মীযান হারুন।।
প্রচলিত কাওয়ালী কিংবা 'সামা' সঙ্গীত নামে যা কিছু বলা বা করা হয়, ইসলামী শরীয়তে তা সম্পূর্ণ অবৈধ। চিশতিয়াসহ বিভিন্ন সিলসিলার মাশাইখগণ যে 'সামা' করতেন সেগুলোর সঙ্গে মিউজিক, নারী, অশ্লীলতার সম্পর্ক নেই। বিচ্ছিন্ন ব্যক্তিরা করে থাকলে সেগুলোও হারাম।
সুলতানুল মাশায়েখ খাজা নিজামুদ্দীন আউলিয়া (র.) 'সামা'কে চারভাগে ভাগ করতেন: হালাল, মুবাহ, মাকরূহ ও হারাম। সামা' বৈধ হওয়ার জন্য তিনি কয়েকটি শর্ত আরোপ করতেন: বালেগ পুরুষের কণ্ঠে হওয়া (নারী কিংবা কিশোরের কণ্ঠে না হওয়া), অশ্লীলতা, ভাঁড়ামি মুক্ত হওয়া, বাদ্য-বাজনা (মিউজিক) না থাকা। [খাইরুল মাজালিস ৪২] ফলে ঢালাওভাবে মাশাইখরা এগুলো করতেন বলা তাদের নামে অপপ্রচার।
মুজাদ্দিদে আলফে সানী শাইখ আহমদ সারহিন্দী (র.) বলেন, 'অনেক মানুষ তাদের চিত্ত শান্ত করার জন্য গান-বাজনা ও লাফালাফি (সামা' ও ওয়াজদ) এর পথ বেছে নিয়েছে। তারা মনে করেছে, নাচ-গানের মাধ্যমে মাশুককে লাভ করবে। অথচ আল্লাহ তাআলা হারামের মধ্যে চিকিৎসা রাখেননি। যদি নামাজের হাকীকত ও কামালত তারা চিনতো তবে কখনোই গান ও নৃত্যের মাঝে রূহের চিকিৎসা খুঁজতে যেতো না'। [মাকতূবাতে ইমামে রব্বানী ১/৪৫৪]
বিদআত ও কুসংস্কারের চিকিৎসা হারামে নেই। কাওয়ালী নামে দেশে যা করা হচ্ছে সেগুলোকে সমর্থন করার কোনো শরঈ অনুমোদন কিংবা বুদ্ধিবৃত্তিক যৌক্তিকতা নেই। গান-বাজনাতে লিপ্ত প্রজন্মের কখনো বোধোদয় হলে হারাম মনে করে ছেড়ে দিবে। কিন্তু তাদেরকে এই 'হালাল' কাওয়ালী নামক হারামে ঢুকালে কখনোই ছাড়তে পারবে না। বিদআতের ফাঁদটাও এখানেই। আল্লাহ হেফাজতের মালিক।
এনটি