আদিয়াত হাসান: মাত্র চার মাসে পবিত্র কোরআনের হাফেজ হয়ে বিস্ময় সৃষ্টি করেছে শিশু আব্দুর রহমান। তার বয়স নয় বছর।
হাফেজ আব্দুর রহমানের গ্রামের বাড়ি বরিশালের হিজলা উপজেলার হরিনাথপুর গ্রামে। তার পিতার নাম মোঃ ওমর ফারুক ও মাতা মরিয়ম। এ দম্পতির পাঁচ সন্তানের মধ্যে সে দ্বিতীয়।
জানা যায়, ঢাকার আশুলিয়া উপজেলার ধামসোনা ইউনিয়নের শ্রীপুর, পুলিশ ইন্ডাস্ট্রিয়াল- ১ সংলগ্ন হিফজুল কোরআন ইনস্টিটিউট-এর ছাত্র আব্দুর রহমান। এ প্রতিষ্ঠানের হিফজ বিভাগের প্রধান হাফেজ মাওলানা সালেহ মোহাম্মদ রাশেদের তত্বাবধানে সে হিফজ শুরু ও শেষ করে।
ছাত্রের এমন কৃতিত্বে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে মাওলানা সালেহ মোহাম্মদ রাশেদ বলেন, ‘ছেলেটা অনেক ভদ্র। যেভাবে পড়াশোনার কথা বলছি সেভাবেই পড়াশোনায় সর্বাত্মক চেষ্টায় আমি তাকে দেখেছি’।
তিনি এই শিশুর বিরল প্রতিভা প্রসঙ্গে বলেন, সে খুবই ট্যালেন্ট। এমন ছাত্রকে হিফজ সম্পন্ন করাতে পেরে আমি অত্যন্ত আনন্দিত। তার মঙ্গল কামনা করছি। তাকে সঠিকভাবে গাইডলাইন দিতে পারলে ভবিষ্যতে বড় কিছু হতে পারবে ইনশাআল্লাহ।
তিনি আরো বলেন, আব্দুর রহমান প্রথম দিকে কয়েকদিন তিন পৃষ্ঠা করে পড়া দিত। পরে তার প্রতিভার পরিধি দেখে তাকে প্রেশার দেই পড়াশোনায় যার ফলে আলহামদুলিল্লাহ দিনে সাত থেকে দশ পৃষ্ঠা করে। এমনকি কখনো কখনো একসঙ্গে এক পারাও শোনিয়েছে।
সবশেষে তিনি বলেন, সে সুযোগ পেলেই আনমনা হয়ে থাকতো। তাকে সময় দিতে হয়েছে প্রচুর পরিমাণ। যাক এখন খুব ভালো লাগছে। তার অনন্য অসাধারণ এই অর্জন দেখে।
এদিকে হিফজুল কোরআন ইনস্টিটিউট-এর শিক্ষা সচিব মাওলানা মইনুল ইসলাম জানিয়েছেন, আব্দুর রহমান মাদ্রাসায় ভর্তি হওয়ার পর এক বছরের মধ্যেই নূরানী ও নাজেরা শেষ করে। পরে গত বছরের অক্টোবরের ২ তারিখ হিফজ বিভাগে ক্লাস শুরু করে। এরপর মাত্র চার মাসে অর্থাৎ চলতি বছরের ২ ফেব্রুয়ারিতে সে সফলভাবে সম্পূর্ণ কোরআন মুখস্থ সম্পন্ন করে হাফেজ হওয়ার অনন্য এই গৌরব অর্জন করেছে।
অপরদিকে, ভালো হাফেজ হওয়ার পাশাপাশি আব্দুর রহমান সর্বপ্রথম ভালো একজন মানুষ ও ভালো আলেম হয়ে ভবিষ্যতে দেশ ও জাতির সেবা করতে চায়।
হিফজুল কোরআন ইনস্টিটিউট এর পরিচালক হাফেজ মাওলানা আব্দুল হালিম আব্দুর রহমান ও তার মাদরাসার জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন।
-কেএল