আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: কম-বেশি নাক ডাকে প্রায় সবাই, কিন্তু সেটা মাত্রাধিক হলেই সমস্যা। আপনার খাদ্যাভাসে কিছু পরিবর্তন এনে এই সমস্যা থেকেই মুক্তি পেতে পারেন।
তবে তার আগে জেনে নেই আমাদের নাক ডাকার কারণ। নাক ডাকা তখন বেড়ে যায় যখন আমাদের গলার মাংসপেশীগুলো শিথিল হয়ে যায়, জিহ্বা পেছন দিকে চলে যায় এবং কণ্ঠনালী সরু হয়ে যায়। এর ফলে কণ্ঠনালীর দেওয়ালগুলো কাঁপতে শুরু করে আর নিঃশ্বাস নেওয়ার সময় নাকে আওয়াজ হয়। এবার দেয়া হলো সেই ৫টি খাবারের নাম, যা নাকডাকা কম করতে সাহায্য করবে-
মধু- মধু আপনার কণ্ঠনালীকে মসৃণ করে। মধুর মধ্যে অ্যান্টি ব্যাকটিরিয়াল এবং অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি দু’রকমের গুণই আছে। যা স্বরনালীকে পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে। রাতে ঘুমের আগে চায়ের সঙ্গে মধু মিশিয়ে খেলে জিভের তৃপ্তির পাশাপাশি নাক ডাকাও কমবে।
চা- চা খেলে কনজেশন এবং শ্লেষ্মা কমে। তার ফলে নাক ডাকা কমে। চা খাবার সময় যে বাষ্প নির্গত হয় তা ন্যাসাল প্যাসেজকে প্রশমিত করে। এটি মিউকাসকে তরল করে যার ফলে নাক ডাকার সমস্যার উপশম হয়।
হলুদ- অনেক সময়ই নাক ডাকার কারণ হল ইনফ্ল্যামেশন। যার ফলে আমদের কণ্ঠনালী বা নাকে যথেষ্ট পরিমাণে হাওয়া চলাচলের জায়গা থাকে না। হলুদ অত্যন্ত ক্ষমতশালী অ্যান্টি ইনফ্ল্যামেটরি খাবার। এর মধ্যে রয়েছে অ্যান্টি অক্সিডান্ট কারকুমিন যা ইনফ্ল্যামেশন কমাতে সাহায্য করে। তবে মনে রাখবেন সাপ্লিমেন্ট হিসেবে হলুদ খেলে খুব একটা কাজে লাগে না। যে কোনও পাণীয়ের সঙ্গে হলুদ মিশিয়ে খাওয়ার চেষ্টা করুন।
পিয়াজ- এটাকে নাক ডাকার সমস্যার অব্যর্থ ওষুধ মানেন অনেকেই। পিঁয়াজের মধ্যে প্রচুর পরিমানে অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি পদার্থ থাকে যা ন্যাসাল প্যাসেজকে পরিষ্কার রেখে বেশি পরিমাণে হাওয়া চলাচলে সাহায্য করে।
মাছ- মাছ খাওয়ার চেয়েও বেশি গুরূত্বপূর্ণ রেড মিট কম খাওয়া। রেড মিটের স্যাটুরেটেড ফ্যাটে থাকে যা গলার টিসু আর সাইনাসকে স্ফীত করে তোলে। অন্যদিকে মাছ খেলে (বিশেষ করে তৈলাক্ত মাছ) তার থেকে যে ফ্যাটি অ্যাসিড নির্গত হয়, তা ইনফ্লেমেশন কমাতে সাহায্য করে।
-কেএল