মিছবাহ উদ্দীন আরজু
মহেশখালী প্রতিনিধি>
লবণ মাঠের পলিথিনের সাথে এ কেমন শত্রূতা! একদিকে লবণের মূল্যে ধস, অন্যদিকে দাদন ব্যবসায়িদের টাকা শোধ করার জন্য লবণ উৎপাদনে যুদ্ধ নেমেছে প্রান্তিক চাষীরা। এমতাবস্থায় স্থানীয় অসহায় চাষীদের চাঁদার দাবীতে লবণ মাঠের পলিথিন কেটে দিয়েছে একদল স্থানিয় পেশাদার সন্ত্রাসীরা।
এতে লবণ চাষীদের অনুমানিক ১০ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছেন ভুক্তভোগী লবণ চাষী ইব্রাহিম, শফি উল আলম, ছোটন, বাশি, মফিজ, ফরহাদ, আব্দু শুক্কুর, জসিম, মিজান, বদয়, শফি উল্লাহ ও তারেক।
লবণ চাষী আরিফ জানান, কালারমারছড়ার ফকিরজুম পাড়ার মোহাম্মদ আমিন থেকে খানি ১৬ হাজার করে ৩৬ খানি লবণ মাঠ নিয়েছিল স্থানীয় ক্ষতিগ্রস্ত লবণচাষীরা। ওই ৩৬ কানি লবণ মাঠের পলিটিন কেটে দিয়েছে তারা।
ঘটনাটি ঘটেছে মহেশখালী উপজেলার কালারমারছড়া ইউনিয়নের মোহাম্মদ শাহ ঘোনা গ্রামের পশ্চিমে বালি তলি চিংড়ি প্রজেক্ট এলাকায়। বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে লবণ মাঠের পলিথিন কেটে দিয়ে তান্ডব চালিয়েছে সন্ত্রাসীরা
এদিকে খবর পেয়ে ১০ ফেব্রুয়ারী দুপুর ২ টার সময় মহেশখালী থানা পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ঘটনার সত্যতা পেয়েছেন। একই দিন বিকাল ৪ টার সময় ক্ষতিগ্রস্ত লবণ চাষিরা জড়িত সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার পুর্বক আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়ে তাক্ষনিক কালারমারছড়া বাজারে প্রতিবাদ সমাবেশ করেছেন।
লবণ চাষিরা জানান, ঘটনার দিন দিবাগত রাতে স্থানীয় যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্বাসের ছোট ভাই রুহুল হত্যার আসামীরা ১৫/২০ জনের সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা লবণ মাঠের পলিথিন কেটে ‘অর্ধ ফুটন্ত’ লবণ নষ্ট করে ফেলে। পর দিন সকালে লবণ মাঠে গিয়ে চাষী এ অবস্থা দেখে হতবিহব্বল হয়ে পড়েন।
মহেশখালী থানার উপ-পরিদর্শক আবু বক্কর জানান, ঘটনাটি শুনার পর আমি ঘটনা স্থলে গিয়েছিলাম। চাষিদের মাঠের পলিটিন কেটে দিয়েছে এতে তাদের লাখ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
মহেশখালী থানার ওসি মোহাম্মদ আব্দুল হাই জানান, এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেলে ঘটনার সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
-এটি