আওয়ার ইসলাম ডেস্ক:
ছাত্রদের উদ্দেশ্যে ১৪টি নসীহত: ১. দৈনিক যতটুকু মুখস্থ করার ইচ্ছা প্রথমে ততটুকু কমপক্ষে আধা ঘণ্টা তেলাওয়াত করবে। এবং কাউকে তা দেখে পড়ে শোনাবে, যাকে নাযারা বলা হয়।
২. নাযেরার পর ঐ পৃষ্ঠা মাগরিবের পর ভালো ভাবে মুখস্থ করবে। মুখস্থ করার একটা নিয়ম আছে, ঐ নিয়মটি পৃষ্ঠার শেষে দেয়া আছে।
৩. ক্লাস ছুটির পর পিছনের পড়া শুরু করে দিবে, এমন ভাবে পড়বে যাতে প্রত্যেক পারা প্রতিদিন ২/১ বার পড়া হয়।
৪. সবক প্রতিদিন ফজরের পূর্বে শোনাবে, যদি প্রতিদিন তেলাওয়াত করা হয়, তাহলে প্রতিদিন আমুখতা শুনাতে আরাম পাবে, ইয়াদ থাকবে। পিছনের পড়া কাঁচা রেখে সবক দিবে না।
৫. বাজে, বেফায়দা, ফাজলামি মার্কা কথাবার্তা থেকে সর্বদা বেঁচে থাকবে, সর্বদা তেলাওয়াত করার আপ্রাণ চেষ্টা করবে। আছরের পর সময়টা কাজে লাগাতে হবে। আছরের পর ৩/৪ পারা পড়বে।
৬. শবিনার দিন যে ভুল গুলো হবে কমপক্ষে ২০ বার জপতে হবে। ৭. প্রতিদিন ঘুমানোর আগে ১ পারা দিয়ে ৪ রাকাত নফল নামাজ পড়বে।
৮. প্রতিদিন সবক কোন ভালো ছাত্রকে শুনানোর পর হুজুরকে শোনাবে।
৯. সবক শিখার নিয়ম—— ভালো কোন ছাত্রের কাছে বসে গল্পগুজব না করে ১টি আয়াত ৮ বার দেখে পড়বে যেমন- ذالك الكتاب لا ريب فيه এরপর ১বার না দেখে ১বার দেখে, ১০বার হলো এইভাবে আধা পৃষ্ঠা হওয়ার পর দেখবে পার কি না। যদি না পার তাহলে ঐ আধা পৃষ্ঠা ৬বার পড়বে। এইভাবে পুরা পৃষ্ঠা ইয়াদ করবে।
১০. এক আয়াত ইয়াদ না হওয়া পর্যন্ত অন্য আয়াতে যাবে না। যদি ইয়াদ না হওয়ার আগে অন্য আয়াতে যাও তাহলে ইয়াদ কাঁচা হবে। পরে সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে।
১১. কারো সাথে কোন রকম বন্ধুত্বে জড়াবে না এবং শত্রুতাও সৃষ্টি হতে দেবে না। ১২. যতটা কম পারা যায় বাসার যাবার চেষ্টা করবে। একেবারে না যেতে পারলে খুবই ভাল। কারণ এতে জেহেন পরিষ্কার থাকবে। ১৩. মোবাইল জিনিসটা নিজের জন্যে হারাম মানবে।
১৪. হিফয শেষ করার পর কোন বছরই যেন তারাবি পড়ান থেকে মাহরুম না হও সে খেয়াল রাখবে। এবং তারাবি পড়িয়ে টাকা নেবে না।
-এটি