আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: কিছুক্ষণ আগে কি করেছেন বা কি কথা বলেছেন, একটু পর তা ভুলে গেছেন। কিংবা গতকাল কী খেলেন তা আজই ভুলে গেলন! বেশ তবে খাবার খেয়েই বাড়িয়ে নিন স্মরণ করার শক্তি। স্মৃতিশক্তি বাড়াতে নানান রকম কৌশল ও চর্চার কথা বলা হয়। তবে শুধু অনুশীলনের মাধ্যমেই নয়, বিভিন্ন খাবারের উপাদানও স্মৃতিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে।
এই সময় স্মার্টফোনের অ্যালার্ম, রিমাইন্ডারের মতো নানা উপায় বেছে নেওয়া হয় সবকিছু মনে রাখার জন্য। আবার অনেকে খাতায়-কলমে লিখে রাখেন কী কী কাজ করতে হবে সারা দিন। এই কাজগুলো দোষের নয়, তবে পুরোপুরি যন্ত্রনির্ভর না হয়ে পড়ে বরং মস্তিষ্কের যত্ন নিন। আর রোজকার খাবারে যদি এমন কিছু পুষ্টিগুণ রাখতে পারেন, যাতে মস্তিষ্ক সচল থাকবে।
আর স্মৃতিশক্তি ভালো করতে হলে নিয়মিত খেতে হবে এই ৫ খাবার-
এক. ব্লুবেরি: রোগপ্রতিরোধক ক্ষমতা বাড়াতে ব্লুবেরির মতো আর ফল হয় না। এতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার এবং অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট রয়েছে। খিদে পেলে উল্টোপাল্টা খাবার খাওয়ার বদলে যদি কিছু স্বাস্থ্যকর বেছে নিতে চান, তা হলে অবশ্যই ব্লুবেরি রাখুন হাতের কাছে। এতে মস্তিষ্ক সচল রাখা এবং স্মৃতিশক্তি বাড়ানোর ক্ষমতাও রয়েছে।
দুই. কুমড়ার বীজ: কুমড়োর বীজে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার এবং প্রোটিন। চিন্তাভাবনা এবং স্মৃতিশক্তি বাড়ানোর জন্য এই পুষ্টিগুণ অত্যন্ত জরুরি। খুব বেশি মানসিক চাপ থাকলেও কুমড়োর বীজ নিয়মিত খেলে চাপমুক্ত হতে পারেন। আবার স্যালাড, ওটস বা তরকারিতে যেমন দিতে পারেন, আবার শুকনো খোলায় ভেজে একটু লবণ মাখিয়েও খেতে পারেন।
তিন. ডার্ক চকলেট: মানসিক চাপ কমানো, অবসাদ দূর করা এবং স্মৃতিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে ডার্ক চকলেট। নিয়মিত এক টুকরো করে খাঁটি ডার্ক চকলেট যদি রাতে খেতে পারেন, তা হলে উপকার পাবেন। এই জাতীয় চকলেট বার্ধক্য আটকাতেও কার্যকর।
চার. কফি: দীর্ঘকালীন স্মৃতিশক্তি বাড়াতে কফি দারুণ কাজে দেয়। যদিও ক্যাফেইনের প্রভাব শরীরে নানা ভাবে প়ড়তে পারে, তা হলেও কফির ভালো দিকও প্রচুর রয়েছে। নিয়মিত মেপে কফি খেলে আপনি নানাভাবে উপকৃত হবেন।
পাঁচ. আখরোট: বয়স বাড়ার সঙ্গে যে ধীরে ধীরে মানুষের স্মৃতিশক্তি লোপ পায়, তা খানিকটা রুখতে পারে আখরোট। রান্নাঘরে তাই ড্রাই ফ্রুট থাকলে চিন্তার কারণ নেই। নিয়মিত খেলে মস্তিষ্ক সচল থাকবে বহুদিন।
-এএ