[জামিয়া দারুল উলুম করাচির মুখপাত্র ‘ماہنامہ البلاغ মাহনামা আল-বালাগ’ এ ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত বিশ্বনন্দিত আলেম, স্কলার আল্লামা তাকি উসমানির আত্মজীবনী আওয়ার ইসলামে ধারাবাহিকভাবে প্রকাশ হচ্ছে আলহামদুলিল্লাহ।
এ বিষয়ে আল্লামা তাকি উসমানি আনুষ্ঠানকিভাবে আওয়ার ইসলামকে ভাষান্তর করে প্রকাশের অনুমতি দিয়েছেন। গত ২ জানুয়ারি জামিয়া দারুল উলুম করাচির তাখাসসুস ফিল ইফতার শিক্ষার্থী, আওয়ার ইসলাম টোয়েন্টিফোর ডটকমের শুভাকাঙ্ক্ষি উমর ফারুক ইবরাহীমীর মাধ্যমে আল্লামা তাকি উসমানি ও পত্রিকা কর্তৃপক্ষের কাছে আত্মজীবনী ‘ইয়াদে’ অনুবাদের অনুমতি চাওয়া হলে তারা খুশি মনে রাজি হন এবং আওয়ার ইসলামকে ধন্যবাদ জানান বাংলাভাষায় ইসলামের প্রচার ও প্রসারের জন্য।
আল্লামা তাকি উসমানির নতুন ধারাবাহিক আত্মজীবনী یادیں ইয়াদেঁ মাহনামা আল-বালাগে সফর ১৪৩৯ হিজরি, নভেম্বর ২০১৭ ইংরেজি মাস থেকে। আওয়ার ইসলামে লেখাটি প্রতি রোববার ও বুধবার প্রকাশ হবে ইনশাল্লাহ। আজ ছাপা হলো ৫৬ তম কিস্তি। অনুবাদ করেছেন মুহাম্মদ উমর ফারুক ইবরাহীমী।]
পূর্ব প্রকাশের পর: হযরত আব্বাজানের পক্ষ থেকে সে সব শর্ত পূরণের স্বীকারোক্তি দেবার পর ১৬ নভেম্বর কর্পোরেশনের ল্যান্ড ম্যানেজার উভয়টির মঞ্জুরি দিয়ে দিয়েছিলেন। সেই ভিত্তিতে ষোলহাজার দুইশত গজ দারুলউলুমকে এবং দুইহাজার আটচল্লিশ গজ হযরত আল্লামা শাব্বির আহমাদ উসমানির স্ত্রী ও অন্যান্য আত্মীয়স্বজনকে দেয়া হয়েছিল।
দারুলউলুমকে যে জায়গাটি দেয়া হয়েছিল সেটি ছিল লিজ হিসেবে। তখন এটিও বলা হয়েছিল যে, লিজের যাবতীয় শর্ত পূরণ না করা হলে সরকার যেকোনো সময় এই জায়গা ফিরিয়ে নিতে পারেন।
কিন্তু আবাসস্থল হিসেবে যে প্লট স্ত্রী এবং আত্মীয়স্বজনকে দেয়া হয়েছিল সেটি স্থায়ী মালিকানার সাথে দেয়া হয়েছে। যদিও সেখানে হযরত আব্বাজানকে দারুলউলুমের সদর হিসেবে এবং মাওলানা নূর আহমদ সাহেবকে দারুলউলুমের নাযিম হিসেবে যথাক্রমে আটশত এবং পাঁচশত গজের প্লট দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছিল, কিন্তু হযরত আব্বাজান রহ. সে প্লট নিজের জন্য নিতে অস্বীকৃতি জানান। সুতরাং তিনি তাকে এবং মাওলানা নূর আহমাদ সাহেবকে যে প্লট দেয়া হয়েছে সেটাও দারুলউলুমকে দিয়ে দেয়ার জন্য দরখাস্ত দেন।
আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার জন্য এসব কাগজপত্র করাচির চীফ কমিশনারের কাছে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছিল। চীফ কমিশনার মঞ্জুরি দিয়ে সেখানে এও লিখে দিয়েছিলেন যে, ষোলহাজার দুইশত গজ জায়গা দারুলউলুমকে দেয়া হলো।
এছাড়া কর্পোরেশন হযরতের স্ত্রী, জামাতা ও ভাইয়ের জন্য যা নির্ধারণ করেছে তারও মঞ্জুরি দেয়া হলো। কিন্তু, যে প্লট দারুলউলুম করাচির সদর হযরত মাওলানা মুফতি মুহাম্মদ শফি রহ. এবং নূর আহমদ সাহেবের জন্য নির্ধারণ করা হয়েছিল যেহেতু তারা স্বেচ্ছায় তা বাতিলের আবেদন করেছিলেন সেই প্রেক্ষিতে দারুল উলুমকেই তা দেয়া হলো।
তবে হযরত আল্লামা দূরসম্পর্কের যে পাঁচ আত্মীয়কে প্লট দেয়ার ব্যাপারে আবেদন এসেছিল তা গৃহীত হয়নি। (এ সকল কাগজপত্র আজও দারুল উলুমে সংরক্ষিত আছে।)
আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবার পর আব্বাজান সেখানে মাদরাসা প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দিয়ে দিলেন। এবং সেখান দারুলউলুম করাচির বিলবোর্ডও সাঁটিয়ে দিলেন। হযরত মাওলানা নূর আহমাদকে আল্লাহ তাআলা অনন্য কর্মদক্ষতা এবং মুশকিল কাজকে সম্পাদনের অসাধারণ যোগ্যতা দান করেছিলেন।
এই জমিটি মঞ্জুরীর জন্য তিনি দিনরাত একাকার করে দিয়েছিলেন। এবং পাওয়ার পর সেখানে কিছু অস্থায়ী কামড়াও দ্রুত নির্মাণ করে ফেললেন যেন পরবর্তী নির্মাণ কাজ তদারকি করা যায়। সার্বক্ষণিক যোগাযোগের জন্য টেলিফোনের ব্যবস্থা করলেন। প্রয়োজনমাফিক বিদ্যুৎ কানেকশনও দিয়ে দিলেন।
চলবে ইনশাআল্লাহ...