আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: শীত মৌসুমের কারণে অনেকই ইনফ্লুয়েঞ্জা ও সাধারণ সর্দি-জ্বরে আক্রান্ত হন। এদিকে ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের কারণে বাড়ছে করোনা রোগীরও সংখ্যা। ফলে কোভিড না কি ইনফ্লুয়েঞ্জা কিংবা সাধারণ সর্দি-জ্বরে আক্রান্ত অনেকই তা গুলিয়ে ফেলছেন।
এদিকে অনেকেই কোভিড আক্রান্ত হওয়ার পরও ইনফ্লুয়েঞ্জা কিংবা সাধারণ সর্দি-জ্বর ভেবে পরীক্ষা না করে ঘরে বসে থাকছেন। এতে নিজের শারীরিক অবস্থার অবনতির পাশাপাশি পরিবারের সদস্যদেরও ঝুঁকিতে ফেলছেন।
কোভিডের উপসর্গ
খুসখুসে কাশি, জ্বর, গলাব্যথা, শ্বাসকষ্ট, মাথাব্যথা, গা ব্যথা ও হাঁচি দেখা যায়। তবে নাক বন্ধ হওয়ার মতো ঘটনা একেবারেই বিরল।
ইনফ্লুয়েঞ্জা
খুসখুসে কাশি, জ্বর, নাক বন্ধ, গলাব্যথা দেখা যায়। শ্বাসকষ্ট ও হাঁচি খুবই কম দেখা যায়। মাথাব্যথা আর গা ব্যথা বেশি হয়।
সর্দি
খুসখুসে কাশি, জ্বর, শ্বাসকষ্ট ও মাথাব্যথা হওয়ার ঘটনা খুবই বিরল। নাক বন্ধ হওয়া ও গলাব্যথা দেখা যায়। গা ব্যথা ও হাঁচি বেশি হয়।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, টিকা নিয়েছেন এমন অনেকেই উপসর্গহীন বা মৃদু উপসর্গ যুক্ত। ফলে অল্প সর্দি-কাশি হলে পাত্তা দিচ্ছেন না অনেকেই। আর সেই সুযোগেই দাবানলের মতো ছড়াচ্ছে কোভিড।
চিকিৎসকদের পরামর্শ, যেহেতু এখন কার্যত ঘরে ঘরেই কোভিড সংক্রমণ দেখা যাচ্ছে, তাই উপসর্গ মিলিয়ে ইনফ্লুয়েঞ্জা না কোভিড তা যাচাই করা অর্থহীন। বরং কোভিড হয়েছে ধরে নিয়েই করতে হবে পরীক্ষা।
এনটি