যুবায়ের আহমাদ: ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ এর মুহাদ্দিস, মুফতি ওয়ালীয়ুর রহমান খান ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (কুষ্টিয়া) থেকে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেছেন।
জানা যায়, গত ৭ ফেব্রুয়ারি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় কুষ্টিয়ায় অনুষ্ঠিত ২৫৪তম সিন্ডিকেট সভায় তাকে পিএইচডি ডিগ্রি প্রদান করা হয়। আলহাদীস এন্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের প্রফেসর ড. মো মুজাহিদুর রহমানের তত্ত্বাবধানে এই ডিগ্রির অভিসন্দর্ভ ছিল ‘মুহাম্মাদ আশিক ইলাহী বুলন্দশহরী: ইসলামী শিক্ষায় তার অবদান’।
মুফতি ওয়ালীউর রহমান খান কিশোরগঞ্জের ধর্মীয় ঐতিহ্যবাহী এক পরিবারে ২ মে, ১৯৬৯ জন্ম গ্রহণ করেন। বাংলাদেশ কওমি মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ড বেফাকের সাবেক মহাসচিব ও আজীবন সহসভাপতি, জামিয়া ইমদাদিয়ার সাবেক উপাধ্যক্ষ মাওলানা আতাউর রহমান খান তার পিতা।
তিনি দৈনিক ইনকিলাবের সিনিয়র সহকারি সম্পাদক মাওলানা উবায়দুর রহমান খান নদভীর ছোটভাই এবং কবি মুহিব খানের বড় ভাই।
কিশোরগঞ্জের জামিয়া ইমদাদিয়ার প্রতিষ্ঠাকাল থেকে আজীবন প্রিন্সিপাল হিসেবে দায়িত্বপালনকারী পীরে কামেল মাওলানা আহমাদ আলী খান রহ. তার দাদা।
ড. ওয়ালিয়ুর রহমান পবিত্র হিফজুল কোরআন থেকে কওমি মাদ্রাসার সর্বোচ্চ স্তর দাওরায়ে হাদিস সম্পন্ন করেন কিশোরগঞ্জ জামিয়া ইমদাদিয়াতেই।
এছাড়া ঢাকা নেসারিয়া কামিল মাদ্রাসা থেকে কৃতিত্বের সঙ্গে কামিল পাস করেন। একটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর (এমএ) ডিগ্রি নেন। দেশের অন্যতম শীর্ষ কওমি মাদ্রাসা রাজধানী ঢাকার জামিয়া হুসাইনিয়া আরজাবাদ মাদ্রাসা থেকে ইফতা (মুফতি) সনদ লাভ করেন।
মুফতি ওয়ালীউর রহমান খান শিক্ষাজীবন শেষে ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ’র মুহাদ্দিস (প্রথম শ্রেণি) পদে যোগ দেন ২০০৫ সালে। তাছাড়া বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদে বিকল্প ইমাম হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।
পাশাপাশি বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের ঈদ জামাতে ২০০৬ সাল থেকে প্রতি বছরই তিনি ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুহাদ্দিসের গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকায় জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটি, ফিতরা নির্ধারণ কমিটিসহ ধর্মীয় বিভিন্ন বিষয়ের রাষ্ট্রীয় সিদ্ধান্তে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হয় তাকে। দেশের বিভিন্ন টিভি চ্যানেল টকশোতে নিয়মিত আলোচনা করেন তিনি।
ড. ওয়ালিয়ুর রহমান খানের লেখা ১২টি গ্রন্থ, ৫টি গবেষণা এবং পত্র-পত্রিকায় শতাধিক প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে। জামিয়া রহমানিয়াসহ ঢাকার বিভিন্ন মাদ্রাসায় বুখারি, মুসলিম, নাসাঈ, আবূ দাউদ, মিশকাত, জালালাইনসহ বিভিন্ন কিতাবের অধ্যাপনা করেছেন পচিশ বছর।
এছাড়া তিনি সৌদি আরব, মিসর, জর্ডান আলজিরিয়া, ভারত, পাকিস্তান, থাইল্যান্ড, সিংগাপুর, মালয়েশিয়া, দুবাই, কাতার আবুধাবি, কুয়েত ও ইস্তাম্বুল ভ্রমণ করেছেন।
-কেএল