আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: আমার বাবা জীবনের শেষ সময় পর্যন্ত দলের প্রতি নিবেদিত ছিলো। আমাকে যেনো আল্লাহ জয় বাংলা বলেই মৃত্যু দেয়। অবশ্যই আমি আপনাদের সকলের সহযোগীতা চাই। আমি জানি, আমি বলি বা না বলি আপনারা নৌকার পাশে সব সময়ই থাকবেন। আসুন একসাথে নৌকায় উঠি এবং নৌকাকে জিতিয়ে আনি। নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী নারায়ণগঞ্জের এক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন।
আজ বুধবার (৮ ডিসেম্বর) বিকেলে নারায়ণগঞ্জ জেলার ২নং রেল গেইট এলাকায় অবস্থিত জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে ডা. সেলিনা হায়াত আইভীকে সমর্থন জানাতে আয়োজিত হয় এ অনুষ্ঠান।
মেয়র আইভী বলেন, নারায়ণগঞ্জের অনেকে জেলা আওয়ামী লীগের পদ নিয়ে এবং আওয়ামী লীগের মনোনীত সংসদ সদস্য হয়েও জাতীয় পার্টির লোকদের নির্বাচনে পাশ করাচ্ছে। আমি বলতে বাধ্য হচ্ছি, যেই নৌকা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমার হাতে তুলে দিচ্ছে, সেই নৌকা নিয়েও ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে।
আইভী বলেন, প্রার্থী খোঁজা হচ্ছে, কিন্তু তারা আমাকে থামাতে পারবে না। আমি তাদেরকে বলবো, জননেত্রী শেখ হাসিনার কথা একবার চিন্তা করবেন, নাকি নিজেদের অস্তিত্ব বজায় রাখার চিন্তা করবেন। বেশি বাড়াবাড়ি করবেন না। দলের প্রতি সব সময় আস্থাশীল ছিলাম এবং থাকবো। বহুত চেষ্টা করেছেন বিএনপি, জামায়েত বানানোর চেষ্টা করেছেন।
তিনি আরও বলেন, আমি আপনাদের মাধ্যমে বলতে চাই, বেশী বাড়া বাড়ি কোন কিছুই ভালো না। আপনারা এখন দেখেছেন আমাদের মাননীয় একজন প্রতিমন্ত্রীর (ডা.মুরাদ হাসান) অবস্থা কি হয়েছে। আমরা চাই না দলে আর এমন ঘটনা ঘটুক। দলের প্রতি সব সময় আস্থাশীল ছিলাম, ইনশাআল্লাহ আমৃত্যু থাকবো। আমাকে বহু চেষ্টা করেছেন জামাত শিবির বানানোর জন্য। আমার দলের উপর আস্থা আছে।
মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী সমর্থকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, আপনারা যারা আমাকে সমর্থন জানিয়েছেন, তাদের সকলকে আমি আমার অন্তরের অন্তস্থল থেকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আসলে যারা আমাকে সমর্থন জানালো, মানে নেত্রীকে সমর্থন জানাচ্ছেন। যারা দলের প্রতি অনুগত, তারা অবশ্যই নৌকাকে সমর্থন করবে।
নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হাই এর সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন- নারায়ণগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম বাবু, রুপগঞ্জের তারাবো পৌরসভার মেয়র হাসিনা গাজী, নারায়ণগঞ্জ আসনের সাবেক সংরক্ষিত সংসদ সদস্য হোসনে আরা বাবলি, আওয়ামী লীগ জাতিয় পরিষদের সদস্য এড. আনিসুর রহমান দীপু, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মিজানুর রহমান বাচ্চু, এড. আসাদুজ্জামান, মো. সানাউল্লাহ, আব্দুল কাদির, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম ও সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সুফিয়ানসহ জেলা আওয়ামী লীগের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
এমডব্লিউ/