।।শাহ মমশাদ আহমদ।।
রিয়াদের একটি বিখ্যাত মসজিদের ইমাম, মসজিদে হারামের সাবেক স্বল্পকালীন সময়ের ইমাম শায়েখ আদিল কালবানি কিছু দিন পূর্বে কেসিনো ক্লাবে তাস খেলায় অংশ নিয়েছেন। মিউজিকসহ গানকে জায়েজ ফতোয়া দিয়েছেন। সর্বশেষ একটি হারাম বিজ্ঞাপনে অভিনয় ও করেছেন।
শায়খ আদিল কালবানির সুমধুর কন্ঠের তেলাওয়াত সারা বিশ্বে সমাদৃত। এমন এক ব্যক্তির দীন থেকে বিচ্যুতি অনেকেরই মেনে নিতে কষ্ট হচ্ছে। মুলতঃ আল্লাহ রাব্বুল আলামিন পড়ন্ত বয়সে অনেক পথভ্রষ্ট মানুষকে দীনের পথে হেদায়াত দিয়ে যেভাবে তার রহমত প্রদর্শন করেন। কিছু বরেন্য বুজুর্গদের পথভ্রষ্ট করে তাঁর কুদরতের নজির পেশ করে থাকেন।
আরো পড়ুন- টিভি বিজ্ঞাপনে কাবার সাবেক ইমামের অভিনয়: সমালোচনার ঝড়
এঘটনা থেকে আমাদের কয়েকটি বিষয়ে সতর্ক হওয়া প্রয়োজন-
ক. হযরত ইউসুফ আঃ এর কথাটি স্মরণ রাখা।তিনি বলেছিলেন,,
وما ابرئ نفسى ان النفس لامارة بالسوء الا ما رحم ربى
‘আমি নিজের নফসের পবিত্রতা ঘোষণা করিনা,নিশ্চয়ই নাফাস মন্দ কাজের উস্কানিদাতা,তবে আল্লাহ যাকে দয়া করেন।’-সুরা ইউসুফ
আল্লাহর দয়া ব্যতিরেকে দীনের উপর অধিষ্ঠিত থাকা কখনো সম্ভব নয়। যে যতটুকু পরিমাণ দীনের উপর চলাফেরা করছেন; এজন্য অহংকারী না হয়ে আল্লাহর রহমতের প্রত্যাশী থাকা জরুরি।
আরো পড়ুন- মায়ের দু‘আ আমাকে কাবা শরীফের ইমাম বানিয়েছে: শায়েখ আদেল কালবানী
খ. বাহ্যিকভাবে ঈমানের উপর মৃত্যুর পুর্ব পর্যন্ত কাউকে ওলিয়ে কামেল, ইনসানে কামেল, জিন্দা আল্লাহর ওলি উপাধি দেয়া ও বিশ্বাস করা থেকে বিরত থাকা। অবশ্যই আলেম ও মুর্শিদদের প্রতি ভালো ধারণা থাকা উচিত। এমনকি প্রত্যেক মুমিনের একে অপরের প্রতি নেক ধারণা পোষণ করা কুরআনের নির্দেশনা। কিন্তু উনি আল্লাহর ওলি এরুপ দৃঢ় বিশ্বাস রাখা যাবে না।
গ. আল্লাহ নির্দেশিত দোয়া বেশি করে পড়া দরকার-
ربنا لا تزغ قلوبنا بعد اذ هديتنا
‘হে প্রতিপালক! হেদায়াত দেয়ার পর আমাদের ভ্রষ্ট করোনা।’ আল্লাহ আমাদের দ্বীন-ইসলামের উপর স্থির রাখুন।
লেখক, মুহাদ্দিস- জামেয়া মাদানিয়া কাজির বাজার সিলেট।
-কেএল