আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে বরগুনাগামী এমভি অভিযান-১০ লঞ্চে আগুনের ঘটনাকে শতভাগ নাশকতা বলে দাবি করেছেন নৌযানটির মালিক মো. হামজালাল শেখ।
শুক্রবার বিকেলে তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, তার লঞ্চে আগুনের ঘটনাটি শতভাগ নাশকতা। কারণ হিসেবে তিনি জানান, এই লঞ্চের তিনটি তলা। মাত্র দেড় মিনিটের মধ্যে তিনটি তলায়ই আগুন ছড়িয়ে পড়ে। এতে স্পষ্ট প্রমাণিত হয়, স্বার্থান্বেষী কোনো গোষ্ঠী ওই লঞ্চে ছিল। পরিকল্পিতভাবে তারা এই নাশকতা করেছে।
এক্ষেত্রে কাউকে সন্দেহ করছেন কি-না জানতে চাইলে তিনি অবশ্য কারো নাম উল্লেখ করেননি। হামজালাল বলেন, আমার উন্নতি যারা দেখতে চায় না তারাই এই কাণ্ড ঘটিয়েছে।
বেঁচে যাওয়া যাত্রীরা বলছেন, লঞ্চে অগ্নি নির্বাপনের তেমন কোনো ব্যবস্থাই ছিল না। এ ছাড়া প্রয়োজনীয় লাইফ জ্যাকেট, বয়াও ছিল না। এ বিষয়ে জানতে চাইলে লঞ্চের মালিক দাবি করেন, তার লঞ্চে প্রয়োজনীয় লাইফ জ্যাকেট, বয়া, ফায়ার ফাইটার ছিল। লঞ্চে পাঁচ শতাধিক যাত্রী ছিল বলেও তিনি জানান।
হামজালাল শেখ দাবি করেন, তার লঞ্চটি নতুন। মাত্র ছয় মাস আগে নামিয়েছেন। তবে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, লঞ্চের ইঞ্জিনে সমস্যা ছিল।
লঞ্চের মালিক জানান, ঢাকা থেকে ঝালকাঠি হয়ে বরগুনার যাওয়ার পথে রাত ২টা ৫০ মিনিটের দিকে লঞ্চটিতে আগুনের সূত্রপাত হয়। লঞ্চে আগুনের ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠনের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে তিনি বলেন, সরকার নিরপেক্ষভাবে তদন্ত করুক। এটা অবশ্যই নাশকতা হিসেবে প্রমাণিত হবে।
মুন্সীগঞ্জের বিক্রমপুরের বাসিন্দা হামজালাল জানান, তার আরও দুটি লঞ্চ রয়েছে। তবে সেগুলো ছোট।
প্রসঙ্গত, ঢাকা থেকে প্রায় আটশ' যাত্রী নিয়ে ঝালকাঠি হয়ে বরগুনা যাওয়ার পথে বৃহস্পতিবার রাতে সুগন্ধা নদীতে এমভি অভিযান-১০ লঞ্চে আগুন লেগে যায়। এ ঘটনায় এ পর্যন্ত ৪০ জনের মৃত্যু হয়েছে।
এনটি