আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: ভোজনরসিক বাঙালি তার খাওয়াদাওয়ার বিষয়ে খুব একটা বিধিনিষেধ কখনওই মানেনি। পছন্দের খাবারের সঙ্গে কোনও রকম আপসের সম্পর্কে বাঙালি কোনও দিনই ছিল না। কিন্তু দেদার লাগামছাড়া খাওয়াদাওয়ার ফলে জন্ম নিতেই পারে একাধিক শারীরিক সমস্যা। অনেক সময়েই সূত্রপাত হয় বিভিন্ন রোগের, যেগুলি তার পর একটি লম্বা সময় জুড়ে বহন করে যেতে হয়। সবচেয়ে পরিচিত রোগের মধ্যে একটি হল ডায়াবিটিস। নিজের খাদ্যভ্যাস পাল্টে ফেলতে বাধ্য করে ডায়াবিটিস। মিষ্টি খাওয়া বারণ হওয়া ছাড়াও, কিছু বিশেষ খাবার বেশি করে খাওয়ার উপদেশ দেন চিকিৎসকেরা।
অতিপরিচিত হলেও ডায়াবিটিস ঘিরে এখনও বহু মানুষের মনে বাস করে একাধিক ভুল ধারণা। ডায়াবিটিস কীভাবে জীবনের উপর প্রভাব ফেলে, ডায়াবিটিসের সঙ্গে জীবনযাপন করা কতটা স্বাভাবিকতার বাইরে— তা নিয়ে অনেক ভ্রান্তি আছে বেশির ভাগ লোকের মনে। এ রকম ভুল ধারণা বিশ্বাস করলে ক্ষতি হতে পারে শরীরের।
ডায়াবিটিস হওয়া মানেই যে কার্বোহাইড্রেট খাওয়া একেবারেই বন্ধ করে দিতে হবে, এটা সম্পূর্ণ ভুল ধারণা। যদিও কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ এবং খাওয়ার সময় নিয়ে কিছু বিধিনিষেধ থাকতেই পারে, কিন্তু তার মানে এটা কখনওই নয় যে, কার্বোহাইড্রেট খাওয়া ডায়াবিটিসের রোগীদের জন্য একেবারেই নিষিদ্ধ।
ফ্যাট জাতীয় খাদ্য নিয়ে চিন্তার প্রয়োজন নেই: ডায়াবিটিস থাকলে বেশি পরিমাণে ফ্যাট জাতীয় খাবার খাওয়া একেবারেই ঠিক নয়। অপরিমিত পরিমাণে ফ্যাট-জাতীয় খাবার খাওয়া কোলেস্টেরলের মাত্রাকে অনেক বেশি বাড়িয়ে দিতে পারে। এই থেকে বাড়তে পারে স্ট্রোকের আশঙ্কা।
কৃত্রিম চিনির ব্যবহার করতে পারেন ইচ্ছামতো: চিনি খাওয়া বারণ মানেই যে নানা ধরনের কৃত্রিম চিনির ব্যবহার করবেন, সেটা অনেক সময়েই ক্ষতিকারক হতে পারে। কৃত্রিম চিনি খেলে তা শরীরের ইনসুলিন রেজিসটেন্স-এর ক্ষমতার ব্যাঘাত ঘটাতে পারে।
ওষুধ খেলে মিষ্টি খাওয়া নিতে চিন্তার প্রয়োজন নেই: ডায়াবিটিসের ওষুধ নিয়মিত খাচ্ছেন মানে আপনার মিষ্টি খাওয়া নিয়ে কোনও চিন্তার বিষয় রইল না, এটি একেবারেই ভুল ধারণা। ওষুধের সঙ্গে সঙ্গে যদি বাকি বিধিনিষেধ না মানেন, তা হলে সেই ওষুধের কার্যকারিতাও কমে যেতে পারে।
ডায়াবিটিস সারা জীবন থাকতে পারে: ডায়াবিটিস ধরা পড়া মানেই যে সারা জীবনের জন্য এই রোগ সঙ্গে করে নিয়ে চলতে হবে, তা নয়। ঠিকঠাক নিয়ম মেনে চললে এবং ওষুধ নিয়মিত খেলে, ডায়াবিটিসের মতো রোগও সেরে যেতে পারে। সূত্র- আনন্দ বাজার অনলাইন।
-কেএল