আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: ছাত্রলীগ নেতা শাহিন আলম হত্যা মামলায় নয় জনের মৃত্যুদণ্ড ও ২২ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার (৯ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজশাহী মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক এইচএম ইলিয়াস হোসেন এই রায় ঘোষণা করেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলো—মুনসুর রহমান, হাসানুজ্জামান হিমেল, তৌফিকুল ইসলাম, মহসীন, সাইরুল, রজব, বিপ্লব, মমিন ও আরিফুল ইসলাম। প্রত্যেককে এক লাখ টাকা করে অর্থদণ্ড করা হয়েছে।
যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত হলো—মাহাবুল হোসেন, সাত্তার, সাজ্জাদ হোসেন, বখতিয়ার আলম রানা ওরফে রং লাল, হাসান আলী, মাসুদ, রাসেল, রাজা, মুর্তুজ, সুমন, আসাদুল, আখতারুল, ফরমান আলী, জয়নাল আবেদীন, রাজু আহমেদ, আকবর আলী, সম্রাট হোসেন, লাল মোহাম্মদ ওরফে লালু, টিয়া আলম, আজাদ হোসেন ও মাসুম। প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করা হয়েছে।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মুসাব্বিরুল ইসলাম জানান, মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা ইচ্ছা করলে এই রায় ঘোষণার তারিখ থেকে সাত দিনের মধ্যে সুপ্রিম কোর্ট বিভাগে আপিল করতে পারবে।
মামলার বাদী মহানগর যুবলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক নাহিদ আক্তার নাহান বলেন, আইনের প্রতি আমরা শ্রদ্ধাশীল। কিন্তু বেশ কয়েকবার এ রায় ঘোষণা পিছিয়ে যায়। প্রকাশ্যে আমার ভাইকে হত্যা করা হয়েছিল। তাই কিছুটা শঙ্কিত ছিলাম। আমরা ন্যায়বিচার পেয়েছি।
শাহিন রাজশাহী সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র-২ ও এক নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রজব আলীর ছোট ভাই। ২০১৩ সালের ২৮ আগস্ট দুপুরে প্রতিপক্ষের হামলায় নিহত হন তিনি। শিক্ষানবিশ আইনজীবী শাহিন রাজশাহী কোর্ট কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
হত্যার ঘটনায় তার ভাই যুবলীগ নেতা নাহিদ আক্তার নাহান বাদী হয়ে পরদিন নগরীর রাজপাড়া থানায় একটি মামলা করেন। এরপর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা রাজপাড়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মনিরুজ্জামান সিটি করপোরেশনের তৎকালীন ১ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মুনসুর রহমানসহ ৩১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
২০১৯ সালের ১১ নভেম্বর আদালতে এ মামলায় উভয়পক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ হয়। এরপর ওই বছরের ১০ ডিসেম্বর মামলার রায় ঘোষণার দিন ঠিক করা হয়। কিন্তু সেদিন থেকে এ রায় ঘোষণা ১৪ বার পিছিয়ে যায়। দুই বছর পর বৃহস্পতিবার এই মামলার রায়ের ঘোষণা করা হয়েছে।
এমডব্লিউ/