শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪ ।। ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬


আদর্শ সমাজ গঠনে সমন্বিত ধর্মীয় ও জাগতিক শিক্ষার বিকল্প নেই: মুফতী জসিমুদ্দীন

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

ইশতিয়াক সিদ্দিকী।।

হাটহাজারী প্রতিনিধি>

নূরানী তালীমুল কুরআন বোর্ড চট্টগ্রাম বাংলাদেশ-এর মহাসচিব ও দারুল উলুম হাটহজারী মাদরাসার সহকারী মহাপরিচালক আল্লামা মুফতী জসিমুদ্দীন বলেছেন, সমাজে বিরাজমান অনৈতিকতা-অরাজকতা বন্ধ করতে হলে সুশিক্ষার প্রতি নজর দেওয়া উচিত। নতুন প্রজন্মকে ধর্মীয় ও জাগতিক শিক্ষার সমন্বিত পাঠদান করা গেলে নৈতিকতাসম্পন্ন দেশপ্রেমিক মানুষ হিসেবে গড়ে তোলা সম্ভব। তাই দেশের সকল শিক্ষাক্রমে দ্বীনি শিক্ষার প্রতি আরও গুরুত্বারোপ করতে হবে। যোগ্য আলেম দ্বারা দ্বীনি ও নৈতিক শিক্ষা দিতে হবে। আর্দশ ও সুন্দর সমাজগঠনে ধর্মীয় ও নৈতিক শিক্ষার বিকল্প নেই।

গত রবিবার (২৩ জানুয়ারি, ২০২২) সকাল ১০টায় বাংলাদেশের দ্বীনি ও সাধারণ শিক্ষার সমন্বিত প্রাথমিক শিক্ষার বৃহত্তম বোর্ড ❝নূরানী তালীমুল কুরআন বোর্ড চট্টগ্রাম বাংলাদেশ❞-এর অধীনে দেশব্যাপী অনুষ্ঠিত কেন্দ্রীয় সনদ পরীক্ষায় এ+ প্রাপ্ত ছাত্র-ছাত্রীদের পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আল্লামা মুফতী জসিমুদ্দীন এসব কথা বলেন।

বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মুফতি মোহাম্মদ আলী এর সভাপতিত্বে পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম ফিরোজশাহ কলোনী বড় মাদরাসার পরিচালক মাওলানা তাজুল ইসলাম, আল হুদা মহিলা মাদরসার মুহতামিম মাওলানা মীর কাছেম, মেখল মাদরাসার পরিচালক মাওলানা ওসমান ফয়জি, ফতেপুর মাদরাসার পরিচালক মওলানা মাহমুদুল হাসান, জিরি মাদরাসার পরিচালক মাওলানা খোবাইব, বাবুনগর মাদরাসার মুফতি রহিমুল্লাহ, ঢাকা আমিন বাজার মাদরাসার পরিচালক মুফতি আব্দুল বারি, চিরিঙ্গা মাদরাসার পরিচালক মাওলানা আনোয়ার আলম, খুলনা দারুল উলুম মাদরাসার পরিচালক মাওলানা মোশতাক আহমদ,সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা জমিরউদ্দীন,মাওলানা মীর আনিস, মাওলানা হাফেজ ইসমাইল, মাওলানা ইউনুছ সাহেব, মাওলানা আবুল হাসান, মাওলানা কারী উসমান, মাওলানা জাফর আহমদ, মাওলানা সলিমুল্লাহ খান, মাওলানা আবুল হাশেম, মাওলানা মাসুদুর রহমান, মাস্টার আনিসুল ইসলাম, মাওলানা মোক্তার, মাওলানা হেলাল উদ্দীন প্রমুখ।

মুফতি জসিমুদ্দীন আরও বলেন, নৈতিকতাসম্পন্ন সুশিক্ষাই জাতির মেরুদণ্ড। শুধু শিক্ষিত হলে চলবে না, আমাদের কোমলমতি শিক্ষার্থীদের নৈতিকতাসম্পন্ন সুশিক্ষিত করতে হবে। তবেই তারা দেশ ও জাতির কল্যাণে কাজ করবে,দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। তারা কখনো দুর্নীতিগ্রস্থ হবে না,অন্যের হক নষ্ট করবে না।

তিনি আরও বলেন,অভিভাবকগণ এক বুক প্রত্যাশা ও বিশ্বাস নিয়ে সন্তানদের সুনাগরিক হিসেবে তৈরি করার জন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠান। তাদের আশা, আমার সন্তান শিক্ষিত হবে, মা-বাবার মুখ উজ্জ্বল করবে,সমাজে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে তাই শিক্ষকদের এই বিষয়টির প্রতি অধিক গুরুত্ব দিতে হবে। শেষে অনুষ্ঠানের অতিথিবৃন্দ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ও প্রতিনিধিদের হাতে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের সাত হাজার শিক্ষার্থীর পুরস্কার তুলে দেন।

এনটি


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ