শায়খ আহমাদুল্লাহ।।
সমাজের বিত্তবান ও শিক্ষিত পরিবারের একজন বাবা অভিমান ও হতাশা থেকে আত্মহত্যা করেছেন; আরও বহু পিতার আহত আত্মা হয়তো মৃত্যুর জন্য ছটফট করছে।
মুসলিম পরিবারে ইসলামচর্চা না থাকা এ ধরণের ঘটনার প্রধান কারণ। পরিবার ও সন্তান যদি সো কলড মুসলিম না হয়ে সত্যিকারের মুসলিম হয় তাহলে সে পরিবারে এ ধরণের মর্মান্তিক ঘটনা ঘটবে না, সেটা অনেকটাই নিশ্চিত করে বলা যায়।
যে স্ত্রী-সন্তান কুরআনের আলো পেয়েছেন, সুন্নাতে রাসূলের সন্ধান পেয়েছেন তারা পৃথিবীর কোনো কিছুর লোভেই স্বামী কিংবা বাবাকে একাকী ফেলে রেখে বিদেশে পাড়ি জমাবেন না।
এর আগে (পরিবার ও সন্তান বিদেশে থাকায়) নিঃসঙ্গ ফ্ল্যাটের টয়লেটের সামনে ড. তারেক শামসুর রহমানের পড়ে থাকা লাশের ছবি আমাদের ব্যথিত করেছিল। গতকাল বিভিন্ন মিডিয়ায় প্রকাশিত হয়েছে, এক বছরে ভার্সিটি পড়ুয়া শতাধিক উচ্চশিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছেন।
ভোগবাদের চোখ ধাঁধাঁনো লাইফ স্টাইল আপনাকে রিয়েল সুখী করবে না কখনো, সুখের অভিনয়কারী বানাবে বড়জোর।
সুতরাং সময় থাকতে ফিরে আসুন, কুরআনের ছায়ায়, ইসলামের আলোয়। পরিবারকে আর যা শেখান বা না শেখান, ইসলামটা ভালো করে শেখান। মহান আল্লাহ বলেন, “জেনে রাখো, আল্লাহর স্মরণে চিত্ত প্রশান্ত থাকে ”। (সূরা রা’দ-২৮)
এনটি