আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: মাদারীপুরে অগ্রিম টাকা (বায়নার টাকা) নিয়ে ওয়াজ মাহফিলে অংশ না নেওয়ায় এক মাওলানার বিরুদ্ধে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী।
রোববার (১২ ডিসেম্বর) বিকেলে সদর উপজেলার খাগছাড়া এলাকায় এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এতে ব্যানার-ফেস্টুন হাতে এলাকার দুই শতাধিক মানুষ অংশ নেন। এ সময় তারা অভিযুক্ত মাওলানার বিচার দাবি করেন।
এ সময় তারা অভিযোগ করেন, সোমবার (১৩ ডিসেম্বর) ওয়াজ মাহফিলে অংশ নেওয়ার জন্য ৪ মাস আগে ১০ হাজার টাকা বায়না দিয়ে মাওলানা মুফতি ইলিয়াছুর রহমান জিহাদীকে আমন্ত্রণ জানায় এলাকাবাসী। কিন্তু ১১ ডিসেম্বর দুপুরে তিনি মুঠোফোনে জানান এই ওয়াজ মাহফিলে অংশ নিতে পারবেন না। মাওলানা মুফতি ইলিয়াছুর রহমান জিহাদীর আগমনকে ঘিরে এলাকার বিভিন্ন স্থানে মাইকিং করা হয়। পাশাপাশি ব্যানার ও পোস্টার সাঁটান স্থানীয়রা। মাওলানার ওয়াজে অংশ নিতে না পারা নিয়ে এলাকায় ব্যাপক সমালোচনার ঝড় ওঠে।
স্থানীয় বাসিন্দা বাপ্পি কাজী বলেন, এলাকার মানুষের সাথে ধোঁকা দিয়েছে ওই মাওলানা। প্রতারণা করেছে ইউনিয়নবাসীর সাথে। আমরা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। পাশাপাশি অভিযুক্তের বিচার দাবি করছি।
দক্ষিণ খাগছাড়া নুরীয়া হাফিজিয়া মাদ্রাসার সভাপতি কাজী ফজলুল হক জানান, ওয়াজ করার জন্য তার সাথে ৬৫ হাজার টাকায় চুক্তি হয়। এরইমধ্যে ১০ হাজার টাকা অগ্রিমও দেওয়া হয়। পরে জানতে পারি তিনি মাদারীপুরে ওয়াজে অংশ নেবেন না। একই দিনে বগুড়া জেলায় টাকা বেশি পাওয়ার কারণে সেখানে ওয়াজ মাহফিলে অংশ নিবেন এই বক্তা। এই ঘটনার বিচার দাবি করছি।
এ দিকে মাওলানা মুফতি ইলিয়াছুর রহমান জিহাদী মুঠোফোনে দাবি করেন, বৃষ্টির কারণে এলাকার লোকজন ওয়াজ বাতিল করেছে। এ জন্য অন্যত্র ওয়াজে অংশ নেওয়ার জন্য কথাবার্তা চূড়ান্ত করি। এখন তো আর মাদারীপুরে যাওয়া হবে না। দোষ কিন্তু এলাকাবাসীর।
অগ্রিম ১০ হাজার টাকা ফেরত দেবেন কিনা এ ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি টাকা ফেরত দেব। যদি কেউ বিক্ষোভ বা মানববন্ধন করে আমার ব্যাপারে তাহলে আমি আইনগত পদক্ষেপ নেব। যার যার ক্ষমতা তার তার কাছে।
মাদারীপুর সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. কামরুল ইসলাম মিঞা বলেন, এ ব্যাপারে আমাদের কাছে কেউ কোন অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে দুপক্ষের সাথে কথা বলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
-কেএল