আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: সারা বছরই গাজর পাওয়া যায়। তবে শীতকালে গাজর খাওয়ার প্রবণতা অনেক বেশি লক্ষ করা যায়। কেউ জেনে খান, কেউ আবার এর উপকারিতা না জানার কারণে তা খাদ্য তালিকা থেকে বাদ রাখেন। কিন্তু গাজরের উপকারিতা জানলে হয়তো নিয়মিতই খাদ্য তালিকায় রাখবেন সবজিটি।
গাজরে প্রচুর পরিমাণে বিটা-ক্যারোটিন, ফাইবার, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ক্যালসিয়াম, এবং বেশ কয়েকটি প্রয়োজনীয় ভিটামিন এবং খনিজ পদার্থ রয়েছে। এগুলো ওজন কমাতে, হজম শক্তি বাড়াতে, চোখ এবং ত্বক ভালো রাখতে দারুণ উপকারী। এ ছাড়া গাজরে ভিটামিন ‘এ’ থাকে। ভিটামিন ‘এ’-এর অভাব জেরোফথালমিয়া হতে পারে, যা চোখের একটি রোগ। গাজর খেলে এই আশঙ্কা কমে।
এবিপি আনন্দের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজর খেলে কোলন ক্যানসারের ঝুঁকি কমে। ২০১৪ সালে গবেষণা করা হয় ৮৯৩ জনকে নিয়ে। তাতেই মিলেছে এই তথ্য।
গাজরে প্রাকৃতিক শর্করা থাকে। ১০ শতাংশ কার্বোহাইড্রেট থাকে। তার ৫০ শতাংশ চিনি। গাজরে থাকে কম ক্যালোরি। উচ্চ ফাইবার যুক্ত গাজরে চিনির পরিমাণ কম থাকায় তা ডায়াবেটিস আক্রান্তদের ক্ষেত্রে ক্ষতিকারক নয়। গাজরে থাকে ফাইবার এবং পটাসিয়াম। পটাশিয়াম রক্ত সঞ্চালন প্রক্তিয়া স্বাভাবিক রাখে। ফলে, রক্ত জমাট বাঁধে না সহজে। তাই উচ্চ রক্তচাপও নিয়ন্ত্রণ থাকে। গাজরে থাকে ভিটামিন সি, যা অনাক্রম্যতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
লিভারে জমে থাকা পিত্ত ও চর্বি পরিষ্কার করতেও সাহায্য করে গাজর। স্ট্রোকের প্রবণতা কমায়-হাভার্ড ইউনিভার্সিটির তথ্যানুসারে, যারা সপ্তাহে ৫টি কিংবা তার বেশি খায় তাদের স্ট্রোকের আশঙ্কা অন্যদের তুলনায় অনেকটাই কম হয়। গাজরে ভিটামিন ‘কে’ এবং অল্প পরিমাণে ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস থাকে, যা হাড় মজবুত করে। অস্টিওপরোসিস প্রতিরোধে সাহায্য করতে পারে।
তবে মনে রাখতে হবে, ভিটামিন ‘এ’ অতিরিক্ত খেলে তা শরীরের পক্ষে ক্ষতিকারক। এ ছাড়া অতিরিক্ত ভিটামিন ‘এ’ ত্বকে হালকা কমলা রঙের কারণ হতে পারে।
-এএ