মোস্তফা ওয়াদুদ: সম্প্রতি সৌদি আরবে তাবলিগের বিরুদ্ধে জুমার খুতবা দিতে খতীবদের প্রতি আহবান জানিয়েছে সেদেশের ইসলাম বিষয়ক মন্ত্রী। এ নিয়ে সারাবিশ্বেই বেশ আলোচনা চলছে। এমন পরিস্থিতিতে মাদারে ইলমী দারুল উলুম দেওবন্দ থেকেও নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি প্রদান করা হয়েছে। পাকিস্তানের বিরোধী দলীয় নেতা মাওলানা ফজলুর রহমান সেদেশে নিযুক্ত সৌদি রাষ্ট্রদূতকে ডেকে তাবলিগের মূল বিষয়টি তুলে ধরেছেন। বাংলাদেশের উলামায়ে কেরামও বিষয়টি নিয়ে বেশ সরব ভূমিকা রাখছেন। এমন পরিস্থিতিতেই এক ব্যক্তি দেওবন্দের ওয়েবসােইটে জানতে চেয়েছেন, ‘কেবল দাওয়াত ও তাবলিগই কি নবীওয়ালা কাজ? বিষয়টি আসলে কী?
প্রশ্নকারী তার প্রশ্নে দুটি বিষয় জানতে চান। ‘এক. কিছু (তাবলীগী) লোক একথা বলে থাকেন যে কেবল দাওয়াত ও তাবলিগই নবীওয়ালা কাজ। শিক্ষা-দীক্ষা ও অন্তর পরিশুদ্ধি (পীর-বুযুর্গী) নবীর কাজ নয়।
দুই. দাওয়াত ও তাবলীগের কাজ হলো কাউকে সংশোধনের উপায়। কাউকে খুঁজে তার সাথে সম্পর্ক স্থাপন করার দরকার নেই। এসব কথার বাস্তবতা কি?’
জবাবে দারুল উলুম দেওবন্দ থেকে বলা হয়, ‘এগুলো সবই অজ্ঞতা ও চরমপন্থার কথা। নবীদের দাওয়াত ও তাবলিগের কাজ ছিলো কাফির ও মুশরিকদের মধ্যে। আর মানুষের অন্তর পরিশুদ্ধ করাও ছিল নবীজির অন্যতম উদ্দেশ্য।’
কুরআনুল কারীমে বলা হয়েছে, ‘তিনিই নিরক্ষরদের জন্য তাদের মধ্য থেকে একজন রসূল পাঠিয়েছেন, তিনি তাদের কাছে তাঁর আয়াত তিলাওয়াত করেন ও তাদের পবিত্র করেন।’
মোটকথা রাসূল সা. এর কাজ ছিল মানুষের অন্তরকে যাবতীয় খারাপ গুণাবলী থেকে পরিশুদ্ধ করা ও মানুষকে উত্তম নৈতিকতায় সুশোভিত করা।
এমডব্লিউ/