সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪ ।। ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
ঢাকা থেকে ভাঙ্গা হয়ে খুলনায় গেলো পরীক্ষামূলক ট্রেন নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করবেন প্রধান উপদেষ্টা: প্রেস উইং ধর্মীয় মূল্যবোধ ও সাম্যের ভিত্তিতে সংবিধান রচনার আহ্বান নেপালে ফের কুরআন প্রতিযোগিতার আয়োজন করছে সৌদি আগামীকাল সংবিধান সংস্কার কমিশনে প্রস্তাবনা পেশ করবে ইসলামী আন্দোলন ‘আল্লামা আতহার আলী রহ. জীবন, কর্ম, অবদান’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন আগামীকাল হাজী ইমদাদুল্লাহ মুহাজিরে মক্কী রহ. : কে এই মহান ব্যক্তি হাজিদের স্বার্থ রক্ষায় সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ : ধর্ম উপদেষ্টা মহানবীকে সা. নিয়ে কটূক্তি করলে সংবিধানে শাস্তির বিধান রাখার প্রস্তাব পার্থের নতুন নির্বাচন কমিশন প্রত্যাখ্যান জাতীয় নাগরিক কমিটির

শরীরের রক্ত পরিস্কারের যন্ত্র কিডনি: কিভাবে ভালো রাখবেন এ যন্ত্র

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

ডা. মোহাম্মদ ইব্রাহিম খলিল।। কিডনি হচ্ছে মুত্র উৎপাদনকারী ছাঁকনযন্ত্র, আমাদের শরীরের রক্ত পরিস্কারের যন্ত্র। আমরা যেসব খাবার খাই তার পুষ্টির একটা অংশ কিডনি থেকেই রক্তে যায়।

তাছাড়া শরীরের অনেক রকম বর্জ্যও পরিশোধিত হয় কিডনিতে আর তখন যদি কোন কারণবশত কিডনিতে এই সব খনিজ পদার্থ আটকে যায় বা যে কোন বেক্টোরিয়ার কারণে ঠিক মত সেঁকে মূত্রতে পাঠাতে না পারে তখন প্রাকৃতিক ভাবেই তা জমা হয়ে যায় কিডনির ভিতরে এবং তখন পাথর হিসাবে জন্ম নেয়।

কিডনি মানুষের দেহের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গগুলোর একটি। মানুষের দুটি কিডনি থাকে যেগুলোর প্রতিটি পিঠের দুইপাশে কিছুটা নিচের দিকে অবস্থিত। কিডনি দেহের রক্তকে পরিশোধিত করে ও দেহ থেকে বর্জ্য পদার্থ নিষ্কাসনে সাহায্য করে। আর এই কিডনিরই বিভিন্ন সমস্যাগুলোর একটি হচ্ছে কিডনিতে পাথর জমে যাওয়া।

কিডনিতে পাথর কেন হয়? আমাদের প্রস্রাবে পানি, লবন ও খনিজ পদার্থের সঠিক ভারসাম্য বজায় না থাকলে কিডনিতে পাথর হতে পারে। বিভিন্ন কারণে আমাদের প্রস্রাবের উপাদানের এই ভারসাম্য নষ্ট হতে পারে, যেমন-

-প্রয়োজনের চেয়ে কম পরিমান পানি পান করা।
-মাত্রাতিরিক্ত আমিষ/প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করা।
-অতিরিক্ত খাবার লবন (সোডিয়াম সল্ট/টেবিল সল্ট) গ্রহণ।
-অতিরিক্ত অক্সালেট সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ যেমন চকলেট।
-শরীরের অতিরিক্ত ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে না পারা।
-অত্যধিক পরিমাণে দুধ, পনির বা দুগ্ধজাত খাবার খাওয়ার অভ্যাস।
-শরীরে ক্যালসিয়ামের মাত্রাতিরিক্ত আধিক্য।
-হরমোনের অসমতার কারণে প্রস্রাবে সাইট্রেটের পরিমাণ কমে যাওয়া।
-মূত্রথলিতে দীর্ঘ সময় প্রস্রাব জমে থাকা এবং পর্যাপ্ত প্রস্রাব না হওয়া।

কিডনিতে পাথর হয়েছে কি করে বুঝবেন- মূত্রনালীতে পাথর না যাওয়া পর্যন্ত কিডনিতে পাথর হওয়ার কোন লক্ষণ ও উপসর্গ সাধারণত বুঝা যায় না। কিডনিতে পাথর হলে সাধারণত: যেসব লক্ষণ ও উপসর্গগুলো দেখা দেয়-

-পিঠে, দুই পাশে এবং পাঁজরের নিচে ব্যাথা হওয়া ও তলপেট এবং কুঁচকিতে ব্যাথা ছড়িয়ে যাওয়া
-প্রস্রাব ত্যাগের সময় ব্যাথা হওয়া,
-প্রস্রাবের রং গোলাপী, লাল অথবা বাদামী হওয়া,
-প্রস্রাবের সাথে রক্ত আসা,
-বারবার প্রস্রাবের বেগ পাওয়া,
-যদি কোন সংক্রমণ হয়ে থাকে তাহলে জ্বর এবং কাঁপুনী হওয়া,
-বমি বমি ভাব এবং বমি হওয়া।

আকস্মিকভাবে পেট বা পিঠে ব্যাথা অনুভব করা কিংবা প্রস্রাবের সময় ব্যাথা অনুভব করা মানেই কিডনিতে পাথরের লক্ষণ নয়, তবে এসব ক্ষেত্রে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নেয়া প্রয়োজন, কারণ হতে পারে এটি মারাত্মক কোনো রোগের লক্ষণ।

হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসায় কিডনি পাথর
বিনা অপারেশনে সেরে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসায়
Berberis Vulgaris,
Cantharis,
Lycopodium Can,
Ocimum Can,
Solidago Vir,
Chimaphila Umbellata,
Urtica Urens,
Thlaspi Bursa,
Silicia মেডিসিন সমূহ লক্ষণসমূহের উপর নির্ভর করে আসতে পারে। আরও অনেক মেডিসিন আছে। সমষ্টিগত লক্ষণসমূহ মিলিয়ে চিকিৎসা করলে অবশ্যই ভাল ফলাফল পাওয়া যাবে ইনশাআল্লাহ্‌।

চেম্বার- ডাঃ নওয়াব আলী টাওয়ার, Suite# E-303 [3rd Floor]
(লিফটের-৩) ২৪/এ, পুরানা পল্টন,
(হাউজ বিল্ডিং এর দুই নং গেটের সামনে)
ঢাকা-১০০০। মোবাইল- 01776-608887

-এটি


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ