মাদ্রাসার প্রথম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।
পরিবার ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত দুই বছর ধরে টেকপাড়া গ্রামের মাটির রাস্তা দিয়ে ৪০টি ট্রাক দিয়ে ইটভাটার জন্য মাটি আনা-নেওয়া করা হচ্ছে। ফলে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা।
গত ১৩ ফেব্রুয়ারি রাস্তা নষ্ট না করে মাটি আনতে বাধা দেয় নিহতের বাবা মো. আওয়াল মিয়া। কিন্তু ট্রাকের মালিক ও ইটভাটার অংশীদার মো. কাপ্তান মিয়া তার প্রতিবাদের বিষয়টি মেনে নিতে না পারায় তার দলবল নিয়ে ওই পরিবারসহ স্থানীয়দের হুমকি দেয়। এ সময় কাপ্তান স্থানীয়দের উপস্থিতিতে ঘোষণা দেয় ট্রাকের সামনে যা পড়বে সব মাটির সঙ্গে পিষে দিতে।
পরদিন সোমবার দুপুরে ট্রাক দিয়ে ইটভাটায় মাটি নেওয়ার সময় নিহত রাসেল মিয়া ট্রাকের সামনে এসে ট্রাকটি ধীরে চালাতে বলায় ট্রাকের নিচে চাপা দেয় চালক। এ সময় ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় রাসেলের। পরে নাসিরনগর থানার পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
এ বিষয়ে স্থানীয় ইসমাইল ও তাসলিমা খাতুন বলেন, রোববার সকালে ট্রাকের মালিক কাপ্তান ও তার দুই ছেলে এসে টেকপাড়ার সবাইকে হুমকি দিছে মাটি নিতে বাধা দিলে ট্রাকের সামনে যা পড়বে সব মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়া হবে বলে হুমকি দিয়েছে। তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করে মো. কাপ্তান দাবি করেন, ট্রাক ড্রাইভার ছেলেটিকে মারছে। এ বিষয়ে আমার কোনো দোষ নাই।
হুমকির বিষয়ে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, আমি কাউকে হুমকি দেইনি। নাসিরনগর থানার ওসি মো. হাবিবুল্লাহ সরকার বলেন, ট্রাকের নিচে চাপা পড়ে একজনের মৃত্যুর খবর শুনেছি। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হবে। তবে এখন পর্যন্ত কেউ মামলা করেনি।
-এটি