।।আদিয়াত হাসান।।
মাওলানা মোহাম্মদ সালাউদ্দিন বাংলাদেশী একজন বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ, খতিব, ও শিক্ষাবিদ। তিনি সরকারি মাদ্রাসা-ই আলিয়ার ৪৪ তম অধ্যক্ষ হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। দীর্ঘদিন তিনি জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররম মসজিদের খতিবের দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ২০০৯ সালের ৫ই জানুয়ারী বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব হিসেবে যোগদান করেন।
মাওলানা সালাহউদ্দিন নারায়নগঞ্জ জেলার বন্দর থানার কলাগাছিয়া ইউনিয়নের হাজরাদী গ্রামে জন্ম ১৯৪৪ সালে জন্মগ্রহন করেন। ১৯৬৬ সালে স্থানান্তর হয়ে বন্দর ইউনিয়নের কলাবাগ গ্রামে বসবাস শুরু করেন।
তিনি ১৯৬৪ সালে পূর্বপাকিস্তান মাদ্রাসা বোর্ড হতে কামিল প্রথম শ্রেণীতে প্রথম স্থান ও ১৯৬৫ সালে একই বোর্ড হতে যথাক্রমে আদব ও আদব কামিল প্রথম শ্রেণীতে প্রথম স্থান অধিকার করেন। ১৯৭৭ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এম. এ. প্রথম শ্রেণীতে প্রথম স্থানে উত্তীর্ণ হন। তিনি উচ্চশিক্ষার উদ্দেশ্য সৌদি আরবের মদীনা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন ও ১৯৮৪ সালে মদীনা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আরবী ডিপ্লোমা প্রথম শ্রেণীতে প্রথম স্থান অধিকার করেন।
তিনি শিক্ষাজীবন শেষে ১৯৬৪ সালে ঢাকা আলিয়া মাদ্রাসায় শিক্ষক হিসাবে যোগদান করেন। এই মাদ্রাসায় ১৯৯০ সালের অধ্যক্ষের দায়িত্ব লাভ করেন। এই দায়িত্ব পালন করেন ২০০০ সাল পর্যন্ত। এরপর তিনি অবসর গ্রহণ করেন।
তিনি এক্সিম ব্যাংক, প্রাইম ব্যাংক, আইসিবি ব্যাংক, সাউথ ইষ্ট ব্যাংক, যমুনা ব্যাংক এর শরীয়া কাউন্সিলের চেয়ারম্যান হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়াও তিনি ঢাকা ব্যাংক, সিটি ব্যাংক শরীয়া কাউন্সিলের সদস্য ও ইসলামি ব্যাংক কেন্দ্রীয় শরিয়া বোর্ডের মেম্বার হিসাবে ছিলেন। এছাড়া সন্ধানী লাইফ ইন্সুরেন্স ইসলামি তাকাফুল এর শরীয়া কাউন্সিলের চেয়ারম্যান।
তিনি ঢাকা সিটি কলেজ ও কাকলী উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সদস্য ও শ্রীপুর বাগনাহাটি কামিল মাদরাসার পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান ছিলেন।
মাওলানা সালাহউদ্দিন ঢাকার মহাখালীতে অবস্থিত অন্যতম বৃহত্তম জামে মসজিদ গাউছুল আজম আব্দুল কাদের জিলানী (রাঃ) জামে মসজিদের খতিব হিসেবে দীর্ঘদিন দায়িত্ব পালন করেছেন। এরপরে ২০০৯ সালে বাংলাদেশের জাতীয় মসজিদে খতিবের দায়িত্ব লাভ করেন।
তিনি বৈবাহিক জীবনে ৩ কন্যা ও ১ পুত্র সন্তানের জনক। নারায়ণগঞ্জ জেলায় তার জন্মগ্রহণ হলেও ঢাকার ঝিকাতলার স্থায়ী বাসিন্দা ছিলেন তিনি।
-কেএল