আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: নিজে এইচএসসি পাস হলেও সাইনবোর্ড, ভিজিটিং কার্ডে এমবিবিএস পাস লিখে দিব্যি করে যেতেন ডাক্তারি। অবশেষে স্থানীয়দের হাতে আটক হলে ফাঁস হয়ে যায় গোমড়। স্বীকার করেন, এইচএসসি পাসের পরে আল্টা মেডিসিন কোর্স করে পুরো দস্তুর চিকিৎসক বনে যান।
অভিযুক্ত ডাক্তার রফিকুল ইসলামের প্রতারণার প্রমাণ পেয়ে এক বছরের কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও তিন মাসের করাদণ্ড দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। একই সঙ্গে যে ফার্মেসিতে চেম্বার ছিল সেই ফার্মেসিকে দশ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। ঘটনাটি ঘটেছে বরিশাল জেলার গৌরনদী উপজেলার টরকী বন্দরে।
এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিপিন চন্দ্র বিশ্বাস। তিনি জানান, স্থানীয়রা খবর দিলে ঘটনাস্থলে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আরিফুল ইসলাম প্রিন্সকে পাঠানো হয়। সেখানে স্থানীয়দের অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় এবং অভিযুক্ত ব্যক্তি দোষ স্বীকার করায় তাকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে সাজা দেওয়া হয়েছে। ওই প্রতারকের নাম রফিকুল ইসলাম। তিনি টরকি বন্দরের নীলখোলা নামক এলাকার একটি ভাড়া বাড়িতে থাকত। দণ্ডপ্রাপ্ত রফিকুল ইসলাম শেরপুর সদরের চরমুচারিয়া গ্রামের আলহাজ আব্দুল ওয়াহেদের ছেলে।
আজ মঙ্গলবার (৭ ডিসেম্বর) দুপুরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আরিফুল ইসলাম প্রিন্স টরকী বন্দরের আনোয়ারা মেডিকেল হলে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। এর আগে স্থানীয়রা রফিকুল ইসলামকে তার ডাক্তারি সার্টিফিকেট আছে কীনা জানতে চাইলে রহস্যজনক আচরণ করেন এবং পালানোর চেষ্টা করেন।
এলাকাবাসী তাকে আটক করে উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে জানান। নির্বাহী কর্মকর্তা ভ্রাম্যমাণ আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট পাঠালে সেখানে দোষ স্বীকার করেন রফিকুল ইসলাম। এ ঘটনায় রফিকুল ইসলামের পাশাপাশি আনোয়ারা মেডিকেল হলের স্বত্তাধিকারী শহিদুল্লাহকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেন।
এমডব্লিউ/