আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণ উপজেলায় একটি মাইক্রোবাস ও সিএনজিচালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে চারজনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতরা সবাই ওই অটোরিকশার যাত্রী ছিলেন। এ ঘটনায় মাইক্রোবাসটির তিনজন আহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মতলব দক্ষিণ উপজেলার বরদিয়া আড়ং বাজার এলাকায় মতলব-বাবুরহাট সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
পুলিশ, প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়রা জানায়, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ছয়টার দিকে বরদিয়া আড়ং বাজার এলাকায় মতলব-বাবুরহাট সড়কে মতলব থেকে চাঁদপুরগামী একটি মাইক্রোবাস এবং চাঁদপুর থেকে মতলবগামী সিএনজি চালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। মাইক্রোবাসটির ধাক্কায় অটোরিকশাটি দুমড়ে মুচড়ে যায়। এতে ওই অটোরিকশার যাত্রী মো. জসিম মোল্লা (৫০) ঘটনাস্থলেই মারা যান।
স্থানীয়রা গুরুতর আহত ওই অটোরিকশার যাত্রী হানিফ ব্যাপারী (২৮) ও পপি আক্তারকে (১৮) ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।
এছাড়া চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালে নেয়ার পথে ওই দুর্ঘটনায় আহত অটোরিকশার আরেক যাত্রী এক বৃদ্ধা মারা যান। তার নাম-ঠিকানা জানা যায়নি।
অটোরিকশার যাত্রী মো. জসিম মোল্লা (৫০) ঘটনাস্থলেই মারা যান। গুরুতর আহত ওই অটোরিকশার যাত্রী হানিফ ব্যাপারী (২৮) ও পপি আক্তারকে (১৮) উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।
ছেংগারচর পৌর সভার প্যানেল মেয়র আব্দুল মান্নান বেপারী জানান, নিহত জসিম মোল্লা মতলব উত্তর উপজেলার ঘনিয়ারপাড় গ্রামের জালাল উদ্দিন মোল্লার একমাত্র ছেলে। সে পরিবারের একমাত্র আয়ের উৎস। তার পরিবারে বাবা- মা, স্ত্রী, দুই ছেলে ও দুই মেয়ে রয়েছে। নিহত হানিফ ব্যাপারী ও পপি আক্তারের বাড়ি চাঁদপুর সদর উপজেলায়।
স্থানীয় লোকজন এ ঘটনায় আহত ওই মাইক্রোবাসের তিন যাত্রীকে চাঁদপুরের একটি হাসপাতালে ভর্তি করেছেন। তবে তাদের পরিচয় জানা যায়নি।
মতলব দক্ষিণ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহিউদ্দিন মিয়া বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে থানায় এখনো কেউ মামলা করেনি।
-কেএল