আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: পড়াশোনা বা অফিসের গুরুত্বপূর্ণ কাজের কারণে রাত জাগতে হয়। এছাড়া বর্তমানে যারা আউট সোর্সিংয়ের কাজ করেন, বাইরের দেশগুলোর টাইমজোনের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে তাদেরও রাত জাগতে হয়।
বিশেষজ্ঞদের মতে, রাত জাগার নানা ক্ষতিকর প্রভাব পড়ে শরীরে। কারণ দীর্ঘদিন একটানা রাত জাগলে ঘুম নষ্ট হয়। তখন দিনের বেলায় পর্যাপ্ত ঘুমালেও শরীর খারাপ লাগে। এছাড়াও দীর্ঘদিন ধরে রাত জেগে কাজ করলে মেজাজ গরম, কাজে মন না লাগা এসব সমস্যা দেখা দেয়। সকালে উঠে শরীরচর্চার জন্য কোনো উৎসাহও থাকে না।
অনেকে আবার রাত জাগলে বিভিন্ন ধরনের খাবার খেতে থাকেন। এতে ওজন বাড়ার সম্ভাবনা বাড়ে। এছাড়া বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে নানা ধরনের রোগের প্রকোপও বাড়ে। দীর্ঘদিন ধরে রাত জাগলে আবার রাতে ঘুমের অভ্যাস করাও কঠিন হয়ে পড়ে। এ কারণে রাত জাগলে খাবারের ব্যাপারে বাড়তি সতর্ক থাকা প্রয়োজন। বিশেষ করে তেল-মশলা, কফি জাতীয় খাবার ত্যাগ করা উচিত। এছাড়াও সুস্থ থাকতে খাদ্য তালিকায় কিছু খাবার যোগ করা দরকার।
পানি: বেশি পরিশ্রম করলে শরীর থেকে পানি বেরিয়ে যায়। এমন কী বসে কাজ করলেও পর্যাপ্ত পানির প্রয়োজন হয়। আর তাই রাতে কাজ করলে এক ঘণ্টা পর পর এক গ্লাস পানি খান। এতে শরীর পানিশূন্য হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে না।
বাদাম: রাত জেগে কাজ করার সময় ক্ষিদে পেলে কফি বা চকোলেটের পরিবর্তে কাজু বাদাম কিংবা পেস্তাবাদাম খেতে পারেন। এতে পেট ভরবে আর শরীরও ভালো থাকবে। সেই সঙ্গে ঘুমও ভালো হয়। আর কাজের মাঝে বাদাম খেলে মনও ভালো থাকে।
খেজুর ও খেজুরের গুড়: এখন খেজুরের গুড় পাওয়া যাচ্ছে। তাই গুড় দিয়ে রুটি খেতে পারেন। তা না চাইলে শুকনো খেজুর খেতে পারেন কাজের ফাঁকে। খেজুরে শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় ভিটামিন, খনিজ থাকে। প্রতিদিন দুই থেকে তিনটি খেজুর বা খেজুরের গুড় খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে।
ফল: ফলের রস নয়, রাতে কাজ করার সময় ক্ষিদে পেলে গোটা ফল খেতে পারেন। অনেকেই ভাবেন রাতে ফল খাওয়া ঠিক নয়, কিন্তু রাতে সফেদা, শাঁখালু, আপেল, পেয়ারা, পেঁপে এসব ফল খেতে পারে। এতে পেটও ভরবে আর শরীরও ভালো থাকবে। তবে রাতে সাইট্রাস জাতীয় ফল খাওয়া ঠিক নয়। এতে গ্যাসের সমস্যা হতে পারে। ফল শরীরে পুষ্টি দেয়। এটি খেলে অনিদ্রা, হজমের সমস্যা কমে যায়।
-এএ