আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: বাংলাদেশে মোট জনসংখ্যার আড়াই শতাংশ নানা ধরনের কিডনি রোগে ভুগছে। ১৯৯০-এর দশকে জনসংখ্যার এক শতাংশ কিডনি জটিলতায় ভুগত। অন্যদিকে কিডনি অকেজো হয়ে যাওয়ার পর ডায়ালাইসিস করে বেঁচে থাকতে কিডনি রোগীদের ১২ থেকে ২২ শতাংশ তাদের সম্পদ বিক্রি করে দিতে হচ্ছে এবং ফলে এক সময় দরিদ্র হয়ে গেছে অথবা যাচ্ছে। বাংলাদেশের কিডনি রোগীদের মোট এক শতাংশেরও কম কিডনি প্রতিস্থাপনের সুবিধা রয়েছে। তবে কিডনি রোগটি প্রাথমিক অবস্থায় নিরূপন করতে পারলে চিকিৎসায় সুস্থ হয়ে যেতে পারে। কিন্তু বাংলাদেশে প্রয়োজনের তুলনায় নেফ্রলজিস্ট নেই। গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক নেফ্রলজিস্ট সম্মেলনে বিশিষ্ট কিডনি বিশেষজ্ঞরা এসব তথ্য দেন।
আজ শুক্রবার সকালে সম্মেলনটির উদ্বোধনী অনুষ্ঠান হয়। আজ উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শুরু হলেও সম্মেলনটি ভার্চুয়ালি শুরু হয়েছিল গত ২০ নভেম্বর হতে এবং আজই সম্মেলনটির সমাপ্তি টানা হবে। সম্মেলনে যৌথভাবে আয়োজন করে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র বাংলাদেশ, বাংলাদেশ রেনাল এসোসিয়েশন এবং আইএসএন।
ধানমন্ডির গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালের বীর উত্তম মেজর হায়দার অডিটরিয়ামে অনুষ্ঠিত এ সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন কিডনি হাসপাতাল ও কিডনি ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ও চিফ অব কনসালটেন্ট অধ্যাপক ডা. হারুন উর রশীদ। এছাড়া বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট নেফ্রোলজিষ্ট অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ হানিফ, বাংলাদেশ রেনাল এসোসিয়েশন এন্ড এসোসিয়েশন ফিজিশিয়ান অব বাংলাদেশ প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ রাফিকুল আলম, সাংগঠনিক কমিটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব) মামুন মোস্তাফী, স্বাগত রাখেন সান্ট্রিফিক কমিটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক মোঃ মাহবুবুর রহমান।
সম্মেলনে কিডনি বিশেষজ্ঞরা বলেন, বাংলাদেশে প্রয়োজনীয় সংখ্যক নেফ্রলজিস্ট নেই তবে যারা আছেন তাদের বেশির ভাগ রাজধানীতে। ফলে রাজধানীর বাইরের রোগীর চিকিৎসা প্রয়োজন হলে তারা প্রাথমিক অবস্থায় চিকিৎসা পান না।
বক্তারা বলেন, কিডনি রোগ ঠেকাতে প্রাথমিক লেভেল থেকেই প্রতিরাধমূলক চিকিৎসক শুরু করতে হবে। ধারণা করা হয় বাংলাদেশে ১৫ লাখ শিশু নেফ্রলজির রোগী রয়েছে কিন্তু তাদের চিকিৎসার জন্যও পর্যাপ্ত চিকিৎসক নেই।
এনটি