মোস্তফা ওয়াদুদ: বর্তমানে মানুষের অত্যন্ত জরুরি বস্তুর তালিকায় স্থান করে নিয়েছে মোবাইল-ফোন । খাওয়া-দাওয়া যেমন মানুষের প্রয়োজন, তেমনি মোবাইল-ফোন ছাড়াও চলে না কারো কারো জীবন। প্রয়োজনীয় এ বস্তু এখন সব সময়ই সঙ্গে থাকে। তাই যে কোনো সময় বেজে উঠতে পারে কাছে থাকা ফোন। সেটা হোক খাবারের সময়। কিংবা চলাচলের সময়। অথবা নামাজ চলাকালীন। প্রিয়জন ফোন দেওয়ার কারণে রিংটোন বেজে উঠতেই পারে। কিন্তু কথা হলো নামাজের সময় যদি এভাবে রিংটোন বেজে উঠে, তাহলে কি করবে? হাত দিয়ে মোবাইল বন্ধ করবে? নাকি বাজতেই থাকবে?
সম্প্রতি এমনই একটি জনগুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন করা হয়েছে দারুল উলুম দেওবন্দের ওয়েবসাইটে। প্রশ্নকারী তার প্রশ্নে উল্লেখ করেন, ‘নামাজের মাঝে যখন ফোন বেজে উঠে তখন মুসুল্লি কী করবে? নামাজ ছেড়ে দিয়ে মোবাইল বন্ধ করে পুনরায় নিয়ত বাঁধবে? নাকি নামাজের মাঝে রিংটোন বন্ধ করে দিবে? নামাজের মাঝে কতবার মোবাইলের রিংটোন বন্ধ করা যাবে? এভাবে রিংটোন বন্ধ করলে কি নামাজ নষ্ট হয়ে যাবে?’
দীর্ঘ এ প্রশ্নের জবাবে দেওবন্দের ওয়েবসাইটে বলা হয়, ‘যদি নামাজ পড়াবস্থায় ফোন বাজতে থাকে। আর আমলে কাছীর না হওয়া সাপেক্ষে পকেট থেকে মোবাইল বের করে রিংটোন বন্ধ করা যায়, তাহলে বন্ধ করে নিবে। এর মাধ্যমে নামাজ ফাসেদ হবে না। এক-দুইবার এটা করা যাবে। কিন্তু যদি পকেট থেকে মোবাইল বের করে। এরপর সেটা দেখে যে কোথা থেকে কে ফোন করলো? এরপর মোবাইল বন্ধ করে, তাহলে এ সুরতে নামাজ ফাসেদ হয়ে যাবে। এটা আমলে কাছীর। আর আমলে কাছীর দ্বারা নামাজ ফাসেদ হয়ে যায়।
দেওবন্দের ফতোয়ার লিঙ্ক:
এমডব্লিউ/