আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: মৌসুম বদলের এই সময়ে বেশিরভাগ মানুষই সর্দি-কাশিতে আক্রান্ত হন। এসময় সর্দি-কাশি সারাতে ওষুধের পাশাপাশি চা-ও বেশ উপকারী।
কারণ চা কেবল একটি সতেজ পানীয়ই নয়, এটি বিভিন্ন উপায়ে স্বাস্থ্যের পক্ষেও উপকারী। চায়ে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা ওজন কমাতেও সহায়তা করে। কয়েক ধরনের চা আছে যেগুলো সর্দি-কাশি ছাড়াও শরীরের নানা রোগ নিরাময়ে ভূমিকা রাখে।
আদা চা: নিয়মিত আদা চা খেলে হৃৎপিণ্ড ভালো থাকে। সর্দি কাশির সময় সামান্য আদার গুনে উপশম পাওয়া যায়। আদা কেটে অথবা গুঁড়ো করে রস বার করে খাওয়া যায়। তবে স্বাদ বাড়ানো ছাড়া অনেক ওষুধি গুণ রয়েছে আদার। গরম চায়ের সঙ্গে আদা মিশিয়ে খেলে অনেক উপকার পাওয়া যায়। প্রতিদিন আদা-চা পান খেলে হৃদরোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি কমে।
গ্রিন টি: গ্রিন টি বিভিন্ন উপায়ে স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। এই চা রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ ও কোলেস্টেরল কমাতে সহায়তা করে। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, দিনে এক কাপ থেকে দু কাপ গ্রিন টি পান করা স্বাস্থ্যকর। অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর গ্রিন টি নিয়মিত খেলে ত্বক, চুল সবই ভালো থাকে।
ক্যামোমাইল টি: ভেষজ চা-এর মধ্যে অন্যতম হল এই ক্যামোমাইল টি। ক্যামোমাইল ফুল থেকে তৈরি হয় এই চা। যার ফলে এই চায়ের মধ্যে ক্ষতিকর ক্যাফেইন থাকে না। এই চা খেলে স্নায়ুর উত্তেজনা কম থাকে, ঘুম ভালো হয়।
পুদিনা চা: পুদিনা গাছের মূল, পাতা, কাণ্ডসহ গোটা গাছই ওষুধিগুণে পরিপূর্ণ। এর পাতা সুগন্ধি হিসেবেওে রান্নায় ব্যবহার করা হয়। পুদিনার মধ্যে থাকা মেন্থল খুবই উপকারী। তাই লিকার চায়ের মধ্যে পুদিনা পাতা মিশিয়ে খানিকক্ষণ ঢেকে রেখে খেলে ভালো উপকার পাবেন।
জবা ফুলের চা: জবা ফুলের চায়ে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, খনিজ এবং অ্যান্টি অক্সিডেন্ট থাকে। উদ্বেগ ও উদ্দীপনা কমাতেও প্রভাব রয়েছে জবা ফুলের চায়ের। এটি ঠান্ডা বা গরম- সবভাবেই খাওয়া যায়। এই চায়ে কোনও রকম ক্যাফেইন থাকে না। এজন্য এই চা শরীরের পক্ষে এটি খুবই উপকারী।
-এএ