যাকওয়ানুল হক চৌধুরী: আধ্যাতিক রাজধানী সিলেটের নগরীকে মডেল হিসবে গড়ে তোলার জন্য কাজ করে যাচ্ছে সিলেট সিটি কর্পোরেশন (সিসিক)।
গত বছর থেকে তারা এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে মাঠে নেমেছেন, শুরুতেই অবৈধ হকারদের কে রাস্তা থেকে তুলে দেন। মধ্যখানে চৌহাট্টা থেকে বন্দর বাজার পর্যন্ত কারুকাজ করা স্টিলের ডিভাইডার দিয়ে তার উপর বসিয়ে দেয়া হয় লাল-নীল বাতি। তারমধ্যে সারিবদ্ধ ফুলের গাছ।
তখন থেকেই ভিন্ন রূপে প্রকাশ পেতে শুরু করে নগরীর এ অংশ। তারই সাথে চলতি বছর শুরুতেই চৌহাট্টা থেকে বন্দর বাজার পর্যন্ত বন্ধ করে দেওয়া হয় রিকশা, ভ্যান ও লেগুনা চলাচল। এ সিন্ধান্ত বাস্তবায়নে কাজ করে যায় সিসিক ও সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ।
২০২০সালের জানুয়ারিতে শাহ জালাল রহ. দরগার প্রধান সড়কের বৈদ্যুতিক খুঁটি সরিয়ে মাটির নিচ দিয়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ করে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড। এতে একদিকে নগরীর সৌন্দর্য বৃদ্ধি পেয়েছে, অন্যদিকে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুতের নির্ভরশীলতা ও নিরাপত্তা বৃদ্ধি পেয়েছে। এ কাজে সার্বিক সহযোগিতা দিচ্ছে সিলেট সিটি করপোরেশন।
সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা যায়, ডিজিটাল ও মডেল সিলেট নগরী গতড়ে বিশেষ প্রকল্প হাতে নেয় সিসিক।
এরই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে কাজের ধারাবাহিকতায় এখন বন্দর বাজার থেকে কিং ব্রিজ পর্যন্ত ডিভাইডারের কাজ শুরু হয়েছে। কিছু অংশ খুঁড়াখুঁড়িও হয়েছে। আশপাশের সব হকার সররিয়ে অন্যত্র দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে সিলেট সিটি কর্পোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী নূর আজিজুর রহমান গণমাধ্যমকে জানান , প্রথমে পরীক্ষামূলকভাবে চৌহাট্টা থেকে বন্দরবাজার পর্যন্ত পুরো রাস্তার মাঝখানে সৌন্দর্য্যবর্ধন গ্রিল বসানো হয় । গ্রিল স্থাপনের পর দেশে বিদেশে এর সৌন্দর্য্য প্রশংসিত হয় । ফলে এবার বন্দরবাজার কালেক্টরেট মসজিদের সামনে থেকে সুরমা পয়েন্ট পর্যন্ত সৌন্দর্য্যবর্ধক সড়ক ডিভাইডারের মাঝে গ্রিল বসানোর কাজ শুরু হয়েছে । দ্রুততম সময়ের মধ্যে এই কাজ সমাপ্ত করার লক্ষ্যে কাজ চলছে।
-কেএল