শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪ ।। ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
কাল যাত্রাবাড়ী মাদরাসায় মজলিসে দাওয়াতুল হকের ইজতেমা শেখ হাসিনা ভারতে বসে দেশের বিরুদ্ধে চক্রান্ত করছেন: মজলিস মহাসচিব ডেঙ্গুতে এক সপ্তাহে ৩১ জনের মৃত্যু, আক্রান্ত ৬২৩০ মসজিদে নববীর আদলে হবে আন্দরকিল্লা শাহী জামে মসজিদ: ধর্ম উপদেষ্টা খাগড়াছড়ি প্রেস ক্লাবের সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত নতুন নির্বাচন কমিশনকে বিগত কমিশন থেকে শিক্ষা নিতে হবে: মুফতী ফয়জুল করীম লালপুরে যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে জমি দখল ও বাড়ি ভাংচুরের অভিযোগ জনতার চেয়ারম্যান সৈয়দ তালহাকে সুনামগঞ্জ ৩ আসনে জমিয়তের প্রার্থী ঘোষণা কুরআন-হাদিসের ভিত্তিতেই হতে হবে সংস্কার: বায়তুল মোকাররমের খতিব ইসলামী সঙ্গীত সম্রাট আইনুদ্দীন আল আজাদ রহ.-এর বাবার ইন্তেকাল

প্রচলিত 'কুলখানি' বিদআত ও নাজায়েজ: দেওবন্দ

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

ইবনে নাজ্জার।।
দেওবন্দ থেকে>

মুসলিম বিশ্বের প্রাণকেন্দ্র 'দারুল উলুম দেওবন্দ' ফতোয়া দিয়েছে প্রচলিত খতমে কুরআন বিদআত ও নাজায়েজ। কাশ্মীর থেকে এক ব্যক্তি প্রচলিত খতমে কুরআন সম্পর্কে ফতোয়া চেয়ে দারুল উলুম দেওবন্দের জিজ্ঞাসা বিভাগে একটা প্রশ্ন করেন। উল্লেখিত প্রশ্নে তিনি বলেন, আমি কাশ্মীরের অধিবাসী। আমাদের এলাকায় প্রচলিত আছে,  'খতমে কুরআন'-এর জন্য হুজুরদের বাড়িতে ডেকে আনা হয়। অতঃপর কুরআন শরীফ পাঠ  শেষে তাদের মেহমানদারী ও আপ্যায়ন করা হয় এবং টাকা-পয়সাও দেওয়া হয়। ইসলামের দৃষ্টিতে এটা কতটুকু সঠিক জানিয়ে ধন্য করবেন।

দেওবন্দের ফতোয়া বিভাগ থেকে উত্তরে বলা হয়েছে, শুরুতেই সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য, দুরুদ ও সালাম বর্ষিত হোক রাসুল মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের উপর।

আপনার প্রশ্ন পড়েছি। প্রশ্নে উল্লেখিত খতমে কুরআন, যার মধ্যে কুরআন শরীফ পড়ার পর হুজুরদের খাওয়া-দাওয়া করানো আর টাকা-পয়সা দেওয়া হয়; সম্পূর্ণ বিদআত ও নাজায়েজ।

ফতোয়া বলা হয়েছে, যারা পড়ে, তারাও কোনো সওয়াব পায় না।  মৃত ব্যক্তির কাছেও কোনো সওয়াব পৌঁছে না। কেননা হানাফি মাযহাবের প্রসিদ্ধ মুফতি আল্লামা ইবনে আবেদিন শামি রহ. তার রচিত বিখ্যাত গ্রন্থ 'ফতোয়া শামিতে' লেখেন, আল্লামা তাজুশ শরিয়াহ রহ. হেদায়ার বাখ্যাগ্রন্থে উল্লেখ করেছেন, বিনিময় গ্রহণ করে কুরআন পড়লে তা  সওয়াবের উপযুক্ত হবে না। যে পড়ে, সেও না আর যেই মৃত ব্যক্তির জন্য পড়া হয়, সেও সওয়াব পাবে না।

এমনিভাবে আল্লামা আইনি রহ. হেদায়ার বাখ্যাগ্রন্থে উল্লেখ করেছেন, বিনিময় গ্রহণ করে কুরআন পাঠকারীকে বাধা দেওয়া উচিৎ। বিনিময় প্রদানকারী ও গ্রহনকারী উভয়ই গুনাহগার।

মোটকথা: আমাদের যুগে প্রচলিত বিনিময় গ্রহণ করে কুরআন পাঠ করা, জায়েয নেই। কেননা খতমে কুরআনের মধ্যে প্রথমে হুজুরকে বিনিময় গ্রহণ করে কুরআন পাঠের আদেশ দেওয়া হয় পরে কুরআন পাঠে অর্জিত সওয়াব, মৃত ব্যক্তির জন্য পাঠাতে বলা হয়। অথচ পাঠকারীর নিয়ত শুদ্ধ না হওয়ার কারণে সে নিজেই সওয়াব পায় না, তাহলে মৃত ব্যক্তির কাছে কী পাঠাবে?

এছাড়া বর্তমান যুগে অবস্থা হলো, বিনিময় না দিলে কেউ কুরআন পাঠ করবে না। বরং তারা তো কুরআনকে জীবিকা উপার্জনের মাধ্যম বানিয়ে নিয়েছে। আল্লাহ তাআলা আমাদের সবাইকে হেফাজত করুন। (দারুল ফিকর, বৈরুত থেকে প্রকাশিত ফতোয়া শামি: ৬/৫৬।)

দারুল উলুম দেওবন্দ, ফতোয়া নং: ১৮৩৬০১।

এনটি


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ