আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: প্রশ্ন: ক্যাশব্যাকের বিধান কী?
উত্তর: ক্যাশব্যাকের দু' সুরত: (এক): কোনো কার্ড (যেমন, ক্রেডিট কার্ড, ডেভিট কার্ড, ফিক্স কার্ড ইত্যাদি কার্ড) 'র বিনিময়ে ক্যাশব্যাক পাওয়া৷ এ সুরত নাজায়েজ৷ কারণ, কার্ড তৈরি করার কারণে ব্যাংক একাউন্টহোল্ডারের কাছে ঋণী হয়ে যায়৷ আর ঋণের পরিবর্তে বেশি নেওয়া সুদের অন্তর্ভুক্ত৷
(দুই): ক্যাশব্যাকের দ্বিতীয় সুরত হলো, ফ্লেক্সিলোড, ব্যালেন্স ইত্যাদির পরিবর্তে কোম্পানির পক্ষ থেকে অফার পাওয়া৷ এ সুরতে করয, আমানত বা এ ধরণের কোনো প্রকার সুরত পাওয়া যায় না৷
বরং কোম্পানির পক্ষ থেকে মানুষকে আগ্রহ করার জন্য অগ্রীম অফারই থাকে শুধু৷ তাই এটা ইনআম তথা পুরস্কার ও উপহারের অন্তর্ভুক্ত৷ যা গ্রহণ করা শরিয়তে জায়েজ৷
দলীল: ফোতয়ায়ে শামীতে আছে:
''وفي الأشباه: كل قرض جر نفعاً حرام، فكره للمرتهن سكنى المرهونة بإذن الراهن''. (٥/ ١٦٦، مطلب کل قرض جر نفعا، ط: سعید)
ইলাউস সুনানের ইবারত:
'' قال ابن المنذر: أجمعوا علی أن المسلف إذا شرط علی المستسلف زیادة أو هدیة فأسلف علی ذلک، إن أخذ الزیادة علی ذلک ربا ''. (١٤/ ٥١٣، باب کل قرض جر منفعة، کتاب الحوالة، ط: إدارة القرآن) فقط واللہ اعلم .
মাওসুআ ফিকহিয়্যাতে আছে:
التَّبَرُّعِ بَذْل الْمُكَلَّفِ مَالاً أَوْ مَنْفَعَةً لِغَيْرِهِ فِي الْحَال أَوِ الْمَآل بِلاَ عِوَضٍ بِقَصْدِ الْبِرِّ وَالْمَعْرُوفِ غَالِبًا. (حرف التاء، تَبَرُّعٌ، ج: ١٠، ص: ٦٥، ط: وزارة الأوقاف والشئون الإسلامية)
বি.দ্র: আওয়ার ইসলামে কিছুদিন আগে ক্যাশব্যাক সম্পর্কে একটি ফতোয়া প্রকাশ করা হয়েছিলো। ফতোয়া প্রদানকারী ক্যাশব্যাক সম্পর্কে ফতোয়াটি সংশোধন করেছেন। প্রদত্ত ফতোয়ায় ইন্টারেস্ট ও ক্যাশব্যাককে এক হুকুমে রাখা হয়েছিলো। মূলত ক্যাশব্যাক বৈধ হলেও ইন্টারেস্ট সুদ হিসেবে গণ্য করা হবে।
-এটি